ক্যান্সার – অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন
টিউমার, ক্যান্সার এ শব্দগুলোর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। এগুলো অস্বাভাবিক কোষ বিভাজনের ফসল। মাইটোসিস বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি থেকে
দুটি, দুটি থেকে চারটি, চারটি থেকে আটটি- এভাবে কোষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু কোষবিভাজন প্রক্রিয়াদি নিয়ন্ত্রিত থাকে।
কিন্তু যদি কোন কারনে এই নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে অস্বাভাবিকভাবে কোষবিভাজন চলতে থাকে। এর ফলে টিউমার সৃষ্টি হয়।
ক্যান্সার কোষও এই নিয়ন্ত্রনহীন অস্বাভাবিক মাইটোসিস কোষ বিভাজনেরই ফল। গবেষনায় দেখা গেছে প্রকার প্যাপিলোমা ভাইরাস ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে সহায়তা করে। এই ভাইরাসের E6 ও E7 নামের দুটি জিন এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ সৃষ্টি করে যা কোষ বিভাজন নিয়ন্ত্রক দুটি প্রোটিন অনুকে স্থানচ্যুত করে। এর ফলে কোষ বিভাজনের নিয়ন্ত্রন নষ্ট হয়ে যায়, সৃষ্টি হয় অর্বুদ। অনেক সময় এ দুটি জিন পোষক কোষের জিনের সাথে একীভুত হয়ে যায় এবং কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনকারী প্রোটিন অনুসমুহের কাজ বন্ধ করে দেয়। সৃষ্টি হয় ক্যান্সার কোষ তথা ক্যান্সার।
ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস আক্রমনের ফলে জরায়ু ক্যান্সার হয়। কেবল জরায়ু ক্যান্সারেই প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ছয় লক্ষ রোগী মারা যায়। ক্যান্সার হয় লিভারে, ফুসফুসে, মস্তিস্কে, স্তনে ত্বকে অর্থাৎ দেহের প্রায় সকল অঙ্গে। এখনও ক্যান্সার নিরাময়ের তেমন ভাল কোন চিকিৎসা বের হয় নি। তবে আশার বিষয় এইযে, ক্যান্সার নিরাময়ের গবেষনা এখনো চলছে। ধারনা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই ক্যান্সারের চিকিৎসা আমরা পাব।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “ক্যান্সার – অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।