অবতল দর্পণ কাকে বলে? অবতল দর্পণের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার।

কোনো গোলকের অবতল পৃষ্ঠ যদি প্রতিফলকরূপে কাজ করে অর্থাৎ আলোর নিয়মিত প্রতিফলন যদি গোলীয় দর্পণের অবতল পৃষ্ঠ হতে সংঘটিত হয় তবে সে দর্পণকে অবতল দর্পণ বলে।

 

অবতল দর্পণের বৈশিষ্ট্য

অবতল দর্পণের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :

  1. অবতল দর্পণে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে।
  2. অবতল দর্পণ একটি অভিসারী দর্পণ।
  3. অবতল দর্পণে সব ধরনের (বাস্তব ও অবাস্তব) বিম্ব গঠিত হয়।
অবতল দর্পণ ব্যবহার

  • সুবিধাজনক আকৃতির অবতল দর্পণ ব্যবহার করে মুখমণ্ডলের বিবর্ধিত এবং সোজা প্রতিবিম্ব তৈরি করা হয়, এতে রূপচর্চা ও দাঁড়ি কাটার সুবিধা হয়।
  • দন্ত চিকিৎসকগণ অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন।
  • প্রতিফলক হিসেবে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়। যেমন– টর্চলাইট, স্টিমার বা লঞ্চের সার্চলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করে গতিপথ নির্ধারণ করা হয়।
  • অবতল দর্পণের সাহায্যে আলোকশক্তি, তাপশক্তি ইত্যাদি কেন্দ্রীভূত করে কোনো বস্তুকে উত্তপ্ত করতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এটি রাডার এবং টিভি সংকেত সংগ্রহে ব্যবহৃত হয়। যেমন– ডিশ এন্টেনা, সৌরচুল্লী, টেলিস্কোপ এবং রাডার সংগ্রাহক ইত্যাদি।
  • অবতল দর্পণের সাহায্যে আলোক রশ্মিগুচ্ছকে একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করা যায় বলে ডাক্তাররা চোখ, নাক, কান ও গলা পরীক্ষা করার সময় এ দর্পণ ব্যবহার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *