কম্পিউটার
সাধারণ অর্থে কম্পিউটার(Computer) এমন একটি যন্ত্র যা ব্যবহারকারীর নির্দেশ মান্য করে বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে থাকে।
কম্পিউটার(Computer) শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ কম্পিউট(compute) থেকে যার অর্থ গণনা আর কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনাকারী।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjAAy3l1jSk3bL0APcrcVLcZg21dElDvIhwSo2T7CWJCLKPOBplxoPnFAqPk8VwQlvEC5BdJufJ5QBhSCFE6XngP6mh_vE2rMqtCWo9oGH9elChwe77LaMqm82sgG8hGXLihtbDnbC2VrzVdGAryPFChjMc1ZeUQKHRX_qad_G_hUlvVvIGjdG0oX-ks_8/w488-h270/Computer2%20(1).jpg)
বর্তমান সময়ের কম্পিউটারগুলো সদ্য গণনাকারী ঘটনাবহুল কাজে ব্যবহৃত হয় যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ ও সাবলীল করতে সাহায্য করে।
কম্পিউটার সাধারণত তিন ভাগে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে থকে একটি তথ্য গ্রহণ করে বিশ্লেষণ করে এবং উপস্থাপন করে।
বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে 1964 সালে যা ছিল আইবিএম 1620 মডেল একটি কম্পিউটার।
বর্তমানে কম্পিউটারে ব্যাবহার বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হলেও আমাদের দেশের ব্যবহারে অনেকটাই পিছিয়ে।
এর অন্যতম প্রধান কারণ কম্পিউটারের দাম, আমাদের দেশের মানুষের সক্ষমতার তুলনায় যা অনেকটাই বেশি।
কম্পিউটারের(Computer) জনক কে?
ইংরেজ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের(Computer) জনক বলা হয়।
তিনি প্রথম প্রোগ্রামিং কম্পিউটারের ধারণার প্রবর্তন করেন।
তিনি প্রথম 1822 সালে নেভিগেশনাল পরিমাপের জন্য একটি ডিফারেন্স ইঞ্জিন তৈরি করেন, যাতে পরবর্তীতে 1833 সালে তিনি আরও সহজভাবে উপস্থাপন করেন যার নাম দেন এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন।
এই এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন এর ধারণা থেকেই পরবর্তীতে আধুনিক কম্পিউটারের ধারণার উদ্ভব হয়, তাই তাকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
মার্কিন গণিতবিদ জন ভন নিউম্যানকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
প্রথম কম্পিউটার(Computer)
পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামেবল কম্পিউটারের(Computer) নাম Colossus, পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র উন্নত ভার্সন নিয়ে আসে যার নাম দেয় ENIAC( Electronic Numerical Integrator and Computer). এরপর থেকেই মর্ডান কম্পিউটার যুগের সূচনা ঘটে।
কিভাবে কাজ করে?
আমরা কম্পিউটারকে(Computer) যখন ইনপুট দেই কোন কাজ করতে বলে তখন আমাদের নিজের ভাষায় বলি, কিন্তু কম্পিউটার(Computer) আমাদের ভাষা বুঝতে পারে না।
আমরা যাই কিছু ইনপুট দেই সে তার নিজের ভাষায় পরিবর্তন করে নেয়।
কম্পিউটার সাধারণত বাইনারি ভাষা ব্যবহার করে যে ভাষার মূল ভিত্তি হচ্ছে 0 এবং 1। এই 0 এবং 1 ব্যবহার করে কম্পিউটার তার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে।
0 এবং 1 কে একত্রে আমরা বিট বলে থাকি। এখানে 0 মানে হচ্ছে মিথ্যা আর 1এর অর্থ সত্য।
বাইনারি ভাষায় সত্য বলতে বোঝায় এর মধ্য দিয়ে সিগন্যাল প্রবেশ করবে আর মিথ্যা বলতে বোঝায় এর মধ্য দিয়ে সিগন্যাল প্রবেশ করবে না, যাকে আমরা সংক্ষেপে লজিক অপারেশন বলি।
বর্তমান সময়ে জীবনযাত্রার প্রতিটি ধাপেই কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় প্রতিদিনই কম্পিউটার আরও উন্নত হচ্ছে।
যার ধারাবাহিকতায় আমরা বর্তমানে সুপারকম্পিউটার(SuperComputer) দেখতে পাই, যার সাধারণ কম্পিউটার(Computer) থেকে বহু গুণ দ্রুত কাজ করতে সক্ষম।
আবার বর্তমান সময়ে কোয়ান্টাম কম্পিউটার(Quantum Computer) নিয়ে কাজ চলছে যা জটিল সব গাণিতিক সমস্যার সমাধান সাধারণ কম্পিউটার থেকে হাজারগুন দ্রুত করতে সক্ষম। এটির বাস্তবায়ন হলে আমাদের সম্পূর্ণ জীবন ব্যবস্থাই পাল্টে যাবে।