ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যবহারকারী হিসেবে আপনি যদি সেভিং একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি নিমুক্ত যে সুবিধা গুলো পাবেন । ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহারকারী হিসেবে আপনি চাইলে দুই রকমের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন তার মধ্যে একটি হল স্টুডেন্ট একাউন্ট এবং অন্যটি হলো সেভিংস একাউন্ট ।
সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা :
১. অন্য যে কোন শাখায় টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন ।
২. লিমিটেড সেবা উপভোগ করতে পারবেন
৩. সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে পারবেন বিভিন্ন ডিপিএস সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন ।
৪. ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে পারবেন ।
৫. ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে পারেন যাতে করে আপনি চাইলেই ঘরে বসেই ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবেন ।
৬. আপনি চাইলেই সেভিংস একাউন্টের মাধ্যমে ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন ।
ডাচ বাংলা ব্যাংক এর স্টুডেন্ট সুবিধা :
বর্তমান সময়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক একটি জনপ্রিয় ব্যাংক, বিশেষ করে এটিএম কার্ড রকেট এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিসের জন্য, ডাচ বাংলা ব্যাংক সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের জন্য চালু করেছে নতুন এক সার্ভিস। ডাচ বাংলা ব্যাংকের স্টুডেন্টদের জন্য সুবিধা সমূহ:
- অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনাকে কোন কোন প্রকার চার্জ দিতে হবে না
- সার্বক্ষণিক সেবা সার্ভিস ১৬২১৬
- সাধারণ একাউন্ট এর মতই সকল সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন
- কোন কারণে অ্যাকাউন্ট বাতিল করলে ৫০০ টাকা সম্পূর্ণ ফেরত দেওয়া হবে ।
- প্রতিবছর আপনাকে জমাকৃত টাকার বিপরীতে ৫% হারে সুদ প্রদান করা হবে ।
- আজীবনের জন্য ফ্রি নেক্সাস কার্ড প্রদান করবে ।
- আপনার ডিবিএল নেক্সাস কার্ডের মাধ্যমে সকল এটিএম বুথ হতে টাকা তুলতে পারবেন।
স্টুডেন্টদের জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অসুবিধা :
- স্টুডেন্ট একাউন্টে কোন চেক বই প্রদান করা হবে না ।
- একাউন্টে সর্বোচ্চ আপনি১ লক্ষ টাকা জমা রাখতে পারবেন।
- এটিএম কার্ড হতে আপনি একদিনে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন ।
- অ্যাকাউন্ট একটিভ করতে প্রথমে আপনাকে ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে ।
ডাচ বাংলা ব্যাংক বা সংক্ষেপে ডিবিবিএল বাংলাদেশের প্রথম সারির প্রাইভেট ব্যাংক গুলোর মধ্যে একটি । অসংখ্য গ্রাহক রয়েছে । যদি আপনার ব্যাংক একাউন্ট না থাকে তাহলে আপনার পছন্দের ব্যাংক হতে পারে ডাচ বাংলা ব্যাংক । অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে ব্যবহারকারীদের । আর এ কারণে অনেকেই কাছেই প্রিয় এই ব্যাংকটি । পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী হবার কারণে ডাচ বাংলা ব্যাংক সারাদেশ বিস্তার করেছে । তাই আপনি দেশের যেখানে থাকেন না কেন খুব সহজেই ব্যাংকিং করতে পারবেন । তাই অন্য অনেক ব্যাংক থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক তুলনামূলক অনেক পরিচিত । এই পোস্টে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট করলে আপনি কি কি সুবিধা পেতে পারেন সেভাবে আলোচনা করব ।
অনলাইন পেমেন্ট এস্টোর সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক তাদের বেশির ভাগ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নেক্সাস কার্ড দিয়ে থাকে । সাধারন ভিসা মাস্টার কার্ড হতে এই কার্ডের চার্জ কম এবং বাংলাদেশের অসংখ্য স্থানে এই কার্ড দিয়ে পেমেন্ট সুবিধা আছে । তাই এই কার্ড দিয়ে আপনি বিভিন্ন দোকানে , রেস্টুরেন্টে অনলাইনে সহজেই শপিং করে পেমেন্ট করে ফেলতে পারবেন । ডাচ বাংলা ব্যাংক নেক্সাস কার্ডের নেটওয়ার্কে সমৃদ্ধ করেছে নিয়মিত । এছাড়া এই কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন অফার পেয়ে যাবেন ।
রকেটে বাড়তি সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেট বাংলাদেশের প্রথম চালু হওয়ায় এ ধরনের সেবা । ছড়িয়ে আছে সারা দেশে সেবা । সহজে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া পাঠানো সম্ভব । তাই যারা নিয়মিত টাকা লেনদেন করে থাকেন তারার বাড়তি সুবিধা পাবেন । সরাসরি রকেট হতে টাকা পাঠাতে পারবেন নিজের একাউন্টে । সহজে নিতে পারবেন রকেটের টাকা একাউন্টে । এসব বিভিন্ন সুবিধা ছাড়াও ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রতিটি সেবায় বেশ কার্যকর সহজে পাওয়া যায় । তাই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট করলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন এবং আশা করি আপনারা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট সম্পর্কে সুযোগ-সুবিধা এবং এই ব্যাংকের নিয়ম-কানুন জেনে যাবেন এতে আপনাদের অনেকটা কনসেপ্ট দূর হবে ।
