দ্রবণ কাকে বলে? দ্রবণের প্রকারভেদ।

দুই বা ততোধিক পদার্থের (কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়) সমসত্ত্ব মিশ্রণের উপাদানগুলোর আপেক্ষিক পরিমাণ যদি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত পরিবর্তিত করা যায়, তাহলে মিশ্রণকে দ্রবণ বলে। দ্রবণের প্রতি অংশের সংযুক্তি, ভৌত এবং রাসায়নিক ধর্ম অভিন্ন হয়। দ্রবণ হলো দ্রব এবং দ্রাবকের সমসত্ত্ব মিশ্রণ।

দ্রবণের প্রকারভেদ
(i) তরল-কঠিন দ্রবণ : এক্ষেত্রে দ্রাবক তরল এবং দ্রব হচ্ছে একটি কঠিন পদার্থ। উদাহরণস্বরূপ, পানিতে চিনি অথবা NaCl মেশালে এ ধরনের দ্রবণ তৈরি হয়।

(ii) তরল-তরল দ্রবণ : এ ধরনের দ্রবণের ক্ষেত্রে কোন তরল দ্রাবকে অপর একটি তরল দ্রব দ্রবীভূত থাকে। পানিতে অ্যালকোহল বা বেনজিনে হেক্সেন মেশালে এ প্রকৃতির দ্রবণ তৈরি হয়। 

(iii) তরল-গ্যাস দ্রবণ : এ প্রকৃতির দ্রবণে তরল দ্রাবকে একটি গ্যাসীয় দ্রব দ্রবীভূত থাকে। যেমন, অ্যামোনিয়া, CO2, বা O2 প্রভৃতি গ্যাস পানিতে দ্রবীভূত হয়ে এ ধরনের দ্রবণ তৈরি করে।
(iv) গ্যাস-গ্যাস দ্রবণ : একটি গ্যাসের মধ্যে অন্য একটি গ্যাস (পরস্পরের মধ্যে কোন বিক্রিয়া না ঘটলে) মিশ্রিত হলে এ ধরনের দ্রবণ প্রস্তুত হয়। যেমন, বায়ু হলো নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের একটি সমসত্ত্ব মিশ্রণ।
(v) কঠিন-কঠিন দ্রবণ : দুটি কঠিন অবস্থার ধাতু সমসত্ত্বভাবে মিশে যে মিশ্র ধাতু উৎপন্ন করে, তাকে কঠিন দ্রবণ বলে। যেমন, কপার ও জিংক সমসত্ত্বভাবে মিশে পিতল উৎপন্ন করে।
(vi) কঠিন গ্যাস দ্রবণ : কোন কঠিন পদার্থে গ্যাস দ্রবীভূত হয়ে এ ধরনের দ্রবণ উৎপন্ন করে। যেমন, H2 গ্যাস কঠিন প্যালাডিয়াম ধাতুতে (Pd) দ্রবীভূত হয়ে কঠিন গ্যাস প্রকৃতির দ্রবণ তৈরি করে।

এখানে যা শিখলাম–
দ্রবণ কি বা কাকে বলে?; দ্রবণের প্রকারভেদ; তরল-কঠিন দ্রবণ কি?; তরল-তরল দ্রবণ কি?

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *