মুহাম্মদ ঘুরী ছিলেন একজন সামরি বিজেতা- কথাটির বিশ্লেষণ | বিজেতা হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরী কৃতিত্ব আলোচনা কর।

মুহাম্মদ ঘুরী ছিলেন একজন সামরি বিজেতা- কথাটির বিশ্লেষণ | বিজেতা হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরী কৃতিত্ব আলোচনা কর।

সামরিক বিজেতা হিসেবে মুহাম্মদ ঘুরীর মূল্যায়ন কর মহাশক্তিশালী বীর যোদ্ধা মুহাম্মদ ঘুরী ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে মুসলিম শাসনের সূচনাকারী হিসেবে পরিচিত। তিনি মেধা ও প্রজ্ঞা দ্বারা ভারত অভিযান সফল করে ভারতে স্থায়ী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ভিত তৈরি করেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, তার প্রচেষ্টাতেই ভারতে স্থায়ী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছিল। তিনি রাজনীতিবিদ ও দূরদর্শী রাষ্ট্র…

ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে লিখ

ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে লিখ

সুলতান ইলতুৎমিশ কর্তৃক নাচির উদ্দিন কুরাচার বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দাও। কুতুবুদ্দিন আইবেক কর্তৃক ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হলেও তার স্বল্পকালীন শাসনে মুসলিম আধিপত্য সুষ্ঠুভাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। তাই তার মৃত্যুর পর সমগ্র উত্তর ভারতে বিদ্রোহের সূত্রপাত হলে ইলতুৎমিশ কঠোর হস্তে একে একে সব বিদ্রোহের অবসান ঘটান। নাসিরউদ্দিন কুবাচার বিদ্রোহ ছিল তার মধ্যে…

সুলতান ইলতুৎমিশ কর্তৃক তাজউদ্দিন ইয়ালদুজের বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে লিখ

সুলতান ইলতুৎমিশ কর্তৃক তাজউদ্দিন ইয়ালদুজের বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে লিখ

সুলতান ইলতুৎমিশ কর্তৃক তাজউদ্দিন ইয়ালদুজের বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে কি জান? অথবা, সুলতান ইলতুৎমিশ কর্তৃক তাজউদ্দিন ইয়ালদুজের বিদ্রোহ দমন সম্পর্কে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর। তুর্কি জাতির যখন বিপদাপন্ন, দেশ যখন বিদ্রোহী সর্দার ও ক্ষমতাশালী অভিজাত গণের দ্বারা পূর্ণ এবং বিজেতা রাজা ও রাজ্যগণ যখন দিল্লির সুলতানের ক্ষমতায় অস্তিত্ব বিলোপ সাধনে সচেষ্ট, সে দুর্যোগের দিনে ইলতুৎমিশের আবির্ভাব। তাই…

বৈরাম খান কে ছিলেন । বৈরাম খানের পরিচয় দাও | আকবরের অভিভাবক হিসেবে বৈরাম খানের অবস্থান লিখ।

বৈরাম খান কে ছিলেন । বৈরাম খানের পরিচয় দাও | আকবরের অভিভাবক হিসেবে বৈরাম খানের অবস্থান লিখ।

আকবরের অভিভাবক হিসেবে বৈরাম খানের অবস্থান লিখ। মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের সাথে বৈরাম খানের নাম বিশেষভাবে জড়িত। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের বিশ্বস্ত অনুচর ছিলেন। সম্রাট আকবর যখন দিল্লির সিংহাসনে বসেন তখন বৈরাম খান সম্রাট আকবরের অভিভাবক হিসেবে তিনিই মূলত মুঘল সাম্রাজ্য পরিচালনা করেন। তার দক্ষ পরিচালনায় মুঘল সাম্রাজ্য ভারতবর্ষে বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার পথ প্রশস্ত হয়। অভিভাবক…

সমগ্র মধ্যযুগের ইতিহাসে বাবর এক আকর্ষণীয় চরিত্র উক্তিটি যথাযথ মূল্যায়ন কর । বাবরের চারিত্রিক গুণাবলি আলোচনা কর।

সমগ্র মধ্যযুগের ইতিহাসে বাবর এক আকর্ষণীয় চরিত্র উক্তিটি যথাযথ মূল্যায়ন কর । বাবরের চারিত্রিক গুণাবলি আলোচনা কর।