দেশব্যাপী অসংখ্য শাখা
যেকোনো ব্যাংকের ক্ষেত্রে শাখার সংখ্যা বড় একটি ব্যাপার । যত বেশি শাখা থাকবে তত সহজেই সেবা দিতে পারে সেই ব্যাংক । তাই ব্যাংকের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । ডাচ বাংলা ব্যাংকের সারাদেশে ৬৪ জেলাজুড়ে ২২৬ শাখা রয়েছে । শুধু তাই নয় ৯৯ টি উপশাখা রয়েছে এই ব্যাংকের । অর্থাৎ আপনাকে ব্যাংকিং সেবা পেতে দেশে যে স্থানে থাকুন না কেন খুব বেশি দূরে যেতে হবে না । সহজে হাতের কাছে পেয়ে যাবেন সকল সেবা । উপশাখা হতে ব্যাংকের মূল শাখার সকল সুবিধা না পাওয়া গেলেও সব ধরনের বেসিক ব্যাংকের সেবা পাওয়া যায় এখানে ।
দেশব্যাপী অসংখ্য এটিএম বুথ
ডাচ বাংলা ব্যাংকের সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এর অসংখ্য এটিএম বুথ । সারাদেশ এটিএম বুথ ছড়িয়ে আছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের । তাদের প্রায় ৫০০০ এটিএম আছে সারা দেশে । তাই সহজেই টাকা উঠাতে পারেন । এছাড়া ফাস্ট ট্রাক নামের কিছু বুতে ডাচ বাংলা ব্যাংক কিছু বেসিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে । টাকা জমা দেওয়া , কাউকে পাঠানো এসব কাজগুলো অনেক সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায় ।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ভেরিয়েশন
ডাচ বাংলা ব্যাংক ব্যক্তিগত বিভিন্ন রকম অ্যাকাউন্ট রয়েছে আপনার চাহিদা অনুযায়ী রয়েছে সেভিংস কারেন্ট দুই ধরনের একাউন্ট । এগুলো প্রত্যেকে চাহিদার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয় , তাই সকলেই অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন পছন্দ অনুযায়ী । বর্তমানে 7 ধরনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক এগুলো হলো :
সেভিংস ডিপোজিট প্লাস একাউন্টঃ প্রিমিয়াম ধরনের সেভিংস একাউন্ট । কমপক্ষে৫০০০ টাকা আপনাকে একাউন্টে রাখতে হয় । প্রথম বছর ফ্রী ডেবিট কার্ড পাবেন । এতে বেশ কিছু সুবিধা আছে
সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট স্টান্ডার্ডঃ এটি একদম সাধারন ধরনের সেভিংস একাউন্ট । সকলের জন্য এই একাউন্ট । প্রথম বছর ফ্রী ডেবিট কার্ড পাবেন ।
এক্সেল সেভিংস একাউন্টঃ কম চার্জ যুক্ত একাউন্ট । তবে এটি সাথে শুধু ডেবিট কার্ড পাবেন । কোন চেক দেওয়া হয়না এই একাউন্টের সাথে ।
ইন্টারনেট ফ্রি সার্ভিস ডিপোজিট একাউন্টঃ এটি সাধারণত সেভিংস একাউন্টের মতই । তবে ইন্টারেস্ট মুনাফা পাবেন না । যারা মুনাফা চান না তাদের জন্য এটি ভালো একটি অ্যাকাউন্ট ।
কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্টঃ এটি সাধারণ অ্যাকাউন্ট কোন ইন্টারেস্ট পাবেন না এই একাউন্টে ।
স্পেশাল নোটিশ ডিপোজিট একাউন্টঃ যারা বড় পরিমাণ টাকা লেনদেন করেন তাদের জন্য তৈরি এই একাউন্ট ।
ডিবিবিএল স্কুল সেভার্স একাউন্টঃ 6 থেকে 18 বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাকাউন্ট । 100 টাকা হতে টাকা জমাতে পারবে এই একাউন্টে । কোন ধরনের চার্জ নেই এই একাউন্ট । পুরোপুরি ফ্রী ব্যাংকিং করা যায় ।
ফ্রি ইন্টারনেট ব্যাংকিংঃ প্রতিটি একাউন্ট দিয়ে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করা যায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে । ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যালেন্স , টাকা পাঠানো ইত্যাদি কাজগুলো করে ফেলতে পারবেন । তাছাড়া অন্য ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন । ফ্রিতে স্টেটমেন্ট বের করে প্রিন্ট করে বের করে নিতে পারবেন এর মাধ্যমে । এটি আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে ।
নেক্সাস পে আপঃ এই অসাধারণ অ্যাপসটি ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টে কে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে । আপনার অ্যাকাউন্ট থাকলে এই অ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে পারেন । এই অ্যাপের মাধ্যমে এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত করে মোবাইল রিচার্জ , বিল পে , ফান্ড ট্রানস্ফার । ইত্যাদি বিভিন্ন কাজগুলো করে ফেলতে পারবেন ।
তাই আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা গুলো তুলে ধরলাম । যাতে করে আপনারা সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা গুলো জানতে পারেন । পরবর্তীতে আপনাদের এগুলো কাজে লাগবে ।