বেকারভাতা চালুর প্রস্তাব রেখে ‘কর্মসংস্থান নীতি-২০২২’ প্রস্তাব-খসড়া চূড়ান্ত

কর্মে ইচ্ছুক থাকলেও কর্ম পাচ্ছে না-এমন জনগোষ্ঠীর জন্য বেকারভাতা চালুর প্রস্তাব রেখে ‘কর্মসংস্থান নীতি-২০২২’ শিরোনামের খসড়া চূড়ান্ত করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

এটি মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় কর্মসংস্থান তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হবে। এতে কর্মে আগ্রহী ব্যক্তির পেশাগত দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ডাটাবেজে থাকবে।

এ নীতির আলোকে দক্ষ জনশক্তি ব্যবস্থাপনায় ‘কর্মসংস্থান অধিদপ্তর’ ও ‘জাতীয় ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিল’ গড়ে তোলা হবে। যা দেশে কর্মশক্তিকে ভবিষ্যতের যে কোনো পর্যায়ের জাতীয় এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী করে তুলতে পারে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

দেশের অব্যাহত উন্নয়ন যাত্রা ধরে রাখতে কয়েক কোটি দক্ষ জনশক্তিকে প্রস্তাবিত নীতির মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নীতির খসড়াটি সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।

কর্মসংস্থান নীতির খসড়ায় বলা হয়েছে, দেশের জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৮% এর বেশি হলেও কর্মের সুযোগ সৃষ্টির হার মাত্র ৩.৩২%। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে প্রতি বছর দেশের অভ্যন্তরে ১৮.৪ লাখ এবং বৈদেশিক কর্মে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করতে হবে। যাদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা যাবে না কিন্তু কর্মে ইচ্ছুক তাদের জন্য বেকার ভাতা চালু করা যেতে পারে।

নীতিমালায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানোর বিষয়ে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। যুবকদের বেকারত্বের হার বেড়ে এখন হয়েছে ১০.৬%। জনসংখ্যার হিসাবে এই মুহূর্তে দেশে যুবশক্তির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। তাদের সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

নীতিটির গুরুত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের কর্মদক্ষ জনশক্তিতে যারা আছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের দক্ষতা পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান যে শিক্ষা ব্যবস্থা ও দক্ষতা আছে তা দিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে মোকাবিলা করতে পারব না। এজন্য জাতীয় কর্মসংস্থান নীতিতে এসব বিষয় ঢুকানো হয়েছে। সেইসঙ্গে শিক্ষানীতি, বাণিজ্যনীতিসহ প্রয়োজনীয় নীতি ও আইনে পরিবর্তন আনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *