কোনো মৌলের সর্বশেষ প্রধান শক্তিস্তরের মোট ইলেকট্রন সংখ্যাকে ঐ মৌলের যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে। আর যোজনী হচ্ছে সর্বশেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন সংখ্যা (ধাতব মৌলের ক্ষেত্রে) এবং সর্বশেষ কক্ষপথের বিজোড় ইলেকট্রন সংখ্যা (অধাতব মৌলের ক্ষেত্রে)।
নাইট্রোজেনের ইলেকট্রন বিন্যাস 1s2 2s2 2p1
x2p1y2p1z। যেহেতু নাইট্রোজেন অধাতু তাই এর সর্বশেষ শক্তিস্তরের বিজোড় ইলেকট্রন সংখ্যা হবে এর যোজনী ইলেকট্রন। ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যাচ্ছে সর্বশেষ শক্তিস্তরের বিজোর ইলেকট্রন 3 তাই এর যোজনী 3 আবার ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যাচ্ছে সর্বশেষ শক্তিস্তরের মোট ইলেকট্রন সংখ্যা 5 তাই এর যোজ্যতা ইলেকট্রন 5। তাই নাইট্রোজেনের যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন ভিন্ন।
কোন মৌলের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে যতটি বিজোড় ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকে তা ঐ মৌলের যোজনী নির্দেশ করে।
নাইট্রোজেনের ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপ :
N (7) —-> 1s² 2s² 2px¹ 2py¹ 2pz¹
নাইট্রোজেনের ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় এর শেষ কক্ষপথে তিনটি বিজোড় ইলেকট্রন বিদ্যমান আছে।
কাজেই নাইট্রোজেনের যোজনী 3.
আবার, কোন মৌলের শেষ কক্ষপথে যতটি ইলেকট্রন থাকে তার মোট সংখ্যাকে ঐ মৌলের যোজনী ইলেকট্রন বলে।
নাইট্রোজেনের ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় এর শেষ কক্ষপথে মোট পাঁচটি ইলেকট্রন আছে। কাজেই নাইট্রোজেনের যোজনী ইলেকট্রন পাঁচ।
এখানে, নাইট্রোজেনের যোজনী 3 কিন্তু যোজনী ইলেকট্রন 5 ।
সুতরাং বলা যায় নাইট্রোজেনের যোজনী ও যোজনী ইলেকট্রন আলাদা।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “নাইট্রোজেনের যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন ভিন্ন কেন?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।