আসছালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। প্রিয় পাঠক ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভিবিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা আবৃতি ও তাকে তাই অনেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা খুজে থাকেন তাই আজকে আমরা দারুন কিছু একুশের সেরা কবিতা শেয়ার করবো।
ফেব্রুয়ারী – মহান ভাষা আন্দোলনের মাস ।
২১ শে ফেব্রুয়ারী আজ আর কেবল বাঙালির ভাষা আন্দোলনের দিন নয় , আজ তা জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ।
ভাষা আন্দোলনের পরে রচিত একুশের প্রথম
ঐতিহাসিক কবিতা :
” কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি ”
কলমে : মাহাবুব-উল-আলম চৌধুরী
কন্ঠে : আনোয়ার পারভেজ শেফীন
২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা
২১ শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষ্যে
একটি গানের কবিতা
কথা// মোঃ এনাম উল ইসলাম
যে ভাষাতে সহজ করে কথা বলি উচ্ছ্বাসে —
সেইতো আমার প্রাণের ভাষা
সেইতো আমার মায়ের ভাষা
বুক ভরে নিঃশ্বাসে।।
মা ডাকি ভাই যখন শোন নেচে ওঠে প্রাণ,
এই ভাষাতে লিখন লিখি কাব্যের আয়োজন।
বাঙলাতে যে হৃদয় ভরে – বাংলা মায়ের ঘরে ঘরে
ঝরে আনন্দ বিশ্বাসে।।
যে ভাষা আজ হৃদয় জুড়ে বিশ্বে পেল ঠাঁই,
এই ভাষাই মায়ের বুলি আর কি বল চাই।
মাতৃ ভাষাই মায়ের বানী – জন্ম হতেই তাই জানি
থাকি কাছে কি নির্বাসে।।
……
“২১ শে ফেব্রুয়ারী
লেখকঃ- ইমাম হোসেন
দিয়েছি রক্ত, এনেছি ভাষা,
২১শে ফেব্রুয়ারী
হায়েনার দল, ঝাঁপিয়ে পড়লো
ভাষার উপরে,
শহীদ হলেন রফিক, জব্বর
প্রাণ দিলেন অকাতরে।
বিনিময় সেদিন ফেলাম ফিরে,
মায়ের মুখের বুলি
২১শে ফেব্রুয়ারী।
তোমরা হলে জাতির গৌরব
উজ্জ্বল তারকা।
হ্নদয়ে থাকবে চিরকাল কখনো
ভুলবোনা….।
কবিতা
একুশে ফেব্রুয়ারি
মোঃসাকিব সুলতান
একুশে আমার মাতৃভাষা
একুশে আমার জান ।
সেই একুশে ফেব্রুয়ারি জন্য
দিয়েছেন হাজার লক্ষ শহিদ এর প্রাণ ৷
আমার বাংলা আমার দেশ
সাজিয়ে ছিলেন তিনি
তার ডাক শুনে জীবন দিতে
রাজি ছিলো হাজার ও প্রাণী।
আমার ভাষা বাংলা হলো
হাজার শহিদের প্রাণ দিয়ে
আমার ভাষা রক্ষা করতে
গেলো লক্ষ শহিদের প্রাণ।
আজকে মোরা সরণ করি
এই একুশে ফেব্রুয়ারি।
আমার ভাইয়ের তাজা রক্ত
মিশে আছে সেই একুশে ফেব্রুয়ারি।
আমার ভাইয়ের রক্তে
লাগানো একুশে ফেব্রুয়ারি।
আমি কি বুলিতে পারি।
একুশের সেরা কবিতা
২১ শে ফেব্রুয়ারি
—————————-
একুশ মানে দৃপ্ত কন্ঠে মা’কে মা ডাকা
একুশ মানে বুকের রক্তে একাত্তর আঁকা
একুশ মানে ফিনকে ওঠা রক্তের- স্লোগান
একুশ মানে অসুর বধে ত্রিশ লক্ষ প্রাণ।
একুশ মানে চলবেনা আর রাজনৈতিক ব্যভিচার
একুশ মানে লাল সবুজে পরাজয়- হালাকু খা’র
একুশ মানে উত্তাল রাজপথ- শকুনিরা সাবধান
একুশ মানে বাংলার মেঠোপথ- কৃষকের গোলায় ধান।
একুশ মানে মিছিলে মিছিলে অধিকার আদায়ের ব্রত
একুশ মানে প্রতিরোধ- প্রতিবাদ, বিদ্রোহ অবিরত
একুশ মানে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ- সবাই পাশাপাশি
একুশ মানে অহংকারে বলি- “মাগো তোমায় ভালোবাসি” ।
একুশ মানে বাংলার প্রান্তর- লাল সবুজের মিল
একুশ মানে বাংলার আকাশ, বাংলার বিল- ঝিল
একুশ মানে শিশুর হাসি- মা’কে মা ডাকা
একুশ মানে এক সাগর রক্তে- স্বাধীনতা আঁকা।
শিরোনাম : অমর ২১ শে ফেব্রুয়ারি
✍ কাজী.এস.আর.রাশিদা
ওরে বাংলা মায়ের তরুণ দামাল
ঊষার রাঙা প্রভাত ঢাকছে তিমির কোলে;
ঘনিয়ে এলো আঁধার দুঃসন্ধা সাঁঝে।
মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে
লুটতে চায় মাতৃভাষা বাংলা
অন্ধকার কারাগারে।
উর্দুই হবে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা আঁটিতে বেঁধে
বীজ বপন করতে চেয়েছিল;
দেশ মাতৃকার বুকে
সবই গুড়েবালি।
এক ঝটকা আলো আনাগোনা
ঐ দূর পাহাড়ের চূড়ায় উঁকিঝুঁকি;
জ্বলজ্বল করে জলন্ত প্রদীপ শিখা হয়ে
আবির্ভুত এক ঝাঁক অকুতোভয়বীর
সালাম,বরকত,রফিক,জব্বারসহ নাম না
জানা কত মায়ের সন্তান অন্যায় প্রতিবাদে।
পথঘাট রাস্তায় তাজা রক্তের স্রোত
ঢেউ খেলে অবশেষে পাহাড়ের চূড়ায় সূর্য তুলে
বিজয়ের পতাকা গেঁথে;
১৯৫২ এ ২১ শে ফেব্রুয়ারি হাসিমাখা মুখে
বিসর্জন প্রাণ উজ্জ্বল তারকাময় দামাল।
বুক ভমা ডাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত
সব ভাইয়ের রক্তে রাঙানো;
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি।
কবিতাঃ- সালাম জানাই
লেখকঃ- তাজুল ইসলাম
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চেয়ে লড়েছিল যারা
মোদের কাছে শ্রেষ্ঠ বীর বাঙালি তাঁরা।
মাতৃভাষার প্রতি নিখুঁত প্রীতি যাদের মনে ছিল
তাঁরা মাতৃভাষাকে সমুজ্জ্বল করতে মৃত্যুকে বরণ করে নিল।
যারা নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে
বাংলা ভাষার তরে,
ওরা অমর, ওরা মিশে আছে বাংলার
আকাশ-বাতাস জুড়ে।।
উনিশশো বায়ান্ন সালের ২১’শে ফেব্রুয়ারি
বাঙালির জন্য ছিল কাল!
আমার ভাইয়ের বুকের তাজা রক্তে সেদিন
সবুজ প্রান্তর হয়েছিল লাল!!
বীর বাঙালি সাহসী সেনা
বুক ভরা হিম্মত,
কখনো নত করনি শির অন্যায়ের কাছে
যতই বয়ে গেছে উৎপাত।।
রুখে দিতে বাংলা ভাষাকে ১৪৪’ধারা জারি করেছিল
পাক হানাদের গুপ্তচর!
