পড়াশোনা

আঞ্চলিক ভাষা কাকে বলে? আঞ্চলিক ভাষার বৈশিষ্ট্য কি কি?

1 min read

যে ভাষা একটি দেশের অঞ্চলবিশেষের কথ্য ভাষা তাকে আঞ্চলিক ভাষা বলে।

প্রত্যেক দেশেই বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে পার্থক্য থাকে। এই পার্থক্য কথার টানে, উচ্চারণে এবং শব্দের রূপে দেখা যায়। জিহ্বার জড়তা, বিশেষ ভঙ্গিতে ধ্বনি ও শব্দ উচ্চারণ অন্যান্য অঞ্চল বা দেশের সঙ্গে মেলামেশা, স্থানীয়ভাবে কিছু কিছু শব্দ সৃষ্টি বা সৃষ্ট শব্দের ব্যবহার, জলবায়ু, আবহাওয়া ইত্যাদি কারণে আঞ্চলিক ভাষা গড়ে ওঠে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় পার্থক্য আছে। যেমন–

চট্রগ্রাম জেলার পল্লী অঞ্চলে ‘অতিথি’-কে বলে ‘গর্বা’

নোয়াখালী জেলার পল্লী অঞ্চলে ‘টাকা’-কে বলে ‘টেকা’, ‘খাব’-কে বলে ‘খামু’

‘মেয়ে’ শব্দটি বিভিন্ন স্থানে ‘পুরি’, ‘মাইয়া’, ‘ছেমড়ি’, ‘ছেড়ি’, ‘ছোকড়ি’, রূপ লাভ করেছে।

আঞ্চলিক ভাষার বৈশিষ্ট্য

আঞ্চলিক ভাষার বৈশিষ্ট্যগুলো হলঃ

(১) আঞ্চলিক ভাষা সাধারণত মৌখিক ভাষা। তবে, তার লিখিত রূপও পাওয়া যায়।

(২) আঞ্চলিক ভাষা স্ব-স্ব অঞ্চলের উচ্চারণ ও বাক্য গঠনরীতি-নির্ভর।

(৩) আঞ্চলিক ভাষা যে কোনো দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত।

(৪) আঞ্চলিক ভাষার কোনো কোনো শব্দ সাধু রীতি বা চলিত রীতিতে গৃহীত হয়ে থাকে।

 

শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “আঞ্চলিক ভাষা কাকে বলে? আঞ্চলিক ভাষার বৈশিষ্ট্য কি কি?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।

4.7/5 - (30 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x