পড়ন্ত বস্তুর সূত্র

ইতালির বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিও (১৫৬৪ – ১৬৪২) সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুতে, মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর তিনটি সূত্র আবিষ্কার করেন।
তিনি ১৫৮৯ সালে ফ্রান্সের একটি শহরে করা পরীক্ষণের ভিত্তিতে পড়ন্ত বস্তুর তিনটি সূত্র দেন, যা ১৬৫০ সালে বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন গিনি-পালক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেন। নিউটন দেখেন যে, একটি ভারী বস্তু (একটি গিনি) এবং একটি হালকা বস্তু (একটি পালক) স্থির অবস্থান ও একই উচ্চতা থেকে বিনা বাধায় ঠিক একই হারে পতিত হবে।

পড়ন্ত বস্তুর সূত্রাবলী

পড়ন্ত বস্তুর প্রথম সূত্র: স্থির অবস্থান ও একই উচ্চতা থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত সকল বস্তু সমান সময়ে সমান পথ অতিক্রম করে।
অর্থাৎ বায়ু শূন্য কোন একটি স্থানে একটি পাখির পালক এবং একটি ধাতব মুদ্রা স্থির অবস্থান এবং একই উচ্চতা থেকে নিচের দিকে ফেলে দিলে, পালক হাল্কা এবং ধাতব মুদ্রা ভারি হওয়া সত্ত্বেও এরা উভয়ই একইসাথে ভূমিতে এসে পড়বে।
পড়ন্ত বস্তুর দ্বিতীয় সূত্র: স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত কোন বস্তুর নির্দিষ্ট সময়ে (t) প্রাপ্ত বেগ (v) ঐ সময়ের সমানুপাতিক। অর্থাৎ v ∞ t।
পড়ন্ত বস্তুর তৃতীয় সূত্র: স্থির অবস্থান থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত কোন বস্তুর নির্দিষ্ট সময়ে (t) যে দূরত্ব (s) অতিক্রম করে, তা ঐ সময়ের বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ s ∞ t2।

Similar Posts