প্রতিসম বা প্রতিসাম্য (Symmetry)

রসায়ন পড়তে গেলে বস্তুর মধ্যে প্রতিসাম্য তল (Symmetrical Plane) সহজেই বের করতে পাড়া গুরুত্বপূর্ণ। অণুরা আমাদের চারপাশের বস্তুর মতো ত্রিমাত্রিক। তাই অনেক অণু প্রতিসম, অর্থাৎ অণুটিকে সমান দুটি অংশে পৃথক করা যায়। সঠিকভাবে বললে, অণুটির মধ্য দিয়ে একটি প্রতিসম তল প্রয়োগ করা যায় যেটি অণুটিকে সম দুটি অংশে পৃথক করে।
একটি টেনিস বল কিংবা পিংপং বলের কথাই ভাবি। বলটি Spherical(বর্তুলাকার) ফলে এটি প্রতিসম(Symmetrical)। বলটিকে দুটি সমান অংশে পৃথক করা যাবে। প্রকৃতির সবকিছু এমন প্রতিসম নয়। যা প্রতিসম নয় তাহাই অপ্রতিসম বা asymmetrical নামে পরিচিত।
আমাদের আশেপাশে দৃশ্যমান বস্তু প্রতিসম কিংবা অপ্রতিসম কি-না সেটা সহজেই বুঝতে হবে। তাহলে অণুর গঠনেও সেটা প্রয়োগ করা যায়। অণুর জগতে এই প্রতিসম এবং অপ্রতিসম বিষয়টি অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়টির উপর অণুর অনেক ধর্ম নির্ভর করে।
কার্বনডাইঅক্সাইড (O=C=O) একটি প্রতিসম অণু। মিথেন একটি প্রতিসম অণু। বেনজিন, পিরিডিন ইত্যাদিও প্রতিসম। কিছু অপ্রতিসম অণুর কথা চিন্তা করো তাহলে!
একটি অণুর কথা ভাবো। সেটি মধ্যদিয়ে একটি তল বিবেচনা করো। যদি তলটি অণুকে সমান দুটি অংশে ভাগ করে, তাহলে সেটি প্রতিসম। অন্যথায় অণুটি অপ্রতিসম। যে তল দিয়ে অণুকে সমান দুটি অংশে ভাগ করা যায় সেটিকে বলা হয় Plane of symmetry বা প্রতিসম তল।
ছবিগুলো দেখে কিছু ধারণা নেয়া যেতে পারে।

Similar Posts