Twitter এর আগমন ও বিশ্বজয়
Twitter এর আগমন
Twitter প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। Twitter এ অনুমোদিত ব্যবহারকারীরাই পোস্ট লাইক এবং রিটুইট করতে পারে কিন্তু যাদের অনুমোদন নেই তারা শুধু পোস্ট দেখতে পারে।
টুইটারকে মাইক্রোব্লগিং বলা হয় কারণ এখানে সর্বোচ্চ ১৪০ বর্ণের মাঝে লেখা শেষ করতে হয়।
২০০৭ সালে এটিকে ২৮০ বর্ণের মাঝে নিয়ে আসা হয় (চীন, জাপান, কোরিয়া বাদে)।
এখানে ভিডিও বা অডিও সর্বোচ্চ ১৪০ সেকেন্ডের পোস্ট করা যায়।
Twitter এর প্রধান কার্যালয় সানফ্রান্সিসকো ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত, এছাড়াও তাদের সারাবিশ্ব পঁচিশটি কার্যালয় রয়েছে। সারাবিশ্বে এর ৩৩০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে।
Twitter এর ইতিহাস
জ্যাক ডরসি বিদ্যালয়ের আন্ডারগ্রেজ্যুয়েট ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় ছোট একটি দলের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একটি মেসেজিং সার্ভিস তৈরির ধারণা পান।
তিনি প্রাথমিক অবস্থায় এই পরিকল্পনার নাম দেন twttr কারণ তখন twitter.com ডোমেইনটি ব্যবহৃত হচ্ছিল।
তার ছয় মাস পর তিনি twitter.com ডোমেইনটি কিনে নেন এবং নাম দেন Twitter।
এই পরিকল্পনার কাজ শুরু হয় ২১ শে মার্চ ২০০৬ সালে। পনেরোই জুলাই ২০০৬ সালে টুইটারকে তিনি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেন।
২০০৭ সালের পর টুইটার এর ব্যবহার দ্রুত বাড়তে থাকে, প্রতিদিন দুইটার সংখ্যা ২০ হাজার থেকে ৬০ হাজারের বৃদ্ধি পায়।
২০০৮ সালে প্রত্যেক তিন মাসে ১০০ মিলিয়ন টুইট হয়।
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০ মিলিয়ন Tweet একদিনে শেয়ার হয়।
২০১০ সালে কোম্পানিটির 70000 নিবন্ধিত গ্রাহক পায়। জুন ২০১০ সালে দেখা যায় প্রত্যেক সেকেন্ডে ৭৫০ টি tweet শেয়ার হয়।
বিভিন্ন উপলক্ষকে কেন্দ্র করে এই টুইট শেয়ারের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ১৭ ই জুন ২০১০ সালে NBA ফাইনালে Los Angeles Lakers জয়লাভের পর প্রত্যেক সেকেন্ডে ৩০৮৫ টি tweet শেয়ার হয়।
২০১১ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবলে জাপান এবং আমেরিকার মধ্যবর্তী খেলা চলাকালে প্রতি সেকেন্ডে ৭১৯৬ টি tweet শেয়ার হয়।
এমনকি আমেরিকান পপ সিঙ্গার মাইকেল জ্যাকসন মারা যাওয়ার দিন এত বেশিসংখ্যক tweet শেয়ার হয় যে এর সার্ভার ক্রাশ করে।
গ্রাহকবান্ধব ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় টুইটার রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসে। বর্তমান বিশ্বের প্রায় সকল শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিরা twitter ব্যবহার করেন।
tweet
Twitter এ যা শেয়ার করা হয় তাই tweet.
tweet গঠনমূলক ভাবেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
যেসব দেশে ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে সেইসব দেশ থেকেই গ্রাহকেরা ব্যবহার করতে পারেন।
এখানে ব্যবহারকারীরা একজন আরেকজনকে অনুসরণ করতে পারেন এবং যাকে অনুসরণ করছেন তার শেয়ার করা টুইট সহজেই দেখতে পারেন আবার tweet এ পছন্দ বা মন্তব্য করতে পারেন।
প্রথম tweet টি করেছিলেন Twitter এর প্রতিষ্ঠাতা Jack Dorsey ২১ শে মার্চ ২০০৬ সালে, লিখেছিলেন ” just setting up my twttr”. সময়ের সাথে সাথে এটি তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে আসে।
বর্তমান বিশ্বে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেখানে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে পাচারে ব্যস্ত সেখানে Twitter তাদের ব্যবহারকারীদের নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা দিয়ে চলছে। তারা প্রতিদিন বিভিন্নরকম ক্ষতিকর লেখা বা ব্যক্তিদের সরিয়ে দিচ্ছে।
বর্তমানে প্রায় ৩২৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারী মানুষ Twitter ব্যবহার করে এবং তাদের ৫৫০০+ ককর্মচারী রয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার ও দাপ্তরিক কাজে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।