সুষ্ঠু জনমত গঠনের পদ্ধতিগুলো কী কী | সুষ্ঠু জনমত গঠনের পূর্বশর্ত
সুষ্ঠু জনমত গঠনের নির্ধারকগুলো বর্ণনা কর।
বর্তমানে জনমত একটি বহুল আলোচিত বিষয়। বর্তমানে জনমতের বিকাশ ঘটলেও সুদূর প্রাচীনকাল থেকে এর উৎপত্তি লক্ষ করা যায়। প্রাচীন ও রোমান আইনজ্ঞরা তাদের আলোচনায় জনমতকে প্রযুক্ত করেছেন।
তাদের সুস্পষ্ট আলোচনা ও বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যায় জনমতের সন্ধান মেলে । রুশো সর্বপ্রথম জনমতের রাজনৈতিক প্রয়োগ দেখিয়েছেন।
সুষ্ঠু জনমত গঠনের শর্তাবলি : সুষ্ঠু, জনমত কতিপয় শর্তের উপর নির্ভর করে। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো-
১. সুশিক্ষার প্রসার : সুষ্ঠু জনমত গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষা ও ব্যাপক শিক্ষার প্রসার। শিক্ষার বিস্তার না ঘটলে জনগণ কুসংস্কার ও অজ্ঞতার মধ্যে নিমজ্জিত থাকে।
২. মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা : সুষ্ঠু জনমত গঠনের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রয়োজন। সভা-সমিতির অধিকার, দল-গঠনের অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে সুষ্ঠু জনমত গড়ে উঠতে পারে না।
৩. নিয়ন্ত্রণযুক্ত ও স্বাধীন প্রচার মাধ্যম : সুষ্ঠু জনমত গঠন করার জন্য প্রচার মাধ্যমগুলোকে ক্ষমতাসীন দল বা কোনো প্রভাবশালীর গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখা উচিত। রেডিও-টেলিভিশনকে স্বাধীনতা প্রদান করা উচিত ।
৪. রাজনৈতিক সচেতনতা : সুষ্ঠু জনমত গঠনের জন্য জনগণকে রাজনৈতিক দিক থেকে সজাগ ও সচেতন হতে হবে। রাজনীতি সচেতন মানুষ সুষ্ঠু জনমত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
৫. সমঝোতা ও সহনশীলতা : ‘সকল নাগরিকের মধ্যে সমঝোতা ও সহনশীলতা থাকতে হবে। অপরের মতকে সহ্য করা এবং তা প্রকাশ করতে দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
৬, ঐক্য ও সংহতি : ঐক্য ও সংহতি সুষ্ঠু জনমত গঠনে সহায়তা করে থাকে। সুষ্ঠু জনমত গঠনের জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি থাকতে হবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুষ্ঠু জনমত গঠনের জন্য উপর্যুক্ত শর্তাবলি প্রয়োজন। সুষ্ঠু জনমত গঠন ব্যতীত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “সুষ্ঠু জনমত গঠনের পদ্ধতিগুলো কী কী | সুষ্ঠু জনমত গঠনের পূর্বশর্ত” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।