Modal Ad Example
পড়াশোনা

বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ কাকে বলে? বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থের উদাহরণ, বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার।

1 min read

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে অতি সহজে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তাদেরকে বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ বা সুপরিবাহী পদার্থ বা কন্ডাক্টর বা পরিবাহক বলে। সাধারণত সব ধাতুই কম-বেশি ভালো বিদ্যুৎবাহী। তন্মধ্যে রূপা, তামা, অ্যালুমিনিয়াম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ধাতব পদার্থ ছাড়া মাটি, প্রাণীদেহ, কার্বন, কয়লা পরিবাহকের কাজ করে।

বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থের গুণাগুণ বা বৈশিষ্ট্য

বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থের গুণাগুণ বা বৈশিষ্ট্য নিচে দেয়া হলো :
১. নিম্নমানের আপেক্ষিক রেজিস্ট্যান্স থাকতে হবে।
২. নিম্নমানের তাপমাত্রা সহগ হতে হবে।
৩. ক্ষয়রোধক ক্ষমতা বা স্থায়িত্ব হতে হবে।
৪. যান্ত্রিক টান সহন ক্ষমতা বেশি থাকতে হবে।
৫. নমনীয়তা সম্পন্ন গুণ থাকতে হবে।
৬. মরিচা প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকতে হবে।
৭. সোল্ডারিং করার উপযুক্ততা থাকতে হবে।

বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থের ব্যবহার

বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থের ব্যবহার নিম্নে দেয়া হলো। যথা-

(ক) রূপা : রূপার দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় এর ব্যবহার খুব কম হয়। প্রধানত ওয়াট-আওয়ার মিটারের কম্যুটেটরে, কার্টিজ ফিউজ ও কিছু কিছু বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির কনডাক্টে রূপা ব্যবহার করা হয়।

(খ) তামা : মোটর রি-ওয়াইন্ডিংয়ে সুপার এনামেল কপার ওয়্যার, বৈদ্যুতিক ক্যাবল, জেনারেটরের কম্যুটেটর এবং ওভারহেড লাইনে তামার তার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

(গ) অ্যালুমিনিয়াম : তামার তারের তুলনায় দামে সস্তা বলে বর্তমানে ওভারহেড লাইনে ও ভূ-নিমস্থ ক্যাবল লাইনে অ্যালুমিনিয়ামের তার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

(ঘ) সীসা : ক্যাবলের আবরণ, ফিউজ তার, ব্যাটারির প্লেট ইত্যাদি তৈরিতে সীসা ব্যবহার করা হয়।

(ঙ) পারদ : অ্যাম্পিয়ার আওয়ার মিটার, মার্কারি ভ্যাপার ল্যাম্প, মার্কারি আর্ক রেক্টিফায়ার ও রিলের ভিতরে পারদের ব্যবহার দেখা যায়।

(চ ) লৌহ ও স্টীল : লোহা ও স্টীলের ব্যবহার সীমাবদ্ধ। তবে এটি সাহায্যকারী কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x