সিদ্ধান্ত গ্রহণ কি

“Decision making is the choice of alternatives, based on judgement.” [J. G. Glover] চলমান জীবনের মৌলিক বিষয় হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানবজীবনের সর্বস্তরের সফলতা ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সিদ্ধান্ত দ্বারা আবর্তিত। ব্যক্তিজীবনের সকল সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর। তেমনি প্রশাসন ব্যবস্থায় সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করে ব্যবস্থাপক বা প্রশাসকের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর। তেমনি প্রশাসন ব্যবস্থায় গতিশীলতা প্রণয়ন, সুষ্ঠুতা নিরূপণ এবং ফলপ্রসূ করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিকল্প নেই। ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হল সিদ্ধান্ত গ্রহণ। ব্যবস্থাপনাকে প্রতি পদক্ষেপেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। সাধারণত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উৎকৃষ্টতম বিকল্প নির্বাচনের প্রক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করা যায়। তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকের সার্বক্ষণিক কাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণ কি সাধারণত, সিদ্ধান্ত গ্রহণ হল বাছাইকরণ বা পছন্দ করা, যার মাধ্যমে কোন বিশেষ অবস্থায় কি করা হবে বা হবে না তা ঠিক করা হয়। অর্থাৎ একাধিক বিকল্পের মধ্য হতে সঠিকটি নির্ধারণ করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। অন্যভাবে বলা যায়, কোন সুনির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে একাধিক বিকল্প কর্মপদ্ধতির মধ্য থেকে যে প্রক্রিয়ায় সঠিক কর্মপদ্ধতি নির্ধারণের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফলে পৌঁছা সম্ভবপর হয় তাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বলে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন প্রামাণ্য সংজ্ঞা (সিদ্ধান্ত গ্রহণ কাকে বলে) বিভিন্ন মনীষী বিভিন্নভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে তাঁদের কয়েকটি সংজ্ঞা প্রদান করা হল। রিকি ডব্লিউ. গ্রিফিন (Ricky W. Griffin) এর মতে, “সিদ্ধান্ত গ্রহণ হল কতিপয় বিকল্প পদ্ধতি হতে একটি বিকল্প পদ্ধতি বাছাই করার প্রক্রিয়া।” (Decision making is the act of choosing one alternative from among a set of alternatives.) আইরিচ এবং কুঞ্জ (Weirich and Koontz) এর মতে, “সিদ্ধান্ত গ্রহণ হচ্ছে বিকল্প কর্মপদ্ধতিসমূহ হতে একটি কর্মপদ্ধতি নির্বাচন করা।“(Decision making is defined as the selection of a course of…

পরিকল্পনার সীমাবদ্ধতা সমূহ ব্যাখ্যা কর

প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের জন্যই পরিকল্পনা প্রথম এবং প্রধান ধাপ। পরিকল্পনার ব্যর্থতার দায়ভার প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যাবলির উপর পতিত হয়। তাই পরিকল্পনাকে যথাসম্ভব ত্রুটিমুক্ত রাখতে সকল প্রতিষ্ঠানই সচেষ্ট হয়। তথাপি পরিকল্পনার কতিপয় সীমাবদ্ধতা আছে, যার ফলে পরিকল্পনা বিভিন্ন সময় ব্যর্থতায় পরিণত হয়। পরিকল্পনার সীমাবদ্ধতা পরিকল্পনার বহুবিধ সীমাবদ্ধতা আছে, যা কখনও সংশোধন করা যায়, আবার কখনও সংশোধন সম্ভব হয় না। নিম্নে পরিকল্পনার…

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কি

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কি সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য অর্জনের নিমিত্তে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় তাকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বলে। সাধারণভাবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কি : দীর্ঘমেয়াদের জন্য যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় তাকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বলে। ব্যাপকভাবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কি : দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করার জন্য অনেক তথ্যের প্রয়োজন হয়, প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য সংগ্রহ করতে হয়, বিচার বিশ্লেষণ করতে…

স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা কি

প্রতিষ্ঠানের মৌলিক উদ্দেশ্য এবং প্রতিযোগিতাশীল বিশ্বে টিকে থাকার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আবশ্যক। প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়, তার মধ্যে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা অন্যতম। স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা কি সাধারণ অর্থে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা কি : স্বল্পমেয়াদের জন্য উদ্দেশ্য অর্জনের নিমিত্তে যে পরিকল্পনা করা হয় তাকে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা বলে। ব্যাপক অর্থে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা কি : কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের নিমিত্তে যে…

স্থায়ী পরিকল্পনা কাকে বলে

মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যেই একজন উদ্যোক্তা কোন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে থাকে এবং এর যাবতীয় কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদের জন্য চিন্তাভাবনা করে ঠিক করে থাকে। এক্ষেত্রে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও বার বার ব্যবহার করা এমন একটি পরিকল্পনার কথা উত্থিত হয়, যা স্থায়ী পরিকল্পনা নামে পরিচিত। এ পরিকল্পনা একই জাতীয় সমস্যা লাঘব করার জন্য বার বার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। স্থায়ী পরিকল্পনা কাকে বলে যে…

একার্থক পরিকল্পনা বলতে কী বোঝায়

পরিকল্পনা হল ব্যবস্থাপনার প্রথম ও প্রধান কাজ। প্রত্যেকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানেই তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়। একার্থক পরিকল্পনা কি বা কাকে বলে বা কি বোঝায় সাধারণত যে পরিকল্পনা একটি মাত্র উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মাত্র একবার ব্যবহার করা হয় তাকে একার্থক পরিকল্পনা বলে। আরও স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, যে পরিকল্পনা কোন প্রতিষ্ঠানে একবার ব্যবহার করলে দ্বিতীয়বার আর ব্যবহার…

পরিকল্পনার নমনীয়তা বলতে কি বুঝায়

আমাদের সমাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। পরিকল্পনা করা হয় ভবিষ্যৎ কাজকর্মের জন্য অর্থাৎ ভবিষ্যতে কি পরিমাণ কাজ করা হবে? কিভাবে করা হবে? কতদিনের মধ্যে করা হবে? এসব কিছু স্থির সিদ্ধান্ত হলে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ সমাজের মানুষের চাহিদা দিন দিন পরিবর্তিত হচ্ছে। সুতরাং এ পরিবর্তিত অবস্থা যাতে পরিকল্পনার মাধ্যমে খাপখাওয়ানো যায় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কারণ ব্যবসায় বাণিজ্য হচ্ছে সমাজভিত্তিক সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যবসায় বাণিজ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হয়। আর এ ব্যবসায় বাণিজ্যের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য পরিকল্পনা অন্যতম চাবিকাঠি। সুতরাং সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিকল্পনাও যাতে তার সাথে খাপ খেয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে সেজন্য যখন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে তখনই এ সম্বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিবর্তিত অবস্থা মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা পরিবর্তন অপরিহার্য। এজন্য প্রতিষ্ঠানে যেসব কর্মচারীরা থাকবে তাদেরকে সেই মনমানসিকতায় গড়ে তুলতে হবে। যারা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে উচ্চ স্তরে আছেন তারা সহজে ব্যবসায়ের পরিকল্পনা পরিবর্তনের অপরিহার্যতা উপলব্ধি করতে পারেন। যেখানে নিচু স্তরের লোকেরা সহজে এটা উপলব্ধি করতে পারে না, এজন্য উঁচু স্তরের কর্মীদের উচিত নিচু স্তরের কর্মীদের সম্বন্ধে এ বিষয়ে সম্যক জ্ঞান প্রদান এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত করা। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহিগণকে সবসময় চারদিকে নজর রাখতে হবে। কোন তথ্য কিভাবে সমাজকে পরিবর্তন করছে, সে তথ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলা অপরিহার্য যে, আমাদের সমাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। কারণ মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে, আয় বাড়ছে, ভোগ বাড়ছে, সঞ্চয় বাড়ছে। এসব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করলে এটা বুঝা যায় যে, ব্যবসায়িক পরিকল্পনাও স্থির হতে পারে না। কারণ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে সমাজকে নিয়ে, তাই সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যবসায়িক পরিকল্পনাও ঐ অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হবে, যা পরিকল্পনার নমনীয়তা।

পরিকল্পনা কি | পরিকল্পনা কাকে বলে

পরিকল্পনা কি কোনকিছু করার আগেই পরিকল্পনা করতে হয়। সমগ্র ভূ–মণ্ডল সৃষ্টি করার পূর্বে মহান সৃষ্টিকর্তা ভূ–মণ্ডল সৃষ্টির জন্য যেমন পরিকল্পনা করেছিলেন, তেমনি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও পরিকল্পনা করতে হয়। এটি ব্যবস্থাপনার প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক কাজ। পরিকল্পনা এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যবস্থাপক ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করেন। পরিকল্পনা হল কোন কাজ করার আগে কিছু ভাবা, না ভেবে কাজ করলে কাজের ক্ষতি হতে পারে। তাই তো বলা হয়ে থাকে– “ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না” তাই ভবিষ্যতে কি করা হবে সে সম্পর্কে পূর্ব চিন্তাভাবনা করে করণীয় কাজ ঠিক করা হয়। পরিকল্পনা কাকে বলে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের অগ্রিম কল্পিত চিত্রকেই পরিকল্পনা বলে। আরও স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, ভবিষ্যতের অগ্রিম সিদ্ধান্ত গ্রহণই হচ্ছে পরিকল্পনা। মূলত পরিকল্পনা হচ্ছে একটি চিন্তনীয় কাজ। পরিকল্পনার উপর প্রতিষ্ঠানের সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ভরশীল। সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমে পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিকল্পনা সম্পর্কে বিভিন্ন মনীষী তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। নিম্নে তাঁদের কতিপয় মতামত তুলে ধরা হল। কুঞ্জ এবং আইরিচ (Koontz & Weihrich) বলেছেন, “কি করতে হবে এবং কার দ্বারা করতে হবে বিবিধ বিকল্প কার্যক্রমের মধ্য থেকে তা বেছে নেওয়ার বা স্থির করার নামই হল পরিকল্পনা।” অধ্যাপক নিউম্যান (Prof. Newman) বলেছেন, “ভবিষ্যতে কি করতে হবে, তার অগ্রিম সিদ্ধান্তকেই পরিকল্পনা বলে।” (Planning is deciding in advance what is to be done that is a plan is a projected course of action.) ‘ও’ ডোনেল (O’ Donnell) এর মতে, “কোনদিন, কোথায়, কোন কার্য, কার দ্বারা, কিভাবে সম্পন্ন হবে তা স্থির করাই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য।” রিকি ডব্লিউ. গ্রিফিন (Ricky W. Griffin) এর মতে, “পরিকল্পনার অর্থ হচ্ছে সংগঠনের উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠা করা এবং কিভাবে সবচেয়ে উত্তম উদ্দেশ্য অর্জন করা যায় তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।” (Planning means setting an organizational goals and deciding how best to achieve…

ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যসমূহ বর্ণনা কর

কোন দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উপর ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য অনেকাংশে নির্ভরশীল। যেহেতু ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সাথে সম্পর্কিত তাই এর উদ্দেশ্য বিশেষভাবে ঐ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার উদ্দেশ্যের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। স্থান-কাল-পাত্রভেদে ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য পরিবর্তিত হয়। মুনাফা অর্জনই ব্যবস্থাপনার মুখ্য উদ্দেশ্য। এ প্রসঙ্গে Ansoff বলেছেন, “একটি প্রতিষ্ঠান মুনাফার মাধ্যমেই এর উদ্দেশ্য অর্জন করে।“ আবার পি. এফ. ড্রাকার (P. F. Drucker) বলেছেন, “অস্তিত্ব…

ক্যারিয়ার কি | ক্যারিয়ার কাকে বলে

ক্যারিয়ার কি জীবনোপায় বা ক্যারিয়ার বাংলা শব্দটি ইংরেজি ‘Career’ নামেই অধিক পরিচিত। প্রতিটি মানুষই তার জীবিকা নির্বাহের জন্য কোন না কোন পথ বেছে নেয়। আর জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্য গৃহীত এই কোন না কোন পথটিই ঐ ব্যক্তির জীবনোপায় বা Career (ক্যারিয়ার) হিসেবে বিবেচিত হয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবস্থাপনাও বর্তমানকালে একটি জনপ্রিয় এবং প্রতিদ্বন্দ্ৰিকতাপূর্ণ জীবনোপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ক্যারিয়ার কাকে বলে সকল মানুষের অভাব বা প্রয়োজন রয়েছে। এ অভাব বা প্রয়োজন পূরণ করার জন্য মানুষ কোন একটি কাজকে জীবিকা হিসেবে বেছে নেয়। মানুষ জীবিকা অর্জনের উপায় হিসেবে যে কাজ গ্রহণ করে তাকে জীবনোপায় বা ক্যারিয়ার বলে। যেমন- ব্যবসায়, চাকরি, চিকিৎসাবিদ্যা, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, হিসাববিদ্যা, ব্যবস্থাপনা এগুলোর মধ্য থেকে কোন ব্যক্তি যেটিকে তার জীবনে অগ্রগতির স্প্যান হিসেবে গ্রহণ করবে, সেটিই তার জীবনোপায় বা ক্যারিয়ার বিবেচিত হবে। সুতরাং ক্যারিয়ার বা জীবনোপায় হল কোন ব্যক্তির অগ্রগতি, পেশা কিংবা কর্মজীবনে তার উন্নতির স্প্যান বা চাবিকাঠিস্বরূপ। নিম্নে জীবনোপায় সম্পর্কে বিভিন্ন লেখক বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে তাদের কয়েকটি সংজ্ঞা উপস্থাপন করা হল : পি. এইচ. কলিন (P. H. Collin) এর মতে, “প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যে কাজ তুমি সাড়া জীবন করার প্রত্যাশা কর তাকে ক্যারিয়ার বা জীবনোপায় বলে।” (Career means a job which you are trained for and which you expect do all your life.) ই. বি. ফিলিপপো (E. B. Flippo) এর মতে, “ক্যারিয়ারকে একটি পৃথক অথচ সম্পর্কযুক্ত কাজের অনুক্রম হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়, যা একজনের জীবনকে ধারাবাহিকতা, শৃঙ্খলার পাশাপাশি গুরুত্ববহ করে তোলে।” (A career can be defined as a sequence of separate but related work activities that provides continuity, order and meaning in a…