স্থিতিস্থাপক ক্লান্তি কাকে বলে?
স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে কোন বস্তুতে বা তারে অনেকক্ষণ যাবৎ পীড়ন প্রয়োগ করলে কিংবা পীড়নের হ্রাস-বৃদ্ধি করলে বস্তু স্থিতিস্থাপক ধর্মের অবনতি ঘটে। তখন অসহভার অপেক্ষা কম ভারেই ঐ বস্তু ছিড়ে বা ভেঙ্গে যাবে, বস্তু বা তারের এ অবস্থাকে স্থিতিস্থাপক ক্লান্তি বলে।
স্থিতিস্থাপক সীমা ও স্থিতিস্থাপক ক্লান্তির মধ্যে প্রধান পার্থক্য কী?
বিকৃতি সৃষ্টিকারী বাহ্যিক বল প্রয়োগ করে বিকৃত করার সময় প্রায় প্রত্যেক বস্তুই বাহ্যিক বলের একটি সর্বোচ্চ মান পর্যন্ত পূর্ণ স্থিতিস্থাপক বস্তুর ন্যায় আচরণ করে। বাহ্যিক বলের এই সর্বোচ্চ মান বা সীমাকেই স্থিতিস্থাপক সীমা বলে। অপরদিকে স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে কোন তারের উপর পীড়ন ক্রমাগত হ্রাস বৃদ্ধি করলে স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায় যার ফলে অসহ ভার অপেক্ষা অনেক কম ভরে এমনকি স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে তারটি ছিড়ে যায়। স্থিতিস্থাপক ক্লান্তি না হলে স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে তারটি ছিড়তো না। এটি হলো এদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “স্থিতিস্থাপক ক্লান্তি কাকে বলে?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।