এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে কিংবা এক ডিভাইস থেকে অন্য কোনো ডিভাইসে (যেমন- মোবাইল, স্মার্টফোন, পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, জিপিএস নেভিগেটর ইত্যাদি) তথ্য আদান-প্রদান তথা তথ্য বিনিময়কে ডেটা কমিউনিকেশন (Data Communication) বলে। ডেটা কমিউনিকেশনের কোনো না কোনো পর্যায়ে সরাসরি কম্পিউটার জড়িত থাকে। আধুনিক ডেটা কমিউনিকেশনের প্রধান উপাদান বা কম্পোনেন্ট দু’টো।
এগুলো হচ্ছে– কম্পিউটার এবং ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেম। কম্পিউটারকে বলা হয় ডেটা প্রসেসিং (Data Processing) ডিভাইস। কম্পিউটার দ্বারা প্রসেস করা ডেটা এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছে যাওয়ার প্রক্রিয়াই হলো ট্রান্সমিশন সিস্টেম। ট্রান্সমিশন সিস্টেমের উপাদানগুলো হচ্ছে– মডেম, ট্রান্সমিটার, সুইচ, রিসিভার ইত্যাদি।
ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান
ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান সাধারণত পাঁচটি। এগুলো হলো–
উৎস (Source) : ডেটা কমিউনিকেশনে উৎসের কাজ হচ্ছে ডেটা বা উপাত্ত তৈরি করা। উৎসের উদাহরণ হচ্ছে কম্পিউটার, টেলিফোন।
প্রেরক (Transmitter) : প্রেরকের কাজ হচ্ছে ডেটাকে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ট্রান্সমিশন সিস্টেমের মধ্যদিয়ে প্রেরণের উপযোগী করে রূপান্তর করা এবং ডেটার নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনে একে এনকোড (Encode) করা।
ট্রান্সমিশন সিস্টেম বা মাধ্যম (Transmission System or Media) : ট্রান্সমিশন সিস্টেম হতে পারে একটি সাধারণ ডেটা ক্যাবল বা তার, অথবা অত্যন্ত জটিল প্রকৃতির কোন নেটওয়ার্ক, যা উৎস ও গন্তব্য ডিভাইসকে যুক্ত করেছে।
গ্রাহক (Receiver) : গ্রাহকের কাজ হচ্ছে ট্রান্সমিশন সিস্টেম থেকে ডেটা সিগন্যাল গ্রহণ করা এবং এ সিগন্যালকে গন্তব্য বা ডেস্টিনেশন ডিভাইসের বোধগম্য করে উপস্থাপন করা।
গন্তব্য (Destination) : গন্তব্য ডিভাইস রিসিভার থেকে কাঙ্ক্ষিত ডেটা গ্রহণ করে থাকে। যেমন- কম্পিউটার।