পরিবেশ দূষণ
আমরা যে পরিবেশে বাস করি তা প্রতিমুহূর্তেই অনবরত দূষিত হচ্ছে ।জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কল কারখানার যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে ।এমনকি আমরা যে ভূমিতে বিচরণ করি তা ময়লা আবর্জনা দূষিত হচ্ছে । শিল্প বর্জ্য, বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থের মাধ্যমে পানি দূষিত হচ্ছে । বন জঙ্গল ও গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে আর এভাবে পারিপার্শ্বিক ভারসাম্য ঘটছে । পরিবেশ দূষণ মূলত দুটি কারণে হয়ে থাকে । একটি হচ্ছে প্রকৃতিকরণ যেমন: ঝড় বন্যা, ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস, অগ্নপাত , অন্যটি হচ্ছে কৃত্রিম যেমন: পানি দূষণ, শব্দ দূষণ, তেজস্ক্রিয় দূষণ । কীটনাশক, গুড়ো সাবান, প্রসাধন সামগ্রী , প্লাস্টিকের ব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষণ হয়ে থাকে । প্রাকৃতিকভাবে সিসা, সালফার ডাই অক্সাইড, কারণ ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইড ইত্যাদির দূষণ ঘটে থাকে । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে প্রকৃতি ও পরিবেশের উপর । জীবনযাপন তাই অনেক আধুনিক অনেক সহজ হয়েছে । মানুষের কারণে আজ পরিবেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে । বর্তমান সময়ে পরিবেশ দূষণের পিছনে মানুষের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি । জনসংখ্যা বিশ্ব ফারনের কারণে প্রাকৃতিক সম্পদ- বায়ু, মাটি, পানি উপর প্রচন্ড চাপ পড়েছে ।বনজ সম্পদ ধ্বংসের রীতিমতো উৎসব চলছে বিশ্বজুড়ে ।
ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে । বাতাসে ধুলোবালু, কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া, কীটনাশক ইত্যাদির উপস্থিতি বাড়ছে । কলকারখানার বর্জ্য, কীটনাশক ইত্যাদি উপস্থিতি বাড়ছে আশঙ্কা জনক ভাবে । অতিরিক্ত উৎকণ্ঠ শব্দের কারণে শব্দ দূষণ ঘটছে । এতসব দূষণের ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষ আজ হুমকির সম্মুখে ।পরিবেশন এমন একটি এলাকা যা মানুষের বসবাস করে । পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে তাকে পরিবেশ দূষণ বলে । যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া বিষাক্ত গ্যাসে উৎস পরিবেশ দূষণের কারণ । পৃথিবীতে মানব জাতি স্বার্থে পরিবেশকে সকল প্রকার দূষণমুক্ত করা অপরিহার্য । মোটরযান, উড়োজাহাজ, গৃহস্থলীর যন্ত্রপাতি থেকে শব্দ দূষণ হয়। পরিবেশ দূষণ বলতে পরিবেশের মৌলিক উপাদান যেমন: মাটি, বায়ু, পানি, ইত্যাদি । পরিবেশ যদি জীবেরজন্য প্রাণবসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠে তখন তাকে পরিবেশ দূষণ বলে থাকে । আমাদের শহরগুলোতে কল কারখানা মোটরযান থেকে নির্গত ধোঁয়া দ্বারা পরিবেশের অন্যতম উপাদান বায়ু দূষিত হচ্ছে । পরিবেশ দূষণ ক্রমাগত আমাদের নীরব মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছে । তাই সুখী ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হলে পরিবেশ দূষণ অবশ্যই রোধ করতে হবে । সচেতনতার কোন বিকল্প নেই আমাদের । কাপড় ধোয়া, গবাদি পশু স্নান, এবং মলমূত্র ত্যাগের ফলে পানি দূষিত হতে পারে । মানুষের ব্যবহারের জন্য শক্তি উৎপাদন বিষাক্ত রাসায়নিক উৎপাদন হতে পারে । এগুলোর ফলে অস্তিত্ব হচ্ছে মানবজাতি ।
পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদ
পরিবেশ দূষণ এর মারাত্মক পরিণতি থেকে পরিবেশ রক্ষা করার জন্য পরিবেশ বিজ্ঞানী কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন । পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হলে মানুষকে শিক্ষিত করতে হবে । তাদেরকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে । পরিবেশ সংরক্ষণ এবং দূষণেরনেতিবাচক প্রভাব এড়াতে মানুষকে একযোগে কাজ করলে জাতি সমৃদ্ধ হবে । আমাদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে সবাইকে।
পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা এবং তাহলে আমরা একটি সুন্দর পরিবেশ বসবাসের নিশ্চয়তা পাব ।