রাইবোজোম কাকে বলে? রাইবোজোমের বিস্তৃতি, গঠন এবং কাজ। What is Ribosome?

কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত ক্ষুদ্র দানাময় “রাইবোনিউক্লিও-প্রোটিন” কণা যা প্রোটিন সংশ্লেষের স্থান হিসেবে কাজ করে, তাকে রাইবোজোম (Ribosome) বলে।

রোমানিয়ান কোষবিজ্ঞানী জর্জ প্যালেড (George Palade) ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে এটি আবিষ্কার করেন এবং নাম দেন রাইবোনিউক্লিয়ার প্রোটিন। পরে বিজ্ঞানী রিচার্ড বি. রবার্টস (Richard B. Roberts) ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে এর নাম দেন Ribosome যা ribonucleoprotein particle of microsomes-এর শব্দ সংক্ষেপ।

 

বিস্তৃতি : যে সব কোষে প্রোটিন সংশ্লেষণ ঘটে সে সব কোষে রাইবোজোম পাওয়া যায়। প্রোক্যারিওটিক কোষে এগুলো সাইটোপ্লাজমে ছড়ানো থাকে। ইউক্যারিওটিক কোষে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ও প্লাজম মেমব্রেনের গায়ে যুক্ত থাকে এবং সাইটোপ্লাজমেও বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো থাকে। এ ছাড়া নিউক্লিয়াস, প্লাস্টিড ও মাইটোকন্ড্রিয়ার মাতৃকায় মুক্ত অবস্থায় থাকে। ব্যাকটেরীয় কোষে (E. coli) এর সংখ্যা প্রায় বিশ হাজার, কিন্তু কোন কোন ইউক্যারিওটিক কোষে এ সংখ্যা এক কোটি পর্যন্ত হতে পারে।

রাসায়নিক উপাদান : রাইবোজোমের উপাদান হচ্ছে ৩৫% রাইবোজোমাল প্রোটিন ও ৬৫% রাইবোজোমাল RNA। এছাড়া থাকে অল্প পরিমাণে বিভিন্ন ধাতব আয়ন, যেমন- Mg++, Ca++ ও Mn++।

রাইবোজোমের কাজ

১। কোষের প্রয়োজনীয় প্রোটিন সংশ্লেষণে প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্রহণ করা রাইবোজোমের প্রধান কাজ। তাই এগুলোকে Protein factory বলে।

২। স্নেহ বিপাক ও সাইটোক্রোম উৎপাদনে ভূমিকা পালন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *