বিপরীত শব্দ কাকে বলে? বিপরীত শব্দের শ্রেণিবিভাগ ও প্রয়োজনীয়তা।

প্রতিটি শব্দেরই অর্থ আছে। একটি শব্দ যখন অন্য একটি শব্দের ঠিক উল্টা অর্থ প্রকাশ করে, তখন তাকে বিপরীত শব্দ বলে। যেমনঃ দিন, রাত, ছােট-বড়, উঁচু-নিচু, সত্য-মিথ্যা ইত্যাদি।

বিপরীত শব্দের শ্রেণিবিভাগ

বিপরীত শব্দ দু’ভাগে বিভক্ত। যথা– ১. পর্যায়মূলক বিপরীত শব্দ ও ২. যুগল বিপরীত শব্দ।

বিপরীত শব্দের প্রয়োজনীয়তা

পৃথিবীর সকল ভাষার মতো বাংলা ভাষাতেও বিপরীত শব্দের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা  রয়েছে। ভাষার গাঁথুনি মজবুত করতে হলে এবং ভাষার প্রকাশ ক্ষমতা বাড়াতে হলে বাংলা ভাষায় বিপরীত শব্দের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বিপরীত শব্দ কোন ভাষার শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধিতে যথেষ্ট সহায়ক। নিচে এবং বিপরীত শব্দের প্রয়োজনীয়তার দিকগুলো উল্লেখ করা হলো:

  • মনের ভাব যথাযথভাবে প্রকাশ, ভাষার শ্রুতিমাধুর্য এবং সৌকর্য সাধনে বিপরীত শব্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • দুটি বিপরীতধর্মী শব্দের ব্যবহারের ফলে বক্তব্য বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।
  • বিপরীত ভাববোধক শব্দসমূহ শব্দজ্ঞানের গভীরতা প্রকাশ করে ও ভাষাকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করে। এতে শব্দের যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা পাওয়া যায়।
  • সম্পূর্ন বিপরীতধর্মী মনোরম প্রকাশের ক্ষেত্রে বিপরীত শব্দের গুরুত্ব অত্যধিক।
  • বৈচিত্র্যপূর্ণ বিষয়ের যুক্তিযুক্ত উপস্থাপনে বিপরীত শব্দের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
  • বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে বিপরীত শব্দ বৈচিত্র্য আনয়ন করে।
  • বিপরীত শব্দ ভাব প্রকাশের অনূকূল হওয়ায় ভাষা শৈলী সহজতর ও প্রাণবন্ত হয়

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *