আণবিক সংকেত ও গাঠনিক সংকেত

আণবিক সংকেত ও গাঠনিক সংকেত

রসায়ন – রাসায়নিক বন্ধন – আণবিক সংকেত ও গাঠনিক সংকেত

একটি মৌল বা যৌগের অণুতে যে যে ধরনের মৌলের পরমাণু থাকে তাদের প্রতীক এবং যে মৌলের পরমাণু যতটি থাকে সেই সকল সংখ্যা দিয়ে প্রকাশিত সংকেতকে আণবিক সংকেত বা রাসায়নিক সংকেত বলে। এ সম্পর্কে তোমরা ইতোমধ্যে জেনেছো। আবার একটি অণুতে মৌলের পরমাণুগুলো যেভাবে সাজানো থাকে প্রতীক এবং বন্ধনের মাধ্যমে তা প্রকাশ করাকে গাঠনিক সংকেত বলে। যেমন তিনটি কার্বন (C) পরমাণু আটটি হাইড্রোজেন (H) পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়ে প্রোপেন (C3Hg) অণু গঠিত হয়। প্রোপেনের C3Hg এই সংকেতটিকে আণবিক সংকেত বা রাসায়নিক সংকেত বলে।
আবার উক্ত যৌগে কার্বন পরমাণু তিনটি একে অপরের সাথে শিকল আকারে যুক্ত হয় এবং অবশিষ্ট যোজনীগুলো হাইড্রোজেন দ্বারা পূর্ণ হয়ে প্রতিটি কাবর্নের যোজনী 4 হয়। নিচের চিত্রে প্রোপেনের গাঠনিক সংকেত দেখানো হলো:
H  H  H

H-C-C-C-H

H   H  H

 

আবার পানির আণবিক সংকেত H,O, অতএব এর গাঠনিক সংকেত হবে

O

H      H

মিথেনের আণবিক সংকেত CH4, অতএব মিথেনের গাঠনিক সংকেত হবে

H

H-C-H

H

 

কার্বন-কার্বন ও কার্বন-হাইড্রোজেনের মধ্যে অবস্থিত প্রতিটি রেখা হলো একেকটি বন্ধন। এগুলো সমযোজী বন্ধন। সমযোজী বন্ধন সম্পর্কে এ অধ্যায়েই জানতে পারবে। গাঠনিক সংকেতের মাধ্যমে যৌগের অণুতে কোন পরমাণু কতটি করে আছে এবং তারা একে অপরের সাথে কীভাবে যুক্ত আছে তা জানা যায় ।