দৈর্ঘ্য সংঙ্কোচন কাকে বলে? এক্সরে টিউব বা এক্সরে নল এর গঠন ও কার্যপদ্ধতি।

কোনো বস্তুর দৈর্ঘ্যের পরিমাপ সকল কাঠামোতে সমান নয় অর্থাৎ দৈর্ঘ্যের পরিমাপ পরম নয়। সুতরাং কোনো বস্তুর দৈর্ঘ্যের পরিমাপ আপেক্ষিক। গতিশীল কাঠামোতে অবস্থিত কোন দন্ডের (কাঠামোর গতির দিক বারাবর) দৈর্ঘ্য স্থির কাঠামোতে অবস্থিত পর্যবেক্ষক পরিমাপ করলে তার দৈর্ঘ্য ছোট হয়। একে দৈর্ঘ্য সংঙ্কোচন বলে।

এক্সরে টিউব বা এক্সরে নল এর গঠন ও কার্যপদ্ধতি।
এক্সরে নল একটি বায়ুশূন্য কাচ নল। কাচ নলের দুপ্রান্তে দুটি তড়িৎদ্বার বা ইলেকট্রোড লাগানো থাকে। এদের একটির নাম ক্যাথোড এবং অপরটি অ্যানোড। ক্যাথোডে টাংস্টেন ধাতুর একটি কুন্ডলী থাকে, একে ফিলামেন্ট বলে। ফিলামেন্টের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত তড়িৎপ্রবাহ ক্যাথোডকে উত্তপ্ত করে। ফলে ক্যাথোড থেকে ইলেক্টন বিমুক্ত হয় এবং বের হয়ে আসে। ক্যাথোড ও অ্যানোডের মধ্যে খুব উচ্চমানের বিভব পার্থক্য প্রয়োগ করা হলে ক্যাথোড থেকে ইলেকট্রনগুলো খুব দ্রুতগতিতে ছুটে যায় এবং লক্ষ্যবস্তু অ্যানোডকে আঘাত করে। সংঘর্ষের ফলে ইলেকট্রনের গতি হঠাৎ থেমে যায় এবং ফোটন কণা তথা এক্সরে উৎপন্ন হয়। ইলেক্টনের গতিশক্তি তাড়িৎচৌম্বক তরঙ্গে রূপান্তরিত হয়। ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং উচ্চ কম্পাংকের তাড়িৎচুম্বক তরঙ্গের এই বিকিরণই হলো এক্সরে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *