বাক্যের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশভঙ্গিকে বাচ্য বলে। যেমন– আমেনা উপন্যাস পড়ে। বৃদ্ধ লোকটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল। আমার খাওয়া হবে না।
বাচ্যের প্রকারভেদ
বাচ্য তিন প্রকার। যথা :
- কর্তৃবাচ্য
- কর্মবাচ্য
- ভাববাচ্য
১. কর্তৃবাচ্য : যে বাক্যে কর্তার অর্থ প্রাধান্য রক্ষিত হয় এবং ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয়, তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। যেমন– পুলিশ চোর ধরেছে। কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছে।
কর্তৃবাচ্যের বৈশিষ্ট্য :
(ক) কর্তৃবাচ্যের ক্রিয়াপদ সব সময় কর্তার অনুসারী হয়।
(খ) কর্তার সাথে শূন্য/প্রথমা বিভক্তি যুক্ত হয়।
(গ) কর্মপদ প্রাণিবাচক বিশেষ্য হলে তার সাথে কে, রে, য় বিভক্তি যুক্ত হয়। কিন্তু কর্মপদ যদি অপ্রাণিবাচক বিশেষ্য হয়, তাহলে তার সাথে শূন্য বিভক্তি যুক্ত হয়।
২. কর্মবাচ্য : যে বাক্যে কর্মের সঙ্গে ক্রিয়ার সম্বন্ধ প্রধানভাবে প্রকাশিত হয়, তাকে কর্মবাচ্য বলে।
৩. ভাববাচ্য : যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে।
বাচ্য পরিবর্তন
কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য : বাক্যকে কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে রূপান্তরিত করতে হলে কর্তৃবাচ্যের কর্ম কর্তায় রূপান্তরিত হয়, (কর্তৃবাচ্যের) কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি হয় এবং ক্রিয়া কর্মের অনুগামী হয়। যেমন—
১. জেলে মাছ ধরে (কর্তৃবাচ্য) – জেলে কর্তৃক মাছ ধৃত হয় (কর্মবাচ্য)।