বাবরের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর।  অথবা, বাবরের চারিত্রিক গুণাবলি আলোচনা কর। ভারতবর্ষের শাসকবর্গের ইতিহাসে যার নাম সর্বামে উচ্চারিত হয় তিনি হচ্ছেন জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর। বাবর শুধুমাত্র একজন শাসকই ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন নানা প্রতিভার অধিকারী। বাল্যকালেই বাবরের শাসনকার্য পরিচালনার হাতেখড়ি হয়। তবে বাবরের সমগ্র জীবন সুখ স্বাচ্ছন্দ্য আর জৌলুসে ভরা ছিল না। ছোটবেলা থেকেই…

আকবর কে ছিলেন ৷ সম্রাট আকবরের পরিচয় দাও

আকবর কে ছিলেন ৷ সম্রাট আকবরের পরিচয় দাও

মুঘল বংশের যে কয়জন শাসক ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন তাদের মধ্যে মহামতি আকবর অন্যতম। ভারতের ইতিহাসে আকবর ছিলেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক। এ মহান শাসক জনগণের অন্তরের স্মৃতিতে আজও অমর হয়ে আছেন। তিনি শ্রেষ্ঠ মুঘল শাসক হিসেবে মুঘল ইতিহাসে স্থান দখল করে আছেন। সম্রাট আকবরের পরিচয় : নিম্নে সম্রাট আকবরের পরিচয় বর্ণনা করা হলো- ১. জন্ম : অতুল…

শেরশাহের রাজ্যবিস্তার আলোচনা কর

শেরশাহের রাজ্যবিস্তার আলোচনা কর

মুঘল সাম্রাজ্যের সময়ে অমুঘল তথা আফগান শাসক হয়েও যিনি ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি হচ্ছেন শেরশাহ। তিনি মুঘল সম্রাট হুমায়ূনকে নিজ মেধা ও রণকৌশল দিয়ে পরাজিত করে দিল্লির সিংহাসনে বসেন। তবে শেরশাহ এখানেই থেমে থাকেন নি। তিনি পরবর্তীতে অন্যান্য রাজ্যজয় করে নিজ রাজ্যবিস্তার করেন। শেরশাহের রাজ্যবিস্তার : দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করে শেরশাহ রাজ্যজয়ে মনোনিবেশ করেন। নিম্নে…

ফরিদের শেরখান উপাধি লাভ । ফরিদ কিভাবে শেরখান উপাধি লাভ করেন

ফরিদের শেরখান উপাধি লাভ । ফরিদ কিভাবে শেরখান উপাধি লাভ করেন

ফরিদের শেরখান উপাধি লাভের ঘটনা বর্ণনা শুর আফগান দলপতি শেরখান মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর পুত্র হুমায়ূনকে বিলগ্রামের যুদ্ধে পরাজিত করে শেষবারের মতো আফগান জাতি দিল্লির সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে উত্তর ভারত এবং বাংলায় আফগান শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। হুমায়ূন কর্তৃক মুঘল সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করা পর্যন্ত শেরশাহ এবং তার বংশধরগণ সাম্রাজ্য শাসন করেন। শেরশাহের পুত্র ইসলাম শাহের পর…

হুমায়ুন কিভাবে সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন

হুমায়ুন কিভাবে সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন

 হুমায়ূনের সিংহাসন পুনরুদ্ধার সম্রাট হুমায়ূন অসীম সাহস এবং ধৈর্যের অধিকারী ছিলেন। তিনি সিংহাসনে বসেই নিজ ভাইদের বিরোধিতা এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হন। শেরশাহের দূরদর্শিতা এবং আফগান যোদ্ধাদের প্রচণ্ড জাতীয়তাবাদী শক্তির জন্য ১৫৩৯ সালে চৌসা এবং ১৫৪০ সালে বক্সারের যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হুমায়ূন সিংহাসন ছাড়া হন। এরপর ১৫৪০-১৫৫৫ সাল পর্যন্ত ভারতে আফগান শাসন চলে। → হুমায়ূনের সিংহাসন…

হুমায়ুন নামের উপর একটি টীকা লিখ

হুমায়ুন নামের উপর একটি টীকা লিখ

সম্রাট বাবর ভারতবর্ষে যে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি রচনা করেছিলেন পরবর্তীতে তার যোগ্য উত্তরসূরিরা তাদের দক্ষতায় তা এক বিশাল সাম্রাজ্য দান করেছিলেন। সম্রাট হুমায়ূন মুঘল বংশের দ্বিতীয় সম্রাট। তাঁর জীবনে বিভিন্ন সময় বড় ধরনের উত্থান-পতন ঘটলেও তিনি অসীম সাহসিকতা ও অসাধারণ ধৈর্যের মাধ্যমে এবং সর্বোপরি নিজের উপর আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে তিনি হারানো সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।…