জীববিজ্ঞান

অ্যান্টিবায়োটিক কি? অ্যান্টিবায়োটিক কিভাবে তৈরী করবেন?

1 min read

অ্যান্টিবায়োটিক এক ধরনের জীবজ পদার্থ যা অন্য অনুজীবকে ধ্বংস করতে বা বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করতে সমর্থ। বিভিন্ন জীব থেকে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়, বেশির ভাগই পাওয়া যায়

ব্যাকটেরিয়া, স্ট্রেপ্টোমাইসিটিস ও মোল্ড জাতীয় ছত্রাক থেকে। মাটিই অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনকারী অনুজীবের উল্লেখযোগ্য বাসস্থান। চারটি genus এর অনুজীব থেকে বর্তমানে প্রচলিত বেশিরভাগ  অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়, যেমন- Bacillus, Streptomycin, Pennicillium ও Cephalosporium.
উনবিংশ শতাব্দীর পুর্ব থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষমতাসম্পন্ন জীবজ পদার্থের কথা জানা ছিল, তবে ১৯৪০ সাল থেকে বর্তমানে প্রচলিত মানের অ্যান্টিবায়োটিক এর উল্লেখ দেখা যায়। এস. এ. ওয়াকসম্যান ১৯৪৫ সালে অ্যান্টিবায়োটিক শব্দটি সর্বপ্রথম প্রচলন করেন। প্রকৃত অর্থে ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ শব্দটির অর্থ জীবনের বিরুদ্ধে (against life)।
Alexander Fleming ১৯২৯ সালে সর্বপ্রথম Pennicillium notatum নামক ছত্রাক থেকে পেনিসিলিন আবিস্কার করেন। বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে p.chrysogenum থেকে বহুগুণ বেশি পেনিসিলিন তৈরী করা হচ্ছে। বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিক তৈরীরপদ্ধতি প্রায় একই রকম। নিচে পেনিসিলিন নামক অ্যান্টিবায়োটিক তৈরীর পদ্ধতি বর্ণনা করা হল।
Pennicillium কে কৃত্রিম মাধ্যমে চাষ করা হয়। সাধারনত ২৪’সে. তাপমাত্রায় এবং pH- ৭/৮ তে এ ছত্রাকটি ভালভাবে জন্মায়। বানিজ্যিকভাবে হাজার হাজার গ্যালন ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন বড় পাত্রে উপযুক্ত আবাদ মাধ্যম নিয়ে তাতে p.notatum বা p.chrysogenum এর কনিডিয়ার সাসপেনসান নিয়ে ইনোকুলেশন করা হয়। পাত্রটিতে পর্যাপ্ত বায়ু সরবরাহ করা হয়। সর্বত্র aseptic অবস্থা বজায় রাখা হয়। ইনোকুলেশন এর ৭-১৪ দিনের মধ্যে ছত্রাকটি আবাদ মাধ্যমে ৩ ধরনের পদার্থ নিঃসৃত করে। যথাঃ- ১) হলুদ রঞ্জক পদার্থ chrysogenin, যা charcoal এর মাধ্যমে absorption পদ্ধতিতে নিস্কাশন করা হয়।
২) pennicillin এবং
৩) Notatin অথবা Pennicillin B.

এছাড়াও অন্যান্য কিছু পদার্থ আবাদ মাধ্যমে নিঃসৃত হয়। Pennicillin ব্যতীত সব কয়টি পদার্থ বিশুদ্ধিকরণ করার সময় আলাদা করা হয়।
সাধারনত সাতদিন পর ছত্রাকটির বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে আসে।তখন মাধ্যমের pH-৮ অথবা তারও উপরে উঠে আসে এবং পেনিসিলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে আসে।
পেনিসিলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে ছত্রাকের মাইসেলিয়ামগুলো centrifugation এবং filtration এর মাধ্যমে আলাদা করা হয়।
centrifugation এর পর পরিস্কার তরল পদার্থ থেকে অর্গানিক সলভেন্ট ব্যবহার ও রিক্রিস্টালাইজেশন ইত্যাদি এক জটিল প্রক্রিয়ায় পেনিসিলিন নিষ্কাশন করা হয়।

নিচে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ও তাদের উৎস অর্থাৎ অনুজীব ও অনুজীব থেকে নিষ্কাশিত অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর নাম দেয়া হল।
i)Pennicillin – pennicillium chrysogenum
ii)Bacitracin- Bacillus subtilis
iii)Chloramphenicol- Streptomyces Venezuelae
iv)Chlorotetracyclin- S. aureofaciens
v)Tetracyclin- S. aureofaciens
vi)Erythromycin- S. erythreus
vii)Griseofulvin- S.griseus
viii)Streptomycin- S.griseus
ix)Neomycin B- S. fradiae
x)Kanamycin- S. kanamyciticus
xi)Cephalosporin – Cephalosporium acremonium
xii) Polymixin- B. Polymixa

শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “অ্যান্টিবায়োটিক কি? অ্যান্টিবায়োটিক কিভাবে তৈরী করবেন?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।

 

5/5 - (42 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x