পড়াশোনা

নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় : খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক

1 min read
প্রশ্ন-১. মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট কী?
উত্তর : উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য যেসব অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান অত্যন্ত কম পরিমাণে প্রয়োজন হয় তাদেরকে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বলে।

প্রশ্ন-২. উদ্ভিদের ক্ষেত্রে নিচের কোনটি ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে?
উত্তর : পটাসিয়াম।

প্রশ্ন-৩. ম্যাক্রো উপাদান কয়টি?
উত্তর : ৯।

প্রশ্ন-৪. রেকটাম নিচের কোন তন্ত্রের অঙ্গ?
উত্তর : পরিপাকতন্ত্র।

প্রশ্ন-৫. রাফেজ কী?
উত্তর : ফল, শাক-সবজি, শস্যদানা ইত্যাদিতে উপস্থিত আঁশ বা তন্তুর মতো অপাচ্য অংশই হলো রাফেজ।

প্রশ্ন-৬. কোন ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়?
উত্তর : ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়।

প্রশ্ন-৭. উত্তর অঞ্চলের লোকদের গলগণ্ড রোগ বেশি হয় কেন?
উত্তর : উত্তর অঞ্চল সমুদ্র উপকূল থেকে অনেক দূরে। তাই এ অঞ্চলের মাটিতে আয়োডিন কম থাকে। এ কারণে এখানকার খাবারে আয়োডিনের অভাব থাকায় এ অঞ্চলের লোকদের গলগণ্ড রোগ বেশি হয়।

প্রশ্ন-৮. পেষণ দাঁত কী?
উত্তর : যে দাঁত খাদ্যবস্তু পেষণ ও চর্বণের কাজ করে তাকে পেষণ দাঁত বলা হয়।

প্রশ্ন-৯. বিএমআর (BMR) কী নির্দেশ করে?
উত্তর : বিএমআর (BMR) বা বেসাল মেটাবলিক রেট পূর্ণ বিশ্রামরত অবস্থায় মানব শরীরের ব্যবহৃত শক্তির পরিমাণ নির্দেশ করে।

প্রশ্ন-১০ বৃহদন্ত্র কয়টি অংশে বিভক্ত?
উত্তর : বৃহদন্ত্র তিনটি অংশে বিভক্ত।

প্রশ্ন-১১. সিগেলা কি?
উত্তর : সিগেলা হলো আমাশয় রোগ সৃষ্টিকারী এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া।

প্রশ্ন-১২. পৌষ্টিকনালী কী?
উত্তর : মুখছিদ্র থেকে পায়ুছিদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত নালিকে পৌষ্টিকনালী বলে।

প্রশ্ন-১৩. আত্তীকরণ কি?
উত্তর : শোষিত খাদ্যবস্তুর প্রোটোপ্লাজমে পরিণত বা রূপান্তরিত করার পদ্ধতি হলো আত্তীকরণ।

প্রশ্ন-১৪. অ্যাপেনডিক্সের অবস্থান কোথায়?
উত্তর : পেটের ডান দিকের নিচে বৃহদান্ত্রের সিকামের সাথে অ্যাপেন্ডিক্স যুক্ত থাকে।
প্রশ্ন-১৫. পৌষ্টিকতন্ত্র কী?
উত্তর : যে তন্ত্রের সাহায্যে খাদ্যদ্রব্য ভেঙ্গে দেহের গ্রহণ উপযোগী উপাদানে পরিণত ও শোষিত হয় তাকে পৌষ্টিকতন্ত্র বলে।
প্রশ্ন-১৬. ২৮০০ কিলোক্যালরি = কত জুল?
উত্তর : ১১.৭ কিলোজুল।
প্রশ্ন-১৭. বিএমআর মান কীসের উপর নির্ভরশীল?
উত্তর : বিএমআর মান বয়স, লিঙ্গ, খাদ্যাভ্যাস ও শরীরের গঠনের উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন-১৮. অগ্ন্যাশয় রসে কোন কোন উৎসেচক থাকে?
উত্তর : অগ্ন্যাশয় রসে ট্রিপসিন, লাইপেজ ও অ্যামাইলেজ নামক উৎসেচক থাকে।
ডাইব্যাক রোগ কি? কোনটির অভাবে ডাইব্যাক রোগ হয়?
উত্তর : ডাইব্যাক রোগ হলো উদ্ভিদের সালফারের অভাবজনিত একটি রোগ। এ রোগ হলে কচি পাতায় ক্লোরোসিস হয়, কাণ্ডের শীর্ষ মরে যায় এবং কাণ্ডের মধ্যপর্ব ছোট হয়, ফল উদ্ভিদ খর্বাকৃতির হয়।
পৌষ্টিক গ্রন্থি কাকে বলে?
উত্তর : যেসব গ্রন্থির রস খাদ্য পরিপাকে অংশ নেয় তাদেরকে পরিপাকগ্রন্থি বা পৌষ্টিকগ্রন্থি বলে। মানবদেহের কয়েকটি পৌষ্টিকগ্রন্থিগুলো হলো: লালাগ্রন্থি, যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি, আন্ত্রিকগ্রন্থি।
গ্যাস্ট্রাইটিস কি?
উত্তর : গ্যাস্ট্রাইটিস পরিপাকতন্ত্রের একটি রোগ। প্রধানত সময়মতো খাদ্য গ্রহণ না করলে এবং দীর্ঘদিন খাদ্য গ্রহণে অনিয়ম হলে পাকস্থলীতে অম্লের আধিক্যের কারণে এ রোগ হয়। এক্ষেত্রে গলা, পেট জ্বালা করে ও পেট ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়।
অ্যাপেনডিসাইটিস বর্ণনা করো।
উত্তর : পেটের ডান দিকের নিচে বৃহদন্ত্রের সিকামের সাথে অ্যাপেনডিক্স যুক্ত থাকে। এটি আঙ্গুলের আকারের একটি থলে। অ্যাপেনডিক্সের সংক্রমণের কারণে অ্যাপেনডিসাইটিস হয়। এ রোগে প্রথমে নাভির চারদিকে ব্যথা অনুভব হয় এবং ব্যথা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তলপেটের ডান দিকে সরে যায়। ক্ষুধামন্দা, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। এ রোগের প্রতিকারে রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তার দেখাতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি এবং প্রয়োজনে শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে অ্যাপেনডিক্স অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে। অ্যাপেনডিক্সের সংক্রমণ মারাত্মক হলে এটি ফেটে যেতে পারে এবং রোগীর জন্য মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ভিটামিন সি এর কাজ লিখ।
উত্তর : ভিটামিন সি এর কাজগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
১. দাঁত ও হাড়ের পুষ্টি সাধন করা;
২. রক্তে বিশুদ্ধতা ও স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করা;
৩. ক্ষতস্থান শুকাতে সাহায্য করা;
৪. পাকস্থলী সুস্থ রাখা;
৫. স্নেহ, প্রোটিন ও অ্যামাইনো এসিড বিপাকে সহায়তা করা;
৬. ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখা;
৭. বিভিন্ন রোগ জীবাণুর হাত থেকে দেহকে রক্ষা করা;
৮. স্কার্ভি নামক রোগ প্রতিরোধ করা ইত্যাদি।
ডায়রিয়ায় খাবার স্যালাইনের অবদান কী?
উত্তর : ডায়রিয়া হলে ঘন ঘন পাতলা পায়খানার মাধ্যমে দেহ হতে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ফলে দেহে পানি ও লবণের স্বল্পতা দেখা দেয়। রোগীকে এই পানি ও লবণের চাহিদা পূরণের জন্য বার বার খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হয়। খাবার স্যালাইনের পানি ও প্রয়োজনীয় লবণসমূহ দেহের ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে দেহকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে সহায়তা করে। তাই ডায়রিয়ায় খাবার স্যালাইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x