✪➤ বালির সূক্ষ্মতা গুণাংক বলতে কি বুঝায়? নিম্নের তথ্যাদি হতে ৫০০ গ্রাম বালির সূক্ষ্মতার গুণাংক (F.M) নির্ণয় করুন।
চালুনি নং | ৪ | ৮ | ১৬ | ৩০ | ৫০ | ১০০ |
অবশেষ (গ্রাম) | ৫ | ২৫ | ৫০ | ২০০ | ১১০ | ৬০ |
উত্তরঃ
বালির সূক্ষ্মতা গুণাংকঃ বালির সূক্ষ্মতা গুণাংক মূলত বস্তুর আকার সম্পর্কে ধারনা দেয়। বস্তুর আকার যত ছোট হয়, এ গুণাংকের মান তত কম হয় এবং বস্তুর আকার যত বড় হয়, এ গূনাংকের মান তত বেশি হয়। উপরে বড় ছিদ্রের ক্রমান্বয়ে ছোট ছিদ্রের ব্রিটিশ প্রমাণ সাইজের ৩ ইঞ্চি, ১.৫ ইঞ্চি, ০.৭৫ ইঞ্চি, ৪ নং, ৮ নং , ১৬ নং, ৩০ নং, ৫০ নং ও ১০০ নং চালুনিগুলো সাজিয়ে বালি চাললে সকল চালুনির অবশেষের পুঞ্জিভূভ শতকরা হারের সমষ্টিকে ১০০ দিয়ে ভাগ করলে বালির সূক্ষ্মতা গুণাংক (F.M) পাওয়া যায়।
Fineness Modulus (F.M) নির্ণয়ঃ
নমুনার ওজন = ৫০০ গ্রাম
চালুনি নং | অবশেষ (গ্রাম) | পুঞ্জীভূত অবশেষ (গ্রাম) | % পুঞ্জীভূত অবশেষ | সূক্ষ্মতা গুণাংক |
৪ | ৫ | ৫ | ১ |
= 2.47 |
৮ | ২৫ | ৩০ | ৬ | |
১৬ | ৫০ | ৮০ | ১৬ | |
৩০ | ২০০ | ২৮০ | ৫৬ | |
৫০ | ১১০ | ৩৯০ | ৭৮ | |
১০০ | ৬০ | ৪৫০ | ৯০ | |
মোট = ২৪৭ |
কিভাবে নির্ণয় করতে হয়?
১. প্রথমে প্রতিটি চালুনির পুঞ্জীভূত অবশেষ হিসাব করতে হবে উক্ত চালুনির অবশেষ থেকে উপরের সবগুলো চালুনির যোগ করে। যেমনঃ উপরের ছকে ১৬ নং চালুনির পুঞ্জীভূত অবশেষ = ৫০ + ২৫ + ৫ = ৮০
২. তারপর শতকরা পুঞ্জীভূত অবশেষ হিসাব করতে হবে পুঞ্জীভূত অবশেষ কে নমুনার মোট ওজন দিয়ে ভাগ করে এবং ১০০ দিয়ে গুণ দিয়ে। যেমনঃ উপরের ছকে ৩০ নং চালুনির % পুঞ্জীভূত অবশেষ = × 100 = 56
৩. তারপর শুধু সবগুলো % পুঞ্জীভূত অবশেষ যোগ করে ১০০ দিয়ে ভাগ করলেই বালির সূক্ষ্মতা গুণাংক পাওয়া যাবে।