বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা , বঙ্গবন্ধুর জীবনী রচনা, বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল অনুচ্ছেদ, বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা ৮০০ শব্দের, বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা pdf

বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা লিখে অনলাইনে প্রচুর সার্চ করে। যারা বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা সম্পর্কে সার্চ করছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল। আজকের পর্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা সম্পর্কে লিখেছি। যারা বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে না ঠিক আছে তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি বেশি ভালো হবে।  প্রাইমারি স্কুল অথবা হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সে জন্যই মূলত বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা টি এখানে লিপিবদ্ধ করলাম । 

 বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা

ভূমিকাঃ  হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি , বাঙালি জাতির গর্ব শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার ইতিহাসে স্মরণীয় বরণীয় এক ব্যক্তিত্ব । তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলার আপামর জনসাধারণ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এ দেশকে স্বাধীন করেছিল । তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি ।

জন্মঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০  সালের 17 মার্চ  গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । পিতা -মাতাঃ শেখ লুৎফর রহমান , মাতা  সায়রা খাতুন  ।

 বঙ্গবন্ধুর শৈশব : বঙ্গবন্ধু শৈশব ও কৈশোর কেটেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও  টুঙ্গিপাড়ায় । টুঙ্গিপাড়া গ্রামে শেখ মুজিবুর রহমান ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা শস্য শ্যামলা রূপসী বাংলাকে দেখিয়েছেন । তিনি আবহমান বাংলার আলো- বাতাসে লালিত বর্ধিত হয়েছেন ।  তিনি দোয়েল বাবুই পাখি ভীষণ ভালোবাসতেন বাড়িতে ময়না বুঝতেন ।  আবার নদীতে জাপ  দিয়ে সাঁতার  কাড়তেন । বানর ও কুকুর বোনদের নিয়ে পাখি আর জীবজন্তুর প্রতি গভীর মমতা । মাছরাঙ্গা ডুব দিয়ে কিভাবে মাছ ধরে তা তিনি খেয়াল করলেন খালের পাড়ে বসে বসে বসে । ফুটবল ছিল তার প্রিয় খেলা এভাবে তার শৈশব কেটেছে মেঠো পথের ধুলা বালি মেখে আর বর্ষার কাদাপানিতে ভেজে । গ্রামের মাটিয়ার মানুষ থাকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করতো ।

 বঙ্গবন্ধুর পড়াশোনাঃ  বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমান আদালতে চাকরি করতেন । তার মাতা সায়েরা খাতুন ছিলেন গৃহিণী । পিতা মাতা স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে তিনি একজন আইনজীবী ভাবেন । টুঙ্গিপাড়ায় শেখ বাড়ি দক্ষিণে ছিল কাচারি ঘর । এখানে মাস্টার পন্ডিত  মৌলভী সাহেবের কাছে ছোট মুজিবের হাতে খড়ি । একটু বড় হলেই তাদের পূর্বপুরুষদের  গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় লেখাপড়া শুরু হয় । এরপর পিতার কর্মস্থল মাদারীপুরের ইসলামিয়া  হাই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে কিছুদিন লেখাপড়া করেন ।

পরবর্তীতে  তার পিতা বদলি হয়ে গোপালগঞ্জ যোগদান করলে তিন্নি গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুল পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন । বিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতেন তিনি ।পছন্দ করতেন ইতিহাসের বই । এসব কারণে প্রধান শিক্ষক গিরিশচন্দ্র সেন সকল শিক্ষকের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছিলেন আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । আমাদের শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই ছিলেন শক্তির অধিকারী মুজিব ছিলেন গরিব দুঃখ মানুষের বন্ধু । তিনি কারো প্রতি অন্যায়  অভিসার করতেন না । তিনি মাত্র 13 বছর বয়সে প্রতিবাদ প্রতিবাদের এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন ।

বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসাঃ  বঙ্গবন্ধু ছোটদেরকে ভীষণ ভালোবাসতেন । কচি কাঁচার মেলা ও খেলাঘর ছিল তার প্রিয় সংগঠন । কৈশোরে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কচিকাচার আসলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন ।  তার জীবনে শেষ দিনটি তিনি কাটিয়েছিলেন এই সংগঠনে ভাইবোনদের মাজে  ।কার জন্মদিন  টিকে বাংলাদেশ সরকার শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন । শিশুদের কাছে এ দিনটি খুবই খুশি ।

বঙ্গবন্ধুর নৈতিকতাবোধঃ বঙ্গবন্ধুর শাশ্বত গ্রামীণ সমাজের মুখ দুঃখ হাসি কান্না ছেলেবেলা থেকে গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন । শৈশব থেকে তৎকালীন সমাজ জীবনে তিনি জমিদার তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার শোষণ ও প্রজা নিপিরণ দেখেছেন । গ্রামের হিন্দু মুসলমানদের সম্মিলিত সামাজিক আবহে তিনি দিক্ষা পান অসাম্প্রদায়িকতার । দরিদ্র মানুষের দুঃখে কষ্টে তার মন কষ্টে ব্যাকুল হয়ে ওঠে । সমাজ ও পরিবেশ থাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিয়ে সংগ্রাম করতে শিখিয়েছে ।

তাই পরবর্তী জীবনে তিনি কোন শক্তির কাছে সে যত বড়ই হোক আত্মসমপর্ণ করেননি মাথা নত করেননি । অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক একবার তাদের ইস্কুলে পরিদর্শনে এসেছিলেন । তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আর সাহসিকতার মুগ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের ইস্কুল মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেন । দেশের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণ দিয়েছিলেন ।  তিনি তার সাহসিকতার মাধ্যমে সত্য কথা গুলো শেরে বাংলা একে ফজলুল হক কে বলেছিলেন ।

বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা (PDF Free Download)

উপসংহারঃ  দেশের মানুষের জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান কখনো অস্বীকার করা যাবে না । বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের এক মহান ব্যাক্তি এবং সাহসী নেতা ছিলেন । বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালীদের শিখিয়েছেন কিভাবে বুক উচু করে বেঁচে থাকতে হয় । বঙ্গবন্ধু স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার সাহস শিখিয়েছেন। বাঙালি জাতির কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক আবেগের নাম  এই নামটি ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ।

আশা করছি যারা বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা অনুসন্ধান করছিল তারা একটা সঠিক সমাধান পেয়েছো। আরো গুরুত্বপূর্ণ রচনা গুলো দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে পারো। বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল রচনা টি ভাল লাগলে ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করতে পারো।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *