ওয়াটারফাস্টিং কি | ওয়াটার ফাস্টিং কি সত্যিই ওজন কমায়?? (Water Fasting)

ওয়াটারফাস্টিং কি

ওয়াটার ফাস্টিং হলো দিনের শুরূ থেকে ৭-৮ ঘন্টা  তরলজাতীয় বা পানীয় খাবার গ্রহন করা।

এক কথায়  দীর্ঘ সময় শুধু পানি পান করে থাকা কেই ওয়াটার ফাস্টিং বলে।

যারা খুব কম সময়ে ওজন কমাতে চায় তাদের সারাদিনের সময় ভাগ করে এই তরল পান করতে হয় এবং সকল নিয়ম ঠিক ভাবে পালন করতে হয়।

অনেক ডায়েটেশিয়ান রা বলে থাকেন টানা ২০ দিন এই ফাস্টিং নিয়ম মেনে চললে খুব সহজেই ওজন কমানো সম্ভব।

এই ক্ষেত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে দিনের শুরুতে ৭-৮ ঘন্টা সময় পর্যন্ত শুধু খাওয়া ও পান করা যাবে স্যুপ, জুস আর পানি।

আর ওয়াটারফাস্টিং টানা ২০ দিন করলে কমে যেতে পারে ৫-৬ কেজি ওজন।

কিন্তু ২০ দিনের বেশি এটি করা উচিত হবে না।

তবে সবাই যে এ্টি করতে পারবে এমন টা কিন্তু নয়।

কারণ যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন এর পরিমান কম তাদের এই ওয়াটার ফাস্টিং করা উচিত হবে না।

তাছাড়াও যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং উচ্চরক্তচাপ তাদের পক্ষেও ওয়াটার ফাস্টিং করা ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

আবার অনেক সময় কাজের ধরন, ওজন, বয়স,এবং কি কি শারীরিক কাজ করা হয়ে থাকে তারওপর নির্ভর করেও ওয়াটার ফাস্টিং এর রুটিন করা হয়ে থাকে।

ওয়াটার ফাস্টিং (Water Fasting) চার্টঃ

যারা শারীরিক ভাবে সুস্থ তারা সাধারণত নিম্নোক্ত চার্ট মেইনটেইন করতে পারে ।

যেমন সকাল ৮ টার দিকে উঠে হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করতে পারে।

এরপর সকাল ১১ টার দিকে আঁশসহ যেকোনো ফলের রস। বেলা ২ টায় শসা ও টমেটোর জুস।

বিকেল বেলা ১ কাপ লাল চালের ভাতের সাথে এক টুকরা মাছ ও এক বাটি সব্জি খেতে পারে।

তাছাড়া কেও ভাত খেতে না চাইলে এক বাটি ভেজিটেবল স্যুপ ও খেতে পারেন৷ সন্ধ্যা বেলায় চীয়া সীড খেতে পারেন লেবু দিয়ে।

আর রাতে ঘুমানোর আগে এক বাটি টক দই খাওয়া যেতে পারে।

তাছাড়া দিনের শুরু থেকে ওয়াটার ফাস্টিং করার প্রধান কারণ হলো আমরা সারাদিন নানান শারীরিক কাজের মধ্যে থাকি।

তাই এই সময় ওয়াটার ফাস্টিংদ্রুত কাজ করে। কিন্তু রাতের বেলায় আমরা বিশ্রামে থাকি বলে তা তেমন কার্যকর হয় না।

তবে ওজন কমানোর জন্য যেকোনো ধরনের উদ্যোগ ই বিশেষজ্ঞ দের মতামত নিয়ে করা সর্বোত্তম

Similar Posts