আপেক্ষিক গুরুত্ব কি? ঘনত্ব ও আপেক্ষিক গুরুত্বের মধ্যে পার্থক্য

আজকের আর্টিকেলে আমি, আপেক্ষিক গুরুত্ব কি? ঘনত্ব ও আপেক্ষিক গুরুত্বের মধ্যে পার্থক্য, বিভিন্ন বস্তুর আপেক্ষিক গুরুত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে আর দেরি না করে চলুন এসব বিষয় সম্পর্কে জেনে নেই।

আপেক্ষিক গুরুত্ব কি বা কাকে বলে?

আপেক্ষিক গুরুত্ব হলো কোন বস্তুর ঘনত্ব ও অন্য একটি প্রসঙ্গ বস্তুর ঘনত্বের অনুপাত বা কোন বস্তুর ভর ও একই আয়তনের অন্য একটি বস্তুর ভরের অনুপাত।

আবার বলা যায়, কোন বস্তুর ওজন এবং 4°C তাপমাত্রায় সমপরিমাণ পানির ওজনের অনুপাতকে বস্তুর উপাদানের আপেক্ষিক গুরুত্ব বলে।

 

আপেক্ষিক গুরুত্ব নিয়ে কিছু তথ্যঃ

আপেক্ষিক গুরুত্বের প্রতীক
SI একক নাই

আপেক্ষিক গুরুত্বের মাধ্যমে কি কি জানা যায়?

আপেক্ষিক গুরুত্ব জানা থাকলে নিম্নের জিনিসগুলো জানা যায়।

  • কোন বস্তু পানিতে ডুববে নাকি ভাসবে তা জানা যায়।
  • বস্তুটি কোন পদার্থ দিয়ে তৈরি তা জানা যায়।
  • বস্তু পানির চেয়ে হালকা হলে ভাসমান অবস্থায় এর কত অংশ পানিতে নিমজ্জিত হবে তা জানা যায়।
  • বস্তুটি ফাঁপা কিনা তা জানা যায়।
  • বস্তুটি নিরেট বা খাঁটি কিনা এটা জানা যায়।
  • বস্তুটি ভেজাল কিনা এটা জানা যায় ইত্যাদি।

 

বিভিন্ন বস্তুর আপেক্ষিক গুরুত্ব

পদার্থ আপেক্ষিক গুরুত্ব
পানি ১.০০
অ্যালুমিনিয়াম ২.৭
তামা ৮.৯২
সোনা ১০.৫
রূপা ১০.৫
ম্যাগনেসিয়াম ১.৪৩
কেরোসিন ৮.০০
লোহা ৭.৮৬
প্লাটিনাম ২১.৪
বরফ ০.৯১৭
খাবার লবণ ২.১৭
সিমেন্ট ৩.১৫
টিন ৭.২৯
সোডিয়াম ০.৯৭
দস্তা ৭.১

ঘনত্ব ও আপেক্ষিক গুরুত্বের মধ্যে পার্থক্য কি কি?

ঘনত্ব আপেক্ষিক গুরুত্ব
বস্তুর একক আয়তনের ভরকে ঘনত্ব বলা হয়। বস্তুর একক আয়তনের ভর এবং 4°C তাপমাত্রায় সমপরিমাণ পানির ওজনের অনুপাতকে বস্তুর উপাদানের আপেক্ষিক গুরুত্ব বলে।
পানির ঘনত্বের সাথে বস্তুর আপেক্ষিক গুরুত্বকে গুণ করলে ঘনত্ব পাওয়া যায়। পানির ঘনত্ব দ্বারা বস্তুর ঘনত্বকে ভাগ করলে বস্তুর আপেক্ষিক গুরুত্ব পাওয়া যায়।
ঘনত্ব পদার্থের ভরের পরম মান নির্দেশ করে। অপরদিকে আপেক্ষিক গুরুত্ব পদার্থের ভরের তুলনামূলক মান বুঝতে সাহায্য করে।
যেমন – পানির ঘনত্ব ১০০০ যেমন – পানির আপেক্ষিক গুরুত্ব ১.০০
লোহার ঘনত্ব ৭৮৬০ লোহার আপেক্ষিক গুরুত্ব ৭.৮৬

তো আজ এখানেই থাকলো। আশা করি, আপেক্ষিক গুরুত্ব কি? ঘনত্ব ও আপেক্ষিক গুরুত্বের মধ্যে পার্থক্য, বিভিন্ন বস্তুর আপেক্ষিক গুরুত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছি। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *