Modal Ad Example
পড়াশোনা

রপ্তানিমুখী শিল্প কাকে বলে?

1 min read

যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রধানত রপ্তানিযোগ্য দ্রব্যাদি উৎপন্ন ও তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে সেগুলোকে রপ্তানিমুখী শিল্প বলে।

 

আরো কিছু প্রশ্নঃ

প্রশ্ন-১। শিল্প কাকে বলে?

উত্তরঃ একই ধরনের বা সমজাতীয় পণ্য উৎপাদনকারী ফার্মসমূহের সমন্বিত রূপকে শিল্প বলে।

প্রশ্ন-২। প্রাথমিক শিল্প কাকে বলে?

উত্তরঃ যে শিল্পে প্রাথমিক দ্রব্যকে কারখানাভিত্তিক উৎপাদন প্রণালির মাধ্যমে মাধ্যমিক বা চূড়ান্ত দ্রব্যে রূপান্তর করা হয় তাকে প্রাথমিক শিল্প বলে।

প্রশ্ন-৩। বেকারত্ব হ্রাসে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের অবস্থান কী?

উত্তরঃ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শ্রমশক্তি বেকার। এ অবস্থায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন ঘটলে শিক্ষিত ও স্বল্প শিক্ষিতদের জন্যে স্থায়ী কর্মসংস্থান হবে। উপরন্তু বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে অনেক শ্রমিক আছে যাদের শ্রমের উৎপাদনশীলতা শূন্য। এ ছদ্ম বেকারত্ব আমাদের পল্লী অর্থনীতির একটি বৈশিষ্ট্য। কুটির শিল্প ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হলে এ জাতীয় সমস্যারও সমাধান সম্ভব হবে।

প্রশ্ন-৪। আমদানি বিকল্প শিল্প কাকে বলে?

উত্তরঃ বিদেশ হতে যেসব শিল্পজাত দ্রব্যসামগ্রী আমদানি করা হয় সেসব দ্রব্যের শিল্প নিজ দেশের অভ্যন্তরে স্থাপন করা হলে ঐ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আমদানি বিকল্প শিল্প বলে।

প্রশ্ন-৫। মাঝারি শিল্প কাকে বলে?
উত্তরঃ যে শিল্পকারখানায় ২০ জনের অধিক কিন্তু ২৩০ জনের কম শ্রমিক নিয়োগ করা হয় তাকে মাঝারি শিল্প বলে।

প্রশ্ন-৬। বৃহদায়তন শিল্প কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান বিপুল মূলধন, বেশি সংখ্যক দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক, উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বেশি পরিমাণ দ্রব্য উৎপাদন করে সেগুলোকে বৃহদায়তন শিল্প বলে।

প্রশ্ন-৭। কুটির শিল্প কাকে বলে?

উত্তরঃ গৃহে পারিবারিক ভিত্তিতে স্বল্প মূলধন এবং সহজলভ্য কাঁচামাল ও ছোটখাটো সাধারণ যন্ত্রপাতির সাহায্যে যে শিল্প পরিচালিত হয় তাকে কুটির শিল্প বলে।

প্রশ্ন-৮। বাংলাদেশের সংরক্ষিত শিল্পসমূহ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ দেশের জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কযুক্ত শিল্প সংরক্ষিত শিল্প হিসেবে বিবেচিত।

সরকারি নির্দেশের মাধ্যমে যেসব শিল্প জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সংরক্ষিত রাখা প্রয়োজন এবং যেসব শিল্প স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল হিসেবে সরকারি বিনিয়োগের জন্য সংরক্ষিত, সেসব শিল্পকে সংরক্ষিত শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সংরক্ষিত শিল্পসমূহ হলো: ১. অস্ত্রশস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি; ২. পারমাণবিক শক্তি; ৩. সিকিউরিটি প্রিন্টিং ও টাকশাল; ৪. বনায়ন ও সংরক্ষিত বনভূমির সীমানায় যান্ত্রিক আহরণ ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৯। বৈদেশিক বাণিজ্যে পোশাক শিল্পের দুটি প্রধান অবদান উল্লেখ করো।

উত্তরঃ পোশাক শিল্প বাংলাদেশের সনাতনি রপ্তানি আয়ের খাতগুলোকে পেছনে ফেলে বর্তমানে রপ্তানি আয়ের বৃহৎ উৎস হিসেবে অবদান রাখছে, যা দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মোট রপ্তানির আয়ের ৭৫% থেকে ৮২% এ শিল্প হতে আসে।

পোশাক শিল্প কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ব্যাপক সুযোগ তৈরি করছে। তাই এটি অন্যান্য শিল্প অপেক্ষা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেশি অবদান রেখে চলেছে।

প্রশ্ন-১০। সরকার সম্প্রতি পলিথিনের ব্যবহার রোধ করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন?

উত্তরঃ পলিথিনের ব্যবহার পরিবেশের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এ বিষয়ে লক্ষ রেখে সরকার পাটের ব্যবহার বৃদ্ধি করার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাবে বিশ্ববাসী সচেতন হওয়ায় পাটের ব্যবহার বাড়ছে। গত ১লা জানুয়ারি ২০০২ সাল থেকে ঢাকা শহরে পলিথিন ব্যাগ এবং ২০০২ সালের মার্চে সারাদেশে পলিথিন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। সরকার পরিবেশবান্ধব পাট উৎপাদনে সকলকে উৎসাহিত করার জন্য সম্প্রতি পলিথিনের ব্যবহার রোধ করতে ব্যবস্থা নিয়েছে।

প্রশ্ন-১১। আমদানি বিকল্প শিল্পায়ন কৌশল কীভাবে দেশকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করে?

উত্তরঃ কোনো একটি দেশ যে সকল পণ্যসামগ্রী আমদানি করে, সেগুলো আমদানি না করে দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদন করে দেশটি স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারে।

আমদানি বিকল্প শিল্পায়নের উদ্দেশ্য হলো আমদানি দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্পকে উচ্চ ট্যারিফের মাধ্যমে সংরক্ষণ ও সরকারি ভর্তুকি ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করা। এতে দেশটির মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আশ্রয় হয় এবং পরনির্ভরশীলতা হ্রাস পায়। অর্থাৎ আমদানি বিকল্প শিল্পায়ন কৌশল দেশকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন-১২। কেন রপ্তানিমুখী শিল্প প্রয়োজন?

উত্তরঃ দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর আমদানি ব্যয় হ্রাস করে জনগণের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য রপ্তানিমুখী শিল্প প্রয়োজন। দেশে রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রসার ঘটলে অধিকতর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে। এতে করে দেশের জাতীয় ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া বাড়তি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হওয়ায় জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী আরও বেশি আমদানি করা সম্ভব হবে। এভাবে রপ্তানি মুখী শিল্পের বিকাশ দ্বারা জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন সম্ভব।

প্রশ্ন-১৩। বাংলাদেশের শিল্প কাঠামোতে মাঝারি শিল্পের প্রাধান্য রয়েছে কেন?

উত্তরঃ মাঝারি শিল্প অধিক সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সহায়ক। বাংলাদেশে যে ভয়াবহ বেকার সমস্যার সম্মুখীন তার সমাধান ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রসারের মাধ্যমে সম্ভব।

বাংলাদেশে এ ধরনের শিল্প কারখানার সংখ্যাই বেশি। এর মধ্যে চামড়া শিল্প, তামাক শিল্প, সাবান শিল্প, কলম শিল্প, দিয়াশলাই শিল্প, সিরামিক শিল্প প্রধান। এ কারণে বাংলাদেশের শিল্প খাতে মাঝারি শিল্পের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়।

5/5 - (35 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x