ড্রাগন ফল কী
ড্রাগন ফল একধরনের ফনিমনসা( ক্যাকটাস) জাতীয় ফল। ফলটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে৷
তবে লাল রঙের ড্রাগন ফল চোখে পড়ে বেশি।এগুলো স্বাদে মিষ্টি হয়ে থাকে। এই ফলের বাইরের খোসা রূপকথার ড্রাগনের পিঠের মতো এবং গাছটি একদম ক্যাকটাস এর মতো।
ড্রাগন ফলের উপকারিতাঃ
এটি বিদেশি ফল হলেও দিন দিন আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কারণ ড্রাগন ফল আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এই ফল খেলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমে এবং এটি বেশ কার্যকর।
যে সকল রোগের ঝুঁকি কমায় সে রোগ গুলো হল :
১.কোলেস্ট্রোরেল কমায়
২. হৃদযন্ত্র ভালো রাখে
৩• ওজন কমাতে সাহায্য করে
৪• ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
৫• ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
৬• হজমে সহায়ক
৭• বয়সের চাপ দূর করতে বেশ ভূমিকা রাখে।
৮• কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
৯• রক্ত চলাচল বজায় রাখে।
১০• চুলপড়া প্রতিরোধ করে।
দই এর ইতিহাস ও উপকারিতা
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনেঃ
আমাদের দেহের খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমানো এবং ভালো কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে এটি ভূমিকা পালন করে।
দেখা যায় যারা প্রতিদিন একটি করে ড্রাগন ফল খায় তাদের কোলেস্টেরল এর মাত্রা ৪.৪% কমে।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখতেঃ খারাপ কোলেস্টেরল কমানোর মাধ্যমে হৃদযন্ত্র কে ভালো রাখে এই ড্রাগন ফল।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ
ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যা ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমান ফাইবার এবং এর প্রায় ৮০ শতাংশই পানি।
ক্যান্সার প্রতিরোধঃ
এই ফলে রয়েছে ক্যারোটিন নামক উপাদান যা আমাদের শরীরের টিউমার কে ধ্বংস করতে সক্ষম।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধঃ
এই ফলে পর্যাপ্ত পরিমান ফাইবার থাকায় শরীরের শর্করার পরিমান হ্রাস্ব করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
বয়সের ছাপ দূর করতেঃ
বয়সের ছাপ দূর করার জন্য প্রয়োজন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যেহেতু এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আনয়নে কাজ করে এবং বয়সের ছাপ দূর করে।
চুল পড়া রোধেঃ
আয়রনের সমস্যার কারনে চুল পড়া সমস্যার সৃষ্টি হয়। নিয়মিত এই ফল খেলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
ড্রাগন ফলের কিছু অপকারিতা:
আমরা সবাই জানি যে সবকিছুরই সুবিধা এবং অসুবিধা ২ বৈশিষ্ট্যই রয়েছে। ঠিক একই রকম ড্রাগন ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন খাওয়া উপকারি ঠিক তেমনি প্রচুর পরিমাণে এই ফল খেলে তার কয়েকটি সাইড এফেক্ট দেখা দেয়।
কিছু বিশেষ সাইড এফেক্ট-
ড্রাগনফলে অনেক পুষ্টিকর গুণ আছে সুতরাং অতিরিক্ত এই ফল খাওয়ার ফলে অ্যালার্জিও হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমানে ড্রাগন ফল খেলে ডাইরিয়া হতে পারে এবং এটি পরিমানের থেকে বেশি বা অতিরিক্ত খেলে নিম্ন রক্ত চাপ হতে পারে।
তাই প্রয়োজনের অধিক ড্রাগন ফল গ্রহন করা যাবে না।