পড়াশোনা
1 min read

তৃতীয় অধ্যায় : আত্মকর্মসংস্থান, নবম-দশম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ

প্রশ্ন-১। ইংরেজি ‘Entrepreneur’ শব্দটি কোন দেশীয় শব্দ হতে উৎপত্তি হয়েছে?

উত্তরঃ ইংরেজি ‘Entrepreneur’ শব্দটি ফরাসি দেশীয় শব্দ হতে উৎপত্তি হয়েছে।

প্রশ্ন-২। কেস স্টাডি হতে ছাত্র-ছাত্রীরা কী জ্ঞান অর্জন করতে পারে?

উত্তরঃ কেস স্টাডি হতে ছাত্র-ছাত্রীরা শিল্পপতি বা শিল্পোদ্যোক্তা হওয়ার জ্ঞান অর্জন করতে পারে।

প্রশ্ন-৩। উদ্যোক্তার বৈশিষ্ট্য প্রধানত কয়টি ও কী কী?

উত্তরঃ উদ্যোক্তার বৈশিষ্ট্য প্রধানত চারটি। যথা–

১. মনস্তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য

২. অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য

৩. সামাজিক বৈশিষ্ট্য এবং

৪. ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য।

প্রশ্ন-৪। ক্ষুদ্র ব্যবসায় কাকে বলে?

উত্তরঃ স্বল্প মূলধনের ব্যবসায়কে ক্ষুদ্র ব্যবসায় বলে।

প্রশ্ন-৫। উদ্যোগ বিষয়টি অর্থনীতিতে কে প্রথম প্রচলন করেন?

উত্তরঃ উদ্যোগ বিষয়টি অর্থনীতিতে প্রথম প্রচলন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ক্যানটিলন।

প্রশ্ন-৬। শিল্পোদ্যোক্তা কে?

উত্তরঃ শিল্পোদ্যোক্তা এমন একজন ব্যক্তি যিনি তার সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী শক্তি দ্বারা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার নেতৃত্ব দেন ও উন্নয়নে গতিশীলতা সঞ্চার করেন।

প্রশ্ন-৭। উদ্যোক্তাকে ঝুঁকি গ্রহণ করতে হয় কেন?

উত্তরঃ ঝুঁকি উদ্যোক্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যদিও মুনাফা লাভের আশায় কারবারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় তবুও সেখানে লোকসানের ঝুঁকিও নিতান্ত কম নয়। একজন উদ্যোক্তাকে তাই সব সময় পরিমিত ঝুঁকি গ্রহণ করতে হয়।

প্রশ্ন-৮। আত্মকর্মসংস্থানকে প্রধানত কত শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?

উত্তরঃ আত্মকর্মসংস্থানকে প্রধানত দু’টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা–

১। বেতন বা মজুরিভিত্তিক চাকরি এবং

২। আত্মকর্মসংস্থান বা স্বনিয়োজিত পেশা।

প্রশ্ন-৯। বাংলাদেশের সম্মানজনক ও স্বাধীন পেশা কী?

উত্তরঃ বাংলাদেশের সম্মানজনক ও স্বাধীন পেশা ব্যবসায়।

প্রশ্ন-১০। ব্যবসায় উদ্যোক্তার গুণাবলী কী কী?

উত্তরঃ ব্যবসায় উদ্যোক্তার গুণাবলী–

১। সাংগঠনিক দক্ষতা;

২। আত্নবিশ্বাস;

৩। নেতৃত্বের যোগ্যতা;

৪। উদ্ভাবনী শক্তি;

৫। সৃজনশীলতা ও

৬। সতর্কতা।

প্রশ্ন-১১। আত্মকর্মসংস্থানের একটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।

 

উত্তরঃ আত্মকর্মসংস্থানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এতে আয়ের সম্ভাবনা অসীম। ঝুঁকি নিয়ে আত্মকর্মসংস্থান হিসেবে কোনো ব্যবসায় শুরু করার প্রথম দিকে আয় কম হতে পারে। কিন্তু, ব্যবসায় সম্প্রসারিত হলে ব্যক্তির আয় বাড়তে থাকে। এ সুবিধা চাকরি বা অন্যান্য পেশায় পাওয়া যায় না।

চাকরির বিকল্প পেশা হিসেবে আত্মকর্মসংস্থানকে বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ স্বল্প পুঁজি, নিজস্ব চিন্তা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের প্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে।

বাংলাদেশ অধিক জনসংখ্যার দেশ। জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে কর্মস্থানের চাহিদা যে হারে বাড়ে সে হারে কর্মসংস্থানের সংখ্যা বাড়ে না। ইচ্ছে করলেই চাকরির ব্যবস্থা করা যায় না। এজন্য কর্মহীন লোকের সংখ্যা বেড়ে যায়। এসব কর্মহীন লোক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায়। কারণ আত্মকর্মসংস্থানমূলক পেশায় আয়ের সম্ভাবনা অধিক, স্বাধীন পেশা, অধিক কর্মসংস্থান তৈরি প্রভৃতি সুবিধা আছে।

তাই চাকরির বিকল্প পেশা হিসেবে তারা আত্মকর্মসংস্থানকে বেছে নেয়।

উদ্যোগ নেওয়া কি সর্বদাই লাভজনক?

উত্তরঃ যেকোনো কাজের কর্মপ্রচেষ্টাই উদ্যোগ। তবে লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করা হলো ব্যবসায় উদ্যোগ।

উদ্যোগ যেকোনো বিষয় নিয়ে হতে পারে। এটি সাধারণত জনকল্যাণমূলক, ব্যক্তিগত বা সামাজিক হয়। এতে লাভের বিষয়টি মুখ্য নয়। এমনকি উদ্যোগ চালু রাখার জন্য নিজের আর্থিক ক্ষতিও হয়। আবার ব্যবসায় উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন। এতে মুনাফার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্বও পালন করতে হয়। আর ঝুঁকির কারণে ব্যবসায়ীকে অনেক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

তাই উদ্যোগ নেওয়া সবসময় আর্থিকভাবে লাভজনক হয়ে থাকে না।

5/5 - (1 vote)