যে ডিজিটাল বর্তনীর সাহায্যে কম্পিউটারে ব্যবহৃত ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করা হয় অর্থাৎ কোডেড (Coded) ডেটাকে আনকোডেড (Uncoded) ডেটায় পরিণত করা হয় তাকে ডিকোডার বলে। অর্থাৎ ডিকোডার এমন একটি লজিক সার্কিট, যা কোন কোড (Code)-কে ডিকোড (Decode) করতে পারে। এটি কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে। ডিকোডার এনকোডার এর বিপরীত কাজ করে। ডিকোডারে ইনপুট সংখ্যা n হলে তার আউটপুট সংখ্যা 2n হবে।
ডিকোডারের প্রকারভেদ
কয়েক প্রকারের ডিকোডার—
- 2 To 4 (বাইনারি)
- 3 To 8 (বাইনারি থেকে অকটাল)
- 4 To 16 (বাইনারি থেকে হেক্সাডেসিমাল)।
ডিকোডার কম্পিউটারে ব্যবহৃত ভাষাকে মানুষের বােধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করে। কোডেড ডেটাকে আনকোডেড ডেটায় পরিণত করে।
ডিকোডারের ব্যবহার
ডিকোডার একটি বহুল ব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক সার্কিট। এটি যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় তা হলাে–
- ইলেক্ট্রনিক্স বর্তনীতে মনিটরে প্রদর্শনের জন্য ভিডিও কার্ডে ডিকোডার বর্তনী ব্যবহৃত হয়।
- বাইনারি সংখ্যাকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
- ASCII ও EBCDIC কোডকে আলফানিউমেরিক কোডে রূপান্তর করার কাজে।
- বিভিন্ন কোডে লিখিত সংখ্যাকে আমাদের বােধগম্য দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করার জন্য ডিকোডার ব্যবহার করা হয়।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “ডিকোডার কি? ডিকোডারের প্রকারভেদ, কাজ এবং ব্যবহার What is Decoder?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।