পড়াশোনা

উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর

1 min read

প্রশ্ন-১. কাঠামোগত পরিকল্পনা কাকে বলে?

উত্তরঃ আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামাের পরিবর্তনের জন্য যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় তাকে কাঠামােগত পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-২. স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ এক বছরের বেশি অথচ সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সময়সীমা বিবেচনা করে যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় তাকে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা বলা হয়।

প্রশ্ন-৩. কার্যগত পরিকল্পনা কাকে বলে?

উত্তরঃ দেশের আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামাে অপরিবর্তিত রেখে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে তাকে কার্যগত পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-৪. মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ সাধারণত পাঁচ বছরের অধিক কিন্তু পনের বছর পর্যন্ত সময়সীমা বিবেচনা করে যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় তাকে মধ্যমমেয়াদি পরিকল্পনা বলা হয়।

প্রশ্ন-৫. সংশোধিত পরিকল্পনা কাকে বলে?

উত্তরঃ অর্থনীতির কাঠামো পরিবর্তন না করে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির মধ্যে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দিলে তা সমন্বয়ের লক্ষ্যে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাকে সংশোধিত পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-৬. দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ পনের বছর থেকে সাধারণত ত্রিশ বছর সময়সীমা বিবেচনা করে প্রণীত পরিকল্পনাকে দীর্ঘমেয়াদি বা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বলা হয়।

প্রশ্ন-৭. উন্নয়ন পরিকল্পনা কাকে বলে?

উত্তরঃ অর্থনীতির পরিমাণগত এবং গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাকে উন্নয়ন পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-৮. ঘূর্ণায়মান পরিকল্পনা কাকে বলে?

উত্তরঃ পরিকল্পনার কার্যাবলি ও সময়সীমা যখন অবিচ্ছিন্নভাবে বিবেচনা করা হয় তখন তাকে ঘূর্ণায়মান পরিকল্পনা বলা হয়।

 

 

প্রশ্ন-৯. পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ সাধারণত পাঁচ বছর সময়কালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে এমন সব প্রকল্প গ্রহণ করাকে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বলে। স্বাধীনতা উত্তরকালে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ছয়টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।

প্রশ্ন-১০. দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনা বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ দুই বছর সময়কালে বাস্তবায়নযােগ্য গৃহীত পরিকল্পনাকে দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনা বলে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত একটিই দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনা ১৯৭৮ – ১৯৮০ সময়কালের জন্য গৃহীত হয়।

প্রশ্ন-১১. প্রেরণাত্মক বা গনতান্ত্রিক পরিকল্পনা কাকে বলে?

উত্তরঃ যে পরিকল্পনায় বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে বাজার ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্পদের বণ্টন করা হয় এবং উৎপাদন, ভোগ, বিনিময় ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় তাকে প্রেরণাত্মক বা গনতান্ত্রিক পরিকল্পনা কাকে বলে।

প্রশ্ন-১২. বস্তুগত ও আর্থিক পরিকল্পনা বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ যে পরিকল্পনায় পাওয়া বস্তুগত সম্পদ যেমন- শ্রম, কাঁচামাল, মূলধন ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন দ্রব্যের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে সেগুলো অর্জনের চেষ্টা করা হয়। তাকে বস্তুগত পরিকল্পনা বলে।

অন্যদিকে যে পরিকল্পনায় বিভিন্ন উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্থের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাস্তবায়নের খাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাকে আর্থিক পরিকল্পনা বলে।

প্রশ্ন-১৩. নির্দেশভিত্তিক বা সমাজতান্ত্রিক পরিকল্পনা কাকে বলা হয়?

উত্তরঃ যে পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ কতকগুলো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পদ বণ্টন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে তাকে নির্দেশভিত্তিক বা সমাজতান্ত্রিক পরিকল্পনা কাকে বলে।

প্রশ্ন-১৪. উন্নয়ন ও পরিকল্পনা কি?

উত্তরঃ নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য গৃহীত, সুচিন্তিত ও সুবিবেচিত সিদ্ধান্তকে উন্নয়ন পরিকল্পনা বলা হয়। অধ্যাপক রবিন্সের মতে, “পরিকল্পনা অর্থ হলো একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে কাজ করা। পছন্দ করা এবং এই পছন্দই হলো অর্থনৈতিক কার্যাবলির মূলকথা।”

5/5 - (14 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x