পড়াশোনা

ষষ্ঠ অধ্যায় : পরমাণুর গঠন, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

1 min read

প্রশ্ন-১. পরমাণুর মৌলিক কণিকা কয়টি ও কি কি?
উত্তর : পরমাণুর মৌলিক কণিকা তিনটি। যথা– ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন।

প্রশ্ন-২. একটি পরমাণুর দ্বিতীয় কক্ষপথে সর্বোচ্চ কয়টি ইলেকট্রন থাকে?
উত্তর : ৮।

প্রশ্ন-৩. ভরসংখ্যা কি?
উত্তর : প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার সমষ্টি হলো ভরসংখ্যা।

প্রশ্ন-৪. কী কারণে আইসোটোপ সৃষ্টি হয়?
উত্তর : ভরসংখ্যার ভিন্নতার কারণে আইসোটোপ সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-৫. ট্রিটিয়াম কোন মৌলের আইসোটোপ?
উত্তর : হাইড্রোজেন।

প্রশ্ন-৬. ট্রিটিয়াম আইসোটোপে নিউট্রন সংখ্যা কত?
উত্তর : ২।

প্রশ্ন-৭. একটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৮, ৫ হলে মৌলটি কী?
উত্তর : ফসফরাস।

প্রশ্ন-৮. কার্বনের দ্বিতীয় আইসোটোপের ভরসংখ্যা কত?
উত্তর : ১৩।

প্রশ্ন-৯. একটি মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ১৭ এবং ভরসংখ্যা ৩৫। এই মৌলের নিউট্রন সংখ্যা কত?
উত্তর : ১৮।

প্রশ্ন-১০. সিলিকনের পারমাণবিক সংখ্যা কত?
উত্তর : ১৪।

প্রশ্ন-১১. অক্সিজেন পরমাণুতে কতটি প্রোটন থাকে?
উত্তর : আট।

প্রশ্ন-১২. কোনো মৌলের চতুর্থ শক্তি স্তরে সর্বোচ্চ কতটি ইলেকট্রন থাকতে পারে?
উত্তর : ৩২।

প্রশ্ন-১৩. কার্বনের দ্বিতীয় আইসোটোপের ভরসংখ্যা কত?
উত্তর : ১৩।

প্রশ্ন-১৪. ফসফরাসের সর্বশেষ শক্তিস্তরে কয়টি ইলেকট্রন থাকে?
উত্তর : ৫।

প্রশ্ন-১৫. কার্বনের পারমাণবিক সংখ্যা কত?
উত্তর : ৬।

প্রশ্ন-১৬. অ্যালুমিনিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা কত?
উত্তর : ১৩।

প্রশ্ন-১৭. ফসফরাসের ভর সংখ্যা 32 হলে এর নিউট্রন সংখ্যা কত?
উত্তর : 17।

প্রশ্ন-১৮. পরমাণুর ৩য় শক্তিস্তরে সর্বোচ্চ কয়টি ইলেকট্রন থাকতে পারে?
উত্তর : ১৮টি।

প্রশ্ন-১৯. ম্যাগনেসিয়াম মৌলটিতে ইলেকট্রন সংখ্যা কত?
উত্তর : ১২।

প্রশ্ন-২০. অক্সিজেন মৌলটিতে ইলেকট্রন সংখ্যা কত?
উত্তর : ৮।

প্রশ্ন-২১. সোডিয়াম পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে কয়টি ইলেকট্রন থাকে?
উত্তর : ১।

প্রশ্ন-২২. নিয়নের পারমাণবিক সংখ্যা কত?
উত্তর : ১০।

প্রশ্ন-২৩. Mg2+ এর ইলেকট্রন বিন্যাস কোনটি?
উত্তর : ২, ৮।

প্রশ্ন-২৪. ২, ৮, ২ ইলেকট্রন বিন্যাসটি কোন মৌলের?
উত্তর : Mg।

প্রশ্ন-২৫. ফসফরাস পরমাণুর তৃতীয় কক্ষপথে কতটি ইলেকট্রন থাকে?
উত্তর : ৫টি।

প্রশ্ন-২৬. সালফারের ইলেকট্রন সংখ্যা কত?
উত্তর : ১৬।

প্রশ্ন-২৭. অ্যালুমিনিয়াম এর সর্বশেষ শক্তিস্তরে কয়টি ইলেকট্রন থাকে?
উত্তর : ৩।

প্রশ্ন-২৮. কোনো মৌলের ভরসংখ্যা ৩১ এবং প্রোটন সংখ্যা ১৫ হলে তার নিউট্রন সংখ্যা কত?
উত্তর : ১৬।

প্রশ্ন-২৯. ২, ৮, ১ ইলেকট্রন বিন্যাসটি কোন মৌলের?
উত্তর : Mg।

প্রশ্ন-৩০. কোনটি ইলেকট্রন বিন্যাসের সূত্র?
উত্তর : 2n2।

প্রশ্ন-৩১. n = 2 হলে ২য় কক্ষপথে কয়টি ইলেকট্রন আছে?
উত্তর : ৮টি।

প্রশ্ন-৩২. সিলিকনের পারমাণবিক সংখ্যা কত?
উত্তর : ১৪।

প্রশ্ন-৩৩. একটি মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ১৭ এবং ভর সংখ্যা ৩৫। ঐ মৌলের নিউট্রন সংখ্যা কত?
উত্তর : ১৮।

প্রশ্ন-৩৪. এটম শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : এটম শব্দের অর্থ হলো অবিভাজ্য।

প্রশ্ন-৩৫. পরমাণু কাকে বলে?
উত্তর : পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা, যারা পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে অণু গঠন করে তাদের পরমাণু বলে।

প্রশ্ন-৩৬. অ্যানায়ন কাকে বলে?
উত্তর : কোনো মৌলের পরমাণু যখন ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত হয়, তখন তাকে অ্যানায়ন বলে।

প্রশ্ন-৩৭. পারমাণবিক সংখ্যার অর্থ কী?
উত্তর : পারমাণবিক সংখ্যার অর্থ হলো কোনো মৌলের একটি পরমাণুতে অবস্থিত মোট প্রোটনের সংখ্যা।

 

প্রশ্ন-৩৮. পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে?

উত্তর : কোনো মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান প্রোটন সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে।

প্রশ্ন-৩৯. পরমাণুর নিউক্লিয়াস বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : নিউক্লিয়াস পরমাণুর কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করে। নিউক্লিয়াসে ধনাত্মক আধানযুক্ত প্রোটন ও আধান নিরপেক্ষ নিউট্রন রয়েছে। পরমাণুর ভরের প্রায় সম্পূর্ণ অংশটুকু নিউক্লিয়াসে থাকে। ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে।

প্রশ্ন-৪০. হিলিয়াম নিষ্ক্রিয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : একটি পরমাণুর সর্বশেষ কক্ষপথে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকতে পারে, ঠিক সেই কয়টি যদি থাকে তাহলে কক্ষপথটি পূর্ণ থাকে। এরকম পরমাণুগুলো বেশ নিষ্ক্রিয় হয়। হিলিয়াম পরমাণুতে ২টি ইলেকট্রন থাকে। প্রথম কক্ষপথে যেহেতু সর্বোচ্চ ২টি ইলেকট্রন থাকতে পারে, সেহেতু হিলিয়াম পরমাণু বেশ স্থিতিশীল। তাই হিলিয়াম পরমাণু নিষ্ক্রিয়।

প্রশ্ন-৪১. অক্সিজেনের যোজনী ২-ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : কোনো মৌলের যোজনী হলো ঐ মৌলের একটি পরমাণু কয়টি হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত হয় তার সংখ্যা। অক্সিজেনের যোজনী ২ বলতে বোঝায় অক্সিজেনের একটি পরমাণু দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত হতে পারে। যেমন, পানির অণু (H2O)।

প্রশ্ন-৪২. প্রোটন সংখ্যা মৌলের বৈশিষ্ট্য বহন করে- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : আমরা জানি, প্রতিটি মৌলের আলাদা পরমাণু রয়েছে। একটি মৌলের পরমাণু থেকে আরেকটি মৌলের পরমাণুর মধ্যে আকারে, ভরে ও ধর্মে পার্থক্য হয়ে থাকে। পরমাণুসমূহের মধ্যে পার্থক্য পরমাণুতে প্রোটন বা ইলেকট্রনের সংখ্যার ভিন্নতার কারণেই হয়। তবে কোনো মৌলের পরমাণুর বৈশিষ্ট্যকে বোঝানোর জন্য প্রোটনের সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ প্রোটন সংখ্যা মৌলের বৈশিষ্ট্য বহন করে।

প্রশ্ন-৪৩. চিকিৎসাক্ষেত্রে আইসোটোপের ব্যবহার বর্ণনা করো।

উত্তর : চিকিৎসাক্ষেত্রে আইসোটোপের বহুবিদ ব্যবহার রয়েছে। যেমন-

i. কোনো রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্তের মাধ্যমে আইসোটোপ পাঠিয়ে তা শনাক্ত করা যায়।

ii. ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর কোন কোষ ক্যান্সার আক্রান্ত তা আইসোটোপ দিয়ে নির্ণয় করা যায়।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x