COP27 সম্মেলন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। ৬-২০ নভেম্বর ২022 মিসরের শারম আল শেখ নগরীতে অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক ২৭তম COP27 সম্মেলন।
ফ্যাক্ট ফাইল | |
তারিখ | ৬-১৯ নভেম্বর ২০২২ |
স্থান | শারম আল শেখ (মিসর) |
অংশগ্রহণ | ২০০টি দেশের প্রায় ৩০,000 মানুষ |
প্রেসিডেন্ট | সামেহ শুকরি (মিসর) |
পরবর্তী সম্মেলন | ৬-১৭ নভেম্বর ২০২৩ (সংযুক্ত আরব আমিরাত)। |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও সিদ্ধান্ত
লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড : জলবায়ু বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’ নামে একটি তহবিল গঠন করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২৪ সালের মধ্যে এর অবকাঠামো গঠন, অর্থায়নের প্রক্রিয়া, কোন পদ্ধতিতে পরিশোধ করা হবে সেসব বিষয় চূড়ান্ত করা হবে।
গ্লোবাল শিল্ড প্রকল্প : জলবায়ু বিপর্যয়ের সময় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পূর্বনির্ধারিত আর্থিক সহায়তা হিসেবে G7 ও V20 গ্রুপ মিলে গ্লোবাল শিল্ড নামের একটি সহায়তা প্রকল্প গঠন করে । গ্লোবাল শিল্ড প্যাকেজগুলোর প্রথম প্রাপকের মধ্যে রয়েছে— বাংলাদেশ, কোস্টারিকা, ফিজি, ঘানা, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং সেনেগাল ।
গুরুত্ব পায়নি ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি : বৈশ্বিক জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন কমাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ২০২০ সাল থেকে দিতে ব্যর্থ হন বিশ্ব নেতারা । কিন্তু এবারের সম্মেলনে এ বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি।
জীবাশ্ম জ্বালানি : কয়লা বাদে অন্য সকল জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ধাপে ধাপে বেরিয়ে আসতে কোনো চুক্তি হয়নি ।
বিশ্বব্যাংকের সংস্কার : গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন ও এর প্রভাবগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ কিছু দেশ বিশ্বব্যাংকের সংস্কার চেয়েছে।
1.5°C : বেশ কিছু দেশ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি 1.5°C-এ সীমাবদ্ধ করার লক্ষ্যমাত্রা পরিত্যাগ করার চেষ্টা করলেও এ লক্ষ্যমাত্রা বহাল রয়েছে ।
বাংলাদেশ প্রেক্ষিত : বাংলাদেশ থেকে COP27-এ যোগদানকারী জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা ২০২৫ সাল থেকে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিতে তাদের তহবিল দ্বিগুণ করতে প্রস্তাব দেয়।
GCA পুরস্কার বাংলাদেশের : সম্মেলনে ‘অভিযোজন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড’ (GCA) অর্জন করে বাংলাদেশ । বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও কেনিয়া এ পুরস্কার লাভ করে।