ASCII এর পূর্ণ অর্থ হলো American Standard Code for Information Interchange, এটি বিশেষ ধরণের কোড পদ্ধতি যা অধিকাংশ মাইক্রোকম্পিউটারে বর্ণমালা সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্ন প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়। ১৯৬৫ সালে Robert William Bemer সাত বিটের ASCII কোড উদ্ভাবন করেন।

এটি একটি বহুল প্রচলিত 7 বিট কোড, যার বাম দিকের তিনটি বিটকে জোন এবং ডান দিকের চারটি বিটকে সংখ্যাসূচক বিট ধরা হয়, তবে সর্ব বামে একটি প্যারিটি বিট যোগ করে একে (ASCII – 8) আট বিট ASCII তে পরিণত করা হয়। এই কোডের 7 টি বিট দ্বারা 27=128 টি ক্যরেকটার প্রকাশ করা যায়। এর মধ্যে 32 টি কোড কন্ট্রোল্ড কোড হিসাবে সংরক্ষিত যা প্রিন্ট করা যায় না। সারণীতে – ৩ এ বর্ণমালার সাপেক্ষে ASCII কোডের উপস্থাপনা দেখানো হয়েছে।

অ্যাসকি কোডের কেন উদ্ভব হয়?

কম্পিউটার আবিষ্কারের প্রাথমিক যুগে কম্পিউটার নির্মাতার প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের সুবিধামত অঙ্ক, অক্ষর এবং বিভিন্ন চিহ্নাদি নির্দিষ্ট করার জন্য বিভিন্ন বাইনারি বিট প্যাটার্ন ব্যবহার করতেন। এর ফলে কোনো কোম্পানির সিপিইউ এর সাথে অন্য কোনো কোম্পানির তৈরি ইনপুট যন্ত্র বা আউটপুট যন্ত্র লাগালে তা সঠিকভাবে কাজ করত না। এ অসুবিধা দূর করার জন্য আসকি কোড ব্যবহার করা হয়।

 

শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “অ্যাসকি কোড কি? ” আর্টিকেল পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।

5/5 - (31 votes)

By Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.