বিষয়সমূহঃ
- ন্যানোটেকনোলজি
- ন্যানোটেকনোলিজির ব্যবহার
- ন্যানোটেকনোলজির সুবিধা
- ন্যানোটেকনোলজির অসুবিধা
ন্যানোটেকনোলজি (Nanotechnology):
ন্যানোটেকনোলজি হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে ন্যানোমিটার স্কেলে একটি বস্তুকে নিপুণভাবে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ধ্বংস বা সৃষ্টি করা যায়।
ন্যানোমিটার হলো পরিমাপের একক। ১ ন্যানোমিটার = মিটার যা মানুষের চুলের ব্যাসের ৮০,০০০ ভাগের একভাগ।
ন্যানোমিটার স্কেলে যে সমস্ত টেকনোলজিগুলো সম্পর্কিত সেগুলো হলো ন্যানোপ্রযুক্তি বা ন্যানোটেনোলজি বা ন্যানোটেক।
ন্যানোটেকনোলিজির ব্যবহারঃ
- প্রসেসরের উন্নয়নে তথা এর উচ্চ গতি, দীর্ঘ, স্থায়িত্ব, কম শক্তি খরচ কম্পিউটারের মেমোরি, গতি দক্ষতা ইত্যাদি বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়।
- খাদ্যজাত দ্রব্যের প্যাকেজিং তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- বিভিন্ন ধরনের স্মার্ট ড্রাগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- হালকা ওজনের ও জ্বালানি সাশ্রয়ী বাহন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- ইস্পাতের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী মেটাল তৈরির জন্য রাসায়নিক শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
- বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়।
ন্যানোটেকনোলজির সুবিধাঃ
- ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করে উৎপাদিত পণ্য মজবুত, বেশি টেকসই, আকারে ছোট ও হালকা হয়।
ন্যানোটেকনোলজির অসুবিধাঃ
- ন্যানোটেকনোলজির গবেষণা ও প্রয়োগ অনেক ব্যয়বহুল।
- ন্যানোপ্রযুুক্তি ব্যবহার করে মারাত্মক যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করা সম্ভব।
- ন্যানোপার্টিক্যাল অর্থাৎ ন্যানোপ্রোডাক্ট মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
- এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অদক্ষরা কর্মহীন হয়ে যাবে।