প্রশ্ন-১. পাকিস্তান বাহিনী কখন আত্মসমর্পণ করে?
উত্তর : পাকিস্তান বাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে।
প্রশ্ন-২. মুক্তিযুদ্ধের সময় কতজন মানুষ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটিরও বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-৩. ‘মিত্রবাহিনী’ নামের একটি সহায়তাকারী বাহিনী গঠন করে কে?
উত্তর : ভারত বাঙালিদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করার জন্য ‘মিত্রবাহিনী’ নামের একটি সহায়তাকারী বাহিনী গঠন করে।
প্রশ্ন-৪. মিত্রবাহিনী কোথায় বাঙালিদের পক্ষে যুদ্ধ করে?
উত্তর : ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামক আক্রমণে মিত্রবাহিনী বাঙালিদের পক্ষে যুদ্ধ করে।
প্রশ্ন-৫. মিত্রবাহিনীর প্রধান কে ছিলেন?
উত্তর : লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ছিলেন মিত্রবাহিনীর প্রধান।
প্রশ্ন-৬. কখন যৌথ বাহিনী গঠন করা হয়?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর যৌথ বাহিনী গঠন করা হয়।
প্রশ্ন-৭. মুক্তিযুদ্ধের সময় কতজন বাঙালি ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটিরও বেশি বাঙালি ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে।
প্রশ্ন-৮. পাকিস্তানি বিমানবাহিনী কখন ভারতের বিমানঘাঁটিতে বোমা হামলা চালায়?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বিমানবাহিনী ভারতের বিমানঘাঁটিতে বোমা হামলা চালায়।
প্রশ্ন-৯. কখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
প্রশ্ন-১০. আত্মসমর্পণ দলিলে কে কে স্বাক্ষর করেন?
উত্তর : আত্মসমর্পণ দলিলে যৌথ বাহিনীর পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এবং পাকিস্তানের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজি স্বাক্ষর করেন।
প্রশ্ন-১১. আমরা কখন বিজয় দিবস পালন করি?
উত্তর : প্রতিবছর ১৬ই ডিসেম্বর আমরা বিজয় দিবস পালন করি।
প্রশ্ন-১২. বঙ্গবন্ধু কখন পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন?
উত্তর : ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন।
প্রশ্ন-১৩. বঙ্গবন্ধু কখন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
প্রশ্ন-১৪. মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও সাহসিকতা প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার বীরত্বসূচক কয়টি উপাধি প্রদান করে?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও সাহসিকতা প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার বীরত্বসূচক চারটি উপাধি প্রদান করে।
প্রশ্ন-১৫. বীরত্বসূচক উপাধিগুলোর নাম কী?
উত্তর : বীরত্বসূচক উপাধিগুলোর নাম হলো—
ক) বীরশ্রেষ্ঠ
খ) বীর-উত্তম
গ) বীরবিক্রম
ঘ) বীরপ্রতীক
প্রশ্ন-১৬. মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য কতজনকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি প্রদান করা হয়?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য সাতজনকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি প্রদান করা হয়।
প্রশ্ন-১৭. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঢাকায় অবস্থিত।
প্রশ্ন-১৮. মুক্তিযুদ্ধ কী? মুক্তিযুদ্ধ কেন হয়েছিল? মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের যে সাহায্য করেছিল তা ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : মুক্তির জন্য যে যুদ্ধ করা হয় তাই মুক্তিযুদ্ধ, যেমন বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ।
পাকিস্তানের শাসন ও শোষণ থেকে দেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের যেভাবে সাহায্য করেছিল তা নিচে দেওয়া হলো
ক. এদেশের প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল।
খ. শরণার্থীদের থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসা সেবা দিয়েছিল।
গ. ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও সেনাবাহিনী দিয়ে সহায়তা করেছিল।
ঘ. ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করেছিল।
ঙ. মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারত মিত্রবাহিনী নামে সহায়তাকারী বাহিনী গঠন করেছিল।
প্রশ্ন-১৯. কখন মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়? কেন মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়? মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের ৪টি ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ করো।
উত্তর : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের ৪টি ক্ষয়ক্ষতি নিচে দেওয়া হলো
ক. কয়েক লাখ আহত এবং প্রায় ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়।
খ. এক কোটির বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়।
গ. অনেক ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু ধ্বংস হয়ে যায়।
ঘ. স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত ধ্বংস হয়ে যায়।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা কী লাভ করেছি? মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল কেন? একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান দেখানোর ৪টি উপায় লেখ।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ লাভ করেছি। পাকিস্তানের শাসন ও শোষণ থেকে এদেশের মানুষদের রক্ষা করা ও দেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানানোর ৪টি উপায় হলো
ক. বিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো।
খ. বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া।
গ. বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে ফুল দিয়ে বরণ করা।
ঘ. প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া।
মুক্তিবাহিনী কখন গঠন করা হয়? মুক্তিবাহিনীর প্রধান ও উপ-প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন? মুক্তিবাহিনীর ব্রিগেড ফোর্সগুলো উল্লেখ কর?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়।
মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী। উপ-প্রধান সেনাপতি ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
মুক্তিবাহিনীকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে ভাগ করা হয়েছিল :
ক. মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে কে ফোর্স।
খ. মেজর কে এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বে এস ফোর্স।
গ. মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জেড ফোর্স।