পর্যায় সারণি সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. পর্যায় সারণিতে কতটি পর্যায় ও গ্রুপ আছে?
উত্তর : আধুনিক পর্যায় সারণিতে ৭টি পর্যায় ও গ্রুপ ১৮টি রয়েছে।

প্রশ্ন-২. অভিজাত ধাতু কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল ধাতু রাসায়নিকভাবে নিস্ক্রিয় তাদেরকে অভিজাত ধাতু বলে। যেমন : রূপা।

প্রশ্ন-৩. নিকৃষ্ট ধাতু কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল ধাতু রাসায়নিকভাবে সক্রিয় তাদেরকে নিকৃষ্ট ধাতু বলে। যেমন : লোহা।

প্রশ্ন-৪. মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে?
উত্তর : গ্রুপ-IIA এ অবস্থিত বেরিলিয়াম (Be), ম্যাগনেসিয়াম (Mg), ক্যালসিয়াম (Ca), স্ট্রোন্সিয়াম (Sr), বেরিয়াম (Ba), রেডিয়াম (Ra) মৌলসমূহকে মৃৎক্ষার ধাতু বলে।

প্রশ্ন-৫. পর্যায় কাকে বলে?

উত্তর : পর্যায় সারণিতে যেসব অনুভূমিক সারি বিদ্যামান আছে তাদেরকে পর্যায় বলে। পর্যায় সারণিতে ৭টি পর্যায় রয়েছে।

প্রশ্ন-৬. গ্রুপ কাকে বলে?

উত্তর : পর্যায় সারণিতে যেসব খাড়া স্তম্ভ বিদ্যমান থাকে তাদেরকে গ্রুপ বলে। পর্যায় সারণি 18 টি গ্রুপে বিভক্ত।

প্রশ্ন-৭. মৌলের ক্রিয়াশীলতা কাকে বলে?
উত্তর : কোন মৌল অন্য কোন মৌল বা যৌগের সাথে ইলেকট্রন আদান-প্রদান বা শেয়ারের মাধ্যমে বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার প্রবণতাকে ঐ মৌলের ক্রিয়াশীলতা বলে। অর্থাৎ কোন মৌল অন্য কোন মৌল বা যৌগের সাথে কত সহজে বিক্রিয়া করে তাই হল মৌলের ক্রিয়াশীলতা।

প্রশ্ন-৮. ম্যাগনেসিয়ামকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কেন?
উত্তর : ম্যাগনেসিয়ামকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়। কারণ, এর ধর্ম অনেকটা ক্ষার ধাতুর মতই। এর অক্সাইডসমূহ পানিতে ক্ষারীয় দ্রবণ তৈরি করে। এছাড়া এটি আয়নিক যৌগ গঠন করে।

প্রশ্ন-৯. পর্যায় সারণীর দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট কতটি মৌল আছে?
উত্তর : পর্যায় সারণীর দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ৮টি মৌল আছে।

প্রশ্ন-১০. হিলিয়াম নিষ্ক্রিয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : একটি পরমাণুর সর্বশেষ কক্ষপথে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকতে পারে, ঠিক সেই কয়টি যদি থাকে তাহলে কক্ষপথটি পূর্ণ থাকে। এরকম পরমাণুগুলো বেশ নিষ্ক্রিয় হয়। হিলিয়াম পরমাণুতে ২টি ইলেকট্রন থাকে। প্রথম কক্ষপথে যেহেতু সর্বোচ্চ ২টি ইলেকট্রন থাকতে পারে, সেহেতু হিলিয়াম পরমাণু বেশ স্থিতিশীল। তাই হিলিয়াম পরমাণু নিষ্ক্রিয়।

প্রশ্ন-১১. নিস্ক্রিয় গ্যাসগুলোর নাম কি কি?
উত্তর : নিস্ক্রিয় গ্যাসগুলোর নাম হচ্ছে– হিলিয়াম (He), নিয়ন (Ne), আর্গন (Ar), ক্রিপ্টন (Kr), জেনন (Xe), রেডন (Rn), ওগানেসন (Og)।

প্রশ্ন-১২. মুদ্রা ধাতু কাকে বলে?
উত্তর : পর্যায় সারণির গ্রুপ-১১ এর মৌলসমূহকে মুদ্রা ধাতু বলে।

প্রশ্ন-১৩. পর্যায় সূত্র কি?
উত্তর : পর্যায় সূত্রটি হচ্ছে– “মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি এদের পারমাণবিক ভরের সাথে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।”

প্রশ্ন-১৪. ত্রয়ী সূত্র কি?
উত্তর : রাসায়নিকভাবে সদৃশ প্রথম ও তৃতীয় মৌলের পারমাণবিক ভরের গড় মাঝের মৌলের পারমাণবিক ভরের প্রায় সমান এবং এই মৌল তিনটি ডোবারাইনারের ত্রয়ী সূত্র।

প্রশ্ন-১৫. Cl কে কেন 17 নং গ্রুপে রাখা হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : Cl এর ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় যে, এর বহিঃস্থ কক্ষপথে 7 টি ইলেকট্রন রয়েছে তাই Cl কে (10 + 7) বা 17 নং গ্রুপে রাখা হয়। 

প্রশ্ন-১৬. পর্যায় সারণির জনক কে?
উত্তর : পর্যায় সারণির জনক মেন্ডেলিফ।

প্রশ্ন-১৭. He-কে ২নং গ্রুপে রাখা হয়নি কেন?
উত্তর : He-এর ইলেকট্রন সংখ্যা ২টি এবং তার একটিমাত্র কক্ষপথ পরিপূর্ণ থাকায় নিস্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। কিন্তু পক্ষান্তরে ২নং গ্রুপের মৌলগুলো হচ্ছে মৃৎক্ষার ধাতু। তাই He কে ২নং গ্রুপে রাখা হয়নি।

প্রশ্ন-১৮. পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি কি?

উত্তর : পর্যায় সারণির সত্যিকার ভিত্তি হচ্ছে মৌলসমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস। পর্যায় সারণি সৃষ্টির সময় মৌলসমূহের পারমাণবিক ভরকে ভিত্তি ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে পারমাণবিক সংখ্যাকে ভিত্তি ধরা হয়। কিন্তু বর্তমানে একথা সর্বজনস্বীকৃত যে, পর্যায় সারণির সত্যিকার ভিত্তি হচ্ছে মৌলসমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *