হিসাববিজ্ঞান

কালান্তিক মজুদের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ

0 min read

কালান্তিক মজুদের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ আলোচনা কর

যে পদ্ধতিতে প্রতিদিনের মজুত প্রতিদিন গণনা না করে একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে বা হিসাবকাল শেষে মজুত গণনা ও মূল্যায়ন করে তাকে কালান্তিক মজুদ বলে। নিচে এর সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করা হলো।

কালান্তিক মজুদের সুবিধাসমূহ

১. সহজ হিসাবরক্ষণ : এ পদ্ধতিতে মজুত মূল্যায়ন খুবই সহজ ও কম শ্রম সাপেক্ষ।

২. তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত : স্বাভাবিক উৎপাদন ধারা বজায় রাখ, ন্যূনতম মজুত স্তর, সর্বোচ্চ মজুত স্তর, নিরাপত্তা মজুত স্তর জানা যায় এবং যেকোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।

৩. চুরি জালিয়াতি হ্রাস : কর্মীদের উপর নৈতিক চাপ পড়ে বলে চুরি জালিয়াতি অনেকাংশে হ্রাস পায় বলে কারবার সফলভাবে চলতে সক্ষম।

৪. ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানে উপযোগী : ক্ষুদ্র ক্ষুদ্ৰ যেসব প্রতিষ্ঠানে বহু ধরনের বা নানা রকম পণ্য বিক্রয় করা সেসব প্রতিষ্ঠানে কালান্তিক পদ্ধতিতে হিসাবরক্ষণ করা সবচেয়ে মঙ্গলজনক।

৫. আত্মতৃপ্তি : এ পদ্ধতিতে মজুতের উপর প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে, যেকোনো সময় অন্তর্বর্তীকালীন হিসাব প্রণয়ন সম্ভব, শ্রম বিভাজনের ফলে শ্রমিকগণ অধিক দক্ষ হয়ে উঠে বলে মলিক পক্ষ মানসিক দুঃশ্চিন্তা হতে রেহাই পায় এবং আত্মতৃপ্তি অনুভব করে।

৬. নির্ভরযোগ্যতা : মজুত মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সর্বদিক থেকে এ পদ্ধতি সহজ সরল, কম ব্যয় সাপেক্ষ, মালিক পক্ষও এ পদ্ধতিতে তৃপ্তি বোধ করে বলে এ পদ্ধতি অধিক নির্ভরযোগ বলে বিবেচিত হয়।

৭. স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত : একটি নির্দিষ্ট সময় পর বা হিসাবকাল শেষে মজুত মূল্যায়ন করা হয় বলে স্বাভাবিক কার্যক্রম কোনোভাবেই ব্যাহত হয় না বলে কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।

কালান্তিক মজুদের অসুবিধাসমূহ

১. দুর্বল পদ্ধতি : প্রতিদিনের মজুত প্রতিদিন জানা যায় না এবং বিনষ্ট পণ্যের হিসাব থাকে না, অপচয় রোধের ব্যবস্থা থাকে না বলে এটি একটি দুর্বল পদ্ধতি বলে বিবেচিত।

২. সময় সাপেক্ষ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব : কালান্তিক পদ্ধতিতে পণ্যের মজুত মূল্যায়নের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, যেকোনো সময় মজুত মূল্যায়ন করা যায় না বলে বিভিন্ন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব হয় যা কারবারের জন্য সফলজনক নয়।

৩. অসৎ হওয়ার সম্ভাবনা : অনেক সময় পর মজুত মূল্যায়ন করা হয় বলে চুরি জালিয়াতি বৃদ্ধি পায় বলে কর্মীদের অসৎ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৪. নির্ভরযোগ্যতার অভাব : এ পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট দিনে সকল প্রকার পণ্যের মজুত মূল্যায়ন করা হয় বলে নির্ভরযোগ্যতার অভাব দেখা দেয়।

৫. অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি : প্রত্যেকে তার বিক্রয়ের পর মজুত সমন্বয় করা হয় না বলে অনিচ্ছাকৃত অনেক ভুলভ্রান্তি থেকে যায় তাই এটি একটি অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলে পরিচিত।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x