Modal Ad Example
বাংলা

উচ্চারণ রীতি কাকে বলে? বাংলা উচ্চারণের কয়েকটি নিয়ম লিখ। শুদ্ধ উচ্চারণ কেন প্রয়োজন?

1 min read

উচ্চারণ রীতি কাকে বলে?

শব্দের যথাযথ উচ্চারণের জন্য নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে উচ্চারণ রীতি বলে।

উচ্চারণ একটি বাচনিক প্রক্রিয়া। অঞ্চল, সময়, ব্যক্তি, ভৌগলিক সীমার ভিন্নতার কারণে উচ্চারণের ভিন্নতা হতে পারে। সময়ের বিবর্তনে বাংলা উচ্চারণে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটেছে এবং বিভিন্ন কারণে উচ্চারণের বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বাংলার কথ্য বাচনভঙ্গির বিভিন্ন বৈচিত্র্যের একটি সমন্বিত উচ্চারণমানকে প্রমিত বাংলা উচ্চারণ বলে ধরা হয়।

ভাষাতত্ত্ববিদ ও ব্যাকরণবিদগণ বাংলা ভাষার প্রতিটি শব্দের যথাযথ সঠিক উচ্চারণের জন্য কতকগুলো নিয়ম বা সূত্র প্রণয়ন করেছেন। এই নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকে বলা হয় বাংলা ভাষার উচ্চারণনীতি।

বাংলা উচ্চারণের কয়েকটি নিয়ম

বাংলা উচ্চারণের কয়েকটি নিয়ম নিচে তুলে ধরা হলো –

ক. শব্দের শুরুতে যদি ‘অ’ থাকে এবং পরে যদি ই, ঈ, উ, ঊ, ক্ষ, জ্ঞ, য-ফলা বা ঋ-কার থাকে তাহলে অ-এর উচ্চারণ ও-এর উচ্চারণ ও-কারের মতো হয়।

যেমন– অতি (ওতি), নদী (নোদি), তরু (তোরু), ময়ূর (মোয়ুর্), পক্ষ (পোকখো), যজ্ঞ (জোগগো), বন্য (বোননো), মসৃণ (মোসৃন্)।

খ. শব্দের আদ্য ব্যঞ্জনবর্ণে ব-ফলা সংযুক্ত হলে সে ব-এর কোনো উচ্চারণ হয় না।

যেমন– ত্বক (তক্), স্বাধিকার (শাধিকার্), ধ্বনি (ধোনি), স্বাগত (শাগতো) ইত্যাদি।

গ. শব্দের মধ্যে কিংবা শেষে ‘ব-ফলা’ থাকলে সংযুক্ত বর্ণের উচ্চারণ দুইবার হয়ে থাকে।

যেমন– বিশ্ব (বিশশো), বিদ্বান (বিদদান), পক্ব (পককো) ইত্যাদি।

ঘ. শব্দের আদ্য ব্যঞ্জনবর্ণে ‘ম-ফলা’ যুক্ত হলে সাধারণত তার কোনো উচ্চারণ হয় না।

যেমন– স্মরণ (শঁরোন্), শ্মশান (শঁশান্), স্মারক (শাঁরোক্) ইত্যাদি।

ঙ. শব্দের গোড়ায় ‘ব-ফলা’র কোনো উচ্চারণ নেই। শ্বাস, শ্বাপদ, দ্বাপর, দ্বিজ, দ্বার। শব্দের মধ্যে ব-ফলা ব্যঞ্জনের দিত্ব ঘটায় – বিদ্বান (বিদ্দান্), স্বত্ব (শৎতো)।

চ. শব্দের মাঝে বা শেষে ‘ক্ষ’-এর উচ্চারণ কখ হয়ে থাকে। যেমন – দক্ষতা (দোকেখাতা, পক্ষ (পোকেখা) ইত্যাদি।

শুদ্ধ উচ্চারণ কেন প্রয়োজন?

উচ্চারনের শুদ্ধতা রক্ষিত না হলে আমাদের ভাষার মূল অর্থ বা উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যায়। ভাষার অর্থকে সঠিকভাবে বোঝার জন্য বাংলাভাষার শুদ্ধ উচ্চারণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুদ্ধ উচ্চারণ শব্দের অর্থের বিভ্রান্তি বা বিকৃতি সম্ভাবনা থেকে আমাদের মুক্ত রাখে পাশাপাশি সঠিকভাবে মনোভাব প্রকাশে সহায়তা করে। তাই শুদ্ধ উচ্চারণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x