অন্ত্য-অ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।

বাংলা ভাষায় বেশ কিছু বিশেষণে অথবা বিশেষণরূপে ব্যবহৃত পদের অন্তিম ‘অ’ লুপ্ত না হয়ে ও-কারান্ত উচ্চারণ হয়ে থাকে। যথা : কাল (বিশেষণ ‘কালো’ কিন্তু’, বিশেষ্য কাল্), খাট (খাটো কিন্তু বিশেষ্য খাট্), ছোট (ছোটো), বড় (বড়ো) ইত্যাদি।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বেশ কিছু দ্বিরুক্ত শব্দ বিশেষণরূপে ব্যবহৃত হলে প্রায়শ অন্তিম ‘অ’ ও-কারান্ত উচ্চারণ হয়। যথা : কাঁদ-কাঁদ (কাঁদো-কাঁদো), কল-কল (কলো কলো), পড়-পড় (পড়ো- পড়ো), বড়-বড় (বড়ো-বড়ো) ইত্যাদি।

১১ থেকে ১৮ পর্যন্ত সংখ্যাবাচক শব্দের শেষে ‘অ’ রক্ষিত এবং ‘ও’-কারান্ত উচ্চারিত হয়ে থাকে। যথা : (১১ এগারো (অ্যাগারো), (১২) বারো (বারো), (১৩) তেরো (ত্যারো), (১৪) চোদ্দো (চোউদ্‌দো) ইত্যাদি।

‘আন’ (আনো)-প্রত্যয়ান্ত শব্দের অন্তিম ‘অ’ ‘ও’-কারান্ত উচ্চারিত হয়। যথা : করান (করানো), বলান (বলানো), শেখান (শেখানো), লেখান (লেখানো), পাঠান (পাঠানো), খেলান (খ্যালানো), চালান (চালানো); সরান (শরানো), ভরান (ভরানো) ইত্যাদি।

‘ত’ (ক্ত) এবং ‘ইত’ প্রত্যয়যোগে সাধিত বা গঠিত বিশেষণ শব্দের অন্ত্য ‘অ’ উচ্চারণে ও-কারান্ত হয়ে থাকে। যেমন : হত (হতো), মত (মতো), গত (গতো), নত (নতো), রত (রতো) ইত্যাদি।

Similar Posts