নাগরিকতা কাকে বলে?

নাগরিকতা কাকে বলে?

নাগরিকত্ব বা নাগরিকতা হলো কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্র বা জাতির একজন আইনস্বীকৃতি সদস্য হিসেবে পাওয়া কোনো ব্যক্তির পদমর্যাদা। একজন ব্যক্তির একাধিক নাগরিকত্ব থাকতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তির কোনো দেশেরই নাগরিকত্ব না থাকে তবে তাকে রাষ্ট্রহীন বলা যায়।

মানুষ সমাজে বাস করে। সমাজে বাস করা তার সহজাত প্রবৃত্তি। শাব্দিক অর্থে নগরের অধিবাসীকে নাগরিক বলে। পৌরনীতিতে নাগরিক শব্দের বিশেষ অর্থ রয়েছে। একটি রাষ্ট্রের সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষ যে পরিচিত, মর্যাদা, অধিকার পেয়ে থাকে তাকে নাগরিকতা বলে।

অতএব, বলা যায়, নাগরিকতা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবে ব্যক্তির অর্জিত পরিচিতি, গুণাবলি, সম্মান ও অধিকার। নাগরিক যদি যথাযথভাবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে তাহলে তার নাগরিকতার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

জাতীয় রাষ্ট্রের উদ্ভবের ফলে নাগরিকতার সংজ্ঞা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন নাগরিকতা নগরকে কেন্দ্র করে সংজ্ঞায়িত হয় না, জাতীয় রাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে হয়। যেমন- বাংলাদেশের নাগরিক, ভারতের নাগরিক। বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন সময়ে নাগরিকের সংজ্ঞা দিয়েছেন।

অধ্যাপক লাস্কির ভাষায়, “জনকল্যাণের নিমিত্তে নিজের জ্ঞান-বৃদ্ধি সম্পন্ন অভিমতের প্রয়োগই হলো নাগরিকতা।”

কেলসনের ভাষায়, “কোন রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবে ব্যক্তির সম্মান ও পদমর্যাদাই নাগরিকতা।”

 

শেষ কথা:

আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “নাগরিকতা কাকে বলে?” আর্টিকেলটি পছন্দ হয়ে থাকলে, অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।