পরিভাষা কাকে বলে? | পরিভাষার গুণ বা বৈশিষ্ট্য
পরিভাষা কাকে বলে?
এক ভাষার বিশেষ শব্দের অন্য ভাষায় ব্যবহারের জন্য অনুবাদকে পরিভাষা বলা হয়।
এটি যে কোনো অনুবাদ নয়, এটি বিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজবিদ্যা – প্রভৃতি জ্ঞানচর্চার সমভূমি প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যেই প্রযুক্ত হয়।
সাধারণভাবে পরিভাষা একটি বিষয়ের সংজ্ঞাও নির্দেশ করতে পারে। এমনও হতে পারে, প্রচলিত অর্থে একটি শব্দ যে অর্থ বহন করে নির্দিষ্ট ভাষায়, পরিভাষায় তা এক নাও হতে পারে।
যেমন: বিজ্ঞান শব্দটি সংস্কৃত ভাষায় ঈশ্বরানুভব, অপরোক্ষ জ্ঞান, তত্ত্বজ্ঞান বা বিশেষ জ্ঞান অর্থে প্রযুক্ত হত। কিন্তু science শব্দের পরিভাষা রূপে বিজ্ঞান একটি অন্য অর্থে ব্যবহৃত হয়; বলা যেতে পারে; গবেষণা, পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ মূলক জ্ঞানচর্চার নামান্তর এটি। মূল সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে এর ব্যবধান বিস্তর।
বাংলায় পরিভাষা নির্মাণের চেষ্টা বিট্রিশ আমল থেকেই হয়ে আসছিল, আইন ব্যবস্থা প্রণয়নের সুবিধার্থে। ১৭৮৪ সালে জোনাথান ডানকানের হইবার কারণ ধারার নিয়ম বাংলা ভাষা’র বাংলা ভাষায় প্রকাশের সূত্রে বাংলা পরিভাষা চর্চার সূত্রপাত। ১৮৯৪ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে তা ব্যাপক পরিণতির প্রয়াস করে।
পরিভাষার গুণ বা বৈশিষ্ট্য
পরিভাষার পাঁচটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরি।নিম্নরূপ –
১) সর্বজনমান্যতা
২) সহজবোধ্যতা
৩) অর্থবাচকতা বা বিশিষ্টার্থে
৪) দ্ব্যর্থহীনতা
৫) ধ্বনিমাধুর্য ও সংক্ষিপ্ত।