সংবেদন কাকে বলে? সংবেদন কয় প্রকার ও কি কি?
কোন পার্থিব উদ্দীপক ইন্দ্রিয় কোষে আঘাত হানার পর আমাদের মধ্যে যে প্রাথমিক সরল অনুভূতি জাগে তাকে সংবেদন বলে।
সংবেদন কয় প্রকার ও কি কি?
জ্ঞানেন্দ্রিয়ের প্রেক্ষিতে সংবেদনকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ–
- দর্শন সংবেদন,
- শ্রবণ সংবেদন,
- ঘ্রাণ সংবেদন,
- স্বাদ সংবেদন এবং
- ত্বক সংবেদন।
সংবেদনের বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম
সংবেদন একটি স্থানীয় প্রক্রিয়াঃ সংবেদীয় কোষগুলো শরীরের বিশেষ বিশেষ স্থানে অবস্থান করে এবং শরীরের প্রত্যেকটি স্থান থেকে স্নায়ু প্রবাহ মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছায়। যার ফলে ত্বকের দুটি ভিন্ন স্থানে প্রায় একই রকমের উদ্দীপক প্রয়োগ করা হলেও দুটি পৃথক সংবেদন পাওয়া যায়। ভিন্ন দুটি বস্তুকে আমরা একই সময় দেখলেও তাদেরকে আমরা পৃথকভাবে চিনতে পারি।
সংবেদন বহিঃউদ্দীপকের একটি সংকেত নির্দেশকঃ প্যাভলভের চিরায়ত সাপেক্ষণ পদ্ধতিতে দেখা দেছে যে, কুকুরকে প্রতিবার খাদ্য প্রদানের আগে ঘণ্টা বাজানো হলে কয়েক দিনের মধ্যেই ঘন্টার শব্দ শুনেই কুকুরের মুখ থেকে লালা নির্গত হতে থাকে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ঘন্টার শব্দ খাদ্যের সংকেত হিসেবে কাজ করে।
সংবেদন একটি অভিযোজনশীল প্রক্রিয়াঃ কোন একটি উদ্দীপককে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কোন ইন্দ্রিয়কোষে প্রয়োগ করা হলে দেখা যাবে যে, ইন্দ্রিয় কোষের উত্তেজনার পর্যায় ক্রমশঃ হ্রাস পায় ও স্নায়ুকোষে আবার মেরুকরণ করতে সময়ের প্রয়োজন হয়। যেমন: ত্বকে অবিরাম গরম বা ঠান্ডা পানি ঢাললে প্রথমত, গরম বা ঠান্ডা অনুভুত হলেও ধীরে ধীরে অনুভূতি কমতে থাকে। সংবেদনের অভিযোজনের কারণেই এমনটি হয়ে থাকে।