সালাম,বরকত,রফিক,শফিউর,জব্বারদের বজ্র ধ্বনিতে
সেদিন রাজ কেঁপেছিল থর থর।।
উর্দু নয়,বাংলা চাই মোদের মাতৃভাষা
এটাই ছিল বীর বাঙালির বুক ভরা আশা,
এই দাবিতে চটে গেলো পাক হিটলারের পাশা
বাঙালির বুকে বুলেট ছুড়ে মিটালো তাদের রক্তের নেশা!!
পাক সেনাদের অস্ত্রের মুখে বীর বাঙালি
বাংলা ভাষার দাবিতে ভয় করেনি মরণে,
তাইতো ২১’শে ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জুড়ে পালিত হয়
ভাষা শহীদদের স্মরণে।।
যারা রক্ষা করতে গিয়ে ভাষার মান
নিজেদের দিয়েছে বলি,
তাদের সেই মহৎ ত্যাগের কথা
কেমন করে ভুলি।।
বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা রক্ত দিয়ে লিখে গেছে
অ-আ,ক-খ স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণ,
মাতৃভাষা পেলাম মোরা যাদের ত্যাগের জন্য
কোন দিনও হতে দেবোনা তাদের সম্মান ক্ষুণ্ণ।।
আমার ভাইয়ের রক্ত কণিকা আজো দেখতে পাই
ফেব্রুয়ারি এলে পরে কৃষ্ণচূড়ার গায়,
গোধূলি বেলা সূর্য মামা যখন অস্ত যায়
আমার ভাইয়ের রক্ত জমাট দেখতে পাওয়া যায়।।
সালাম,বরকত,রফিক,শফিউর,জব্বার সহ
নাম না-জানা বীরদের ত্যাগের তুলনা নাই,
তাইতো হৃদ্য প্রাণে তাদের প্রতি
বারে-বার সালাম জানাই।।
একুশের কবিতা আবৃত্তি
শিরোনামঃ সূর্যসন্তান
কলমেঃলাভলী আকতার
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন
শোধরাবো কিভাবে তোমাদের এই ঋণ।
তোমরা প্রাণ দিয়েছো দেশকে ভালোবেসে,
তোমাদের ত্যাগে স্বাধীনতা এসেছে দেশে।
তোমাদের রক্ত লেখা বর্ণমালায়, আজও
আমরা মনের কথাগুলো লিখে রাখি।
রফিক বরকত জব্বার শফিক তোমাদের,
রক্তে ভেজা মুখগুলোর ছবি আঁকি।
সেদিন বুকের রক্তে তোমরা লিখেছিলে
অ আ ক খ আজ বর্ণগুলো স্বর্ণাক্ষরে লিখা।
এই বাংলা রবে যতোদিন,২১ শে ফেব্রুয়ারি,
১৬ই ডিসেম্বর,২৬ শে মার্চ,তোমাদের স্বরণে
বিজয় মিছিল হবে এই বাংলায় ততোদিন।
রক্ত নদী পার হয়ে দেশকে ভালবেসে,
দিয়ে গেছো তোমরা তরতাজা প্রাণ।
আমরা ভুলতে পারবনা, ভুলবনা কভু,
তোমাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার আত্মদান।
শত্রু মুক্ত করেছো দেশকে ভালবেসে,
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে,করেছো দেশস্বাধীন।
আজ মাতৃভাষা বাংলা পেয়েছি, তোমরা
এনে দিয়েছো এমন বিজয়ের সুদিন।
তোমরা আমাদের গর্ব তোমরা হলে
বাংলা ভাষার অ আ ক খ বর্ণের প্রাণ।
তোমরা হলে বাঙ্গালী জাতির সোনার
ছেলে বাংলার জ্যোতিময় নক্ষত্র সূর্য সন্তান।