অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি? অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা, অসুবিধা এবং ব্যবহার

What is Asynchronous Transmission?

যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক হতে ডেটা গ্রাহকে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Asynchronous Transmission) বলে। কীবাের্ড থেকে কম্পিউটারে কিংবা কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে ডেটা পাঠানাের জন্য এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। এ ডেটা ট্রান্সমিশনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলােঃ

  • যে কোন সময় প্রেরক ডেটা পাঠাতে পারে এবং গ্রাহক/প্রাপক তা গ্রহণ করতে পারে।
  • প্রতিটি ক্যারেক্টার এর সাথে একটি স্টার্ট বিট এবং একটি স্টপ বিট পাঠাতে হয়।
  • একটি করে ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করার মাঝখানের বিরতি সবসময় সমান নাও হতে পারে।
  • কম ডেটা ট্রান্সমিট এর ক্ষেত্রে বেশি উপযােগী
  • গতি কম।
  • দক্ষতা কম।
  • প্রেরক স্টেশনে প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়ােজন হয় না।
  • ডেটা চলাচল বন্ধ থাকলে মাধ্যমটি অব্যবহৃত অবস্থায় থাকে।
  • খরচ তুলনামূলকভাবে কম।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা

  • যে কোনাে সময় প্রেরক ডেটা স্থানান্তর করতে পারে এবং গ্রাহক তা গ্রহণ করতে পারে।
  • ডেটা ইনপুট করার পর তা সংরক্ষণের জন্য ডেটা বাফার রেজিস্টার প্রয়ােজন হয় না।
  • ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য প্রেরকের কোনাে প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়ােজন হয় না।
  • এটির ইন্সটলেশন অত্যন্ত কম।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের অসুবিধা

  • যখন ডেটা স্থানান্তরের কাজ বন্ধ থাকে তখন ট্রান্সমিশন মাধ্যমটি অকারণে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে যা মাইক্রোওয়েভ বা স্যাটেলাইট মাধ্যমের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
  • সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের তুলনায় এর দক্ষতা কম।
  • ডেটা ট্রান্সমিশনে গতি কম।
  • ডেটা ট্রান্সমিশেনে ভুল হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ব্যবহার

  • কী-বাের্ড হতে কম্পিউটারে
  • পাঞকার্ড রিডার হতে কম্পিউটারে কম্পিউটার হতে কার্ড পারে এবং
  • কম্পিউটার হতে প্রিন্টারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা স্থানান্তর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *