হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতার

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আজকে আমরা জানবো হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি?

হাঁসের ডিম সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে হাঁস এবং মুরগির ডিমের মধ্যে পার্থক্য বা প্রোটিন কোন টাতে কি পরিমাণে রয়েছে এটা জানতে হবে।

100 গ্রাম হাঁসের ডিম থেকে 185 কিলো ক্যালরি এনার্জি পাওয়া  যায়। যেখানে 100 গ্রাম মুরগির ডিম থেকে পাওয়া যায় 149 কিলো ক্যালরি এনার্জি কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেল এর পরিমাণ সমান হলে ও হাঁসের ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ সামান্য বেশি থাকে ।

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি। ডিম হলো প্রোটিনের একটি পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী খাবার।

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

হাঁসের ডিমে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আজকে আমরা জানবো হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তাহলে আসুন দেখে নেয়া যাক হাঁসের ডিমে কি কি উপকার পাওয়া যায় তার সম্পর্কে।

হাঁসের ডিমের উপকারিতা অনেক তার মধ্য কিছু হাঁসের ডিমের উপকারিতা আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো।

হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে বেশি প্রোটিন দেয়্।

শরীরের প্রয়োজনীয় ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজনীয় ওজন বজায় রাখতে ও ব্যায়াম বা আঘাতের পরে শরীরকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।হাঁসের ডিমে রয়েছে জিংক ম্যাগনেসিয়াম, শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

 

তাছাড়া হাঁসের ডিমে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এক একটি ভিটামিন আপনার শরীরে এ একটি কাজ করে থাকে। যেমন ভিটামিন ই ভিটামিন এ ভিটামিন break-out প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ভিটামিন b1 ও ডায়াবেটিসে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি ভিটামিন আদ্রতা ধরে রাখে ভিটামিন বি সিক্স সাপের সাথে মোকাবিলা করতে পর্যাপ্ত ঘুম ও শুষ্ক ত্বক সাদা করে। ভিটামিন বি 7 এই ভিটামিন ত্বককে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে ও ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে।ভিটামিন বি৯ এই ভিটামিন শরীরের প্রজন্মকে উৎসাহিত করে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর ক্রমাগত মৃত ত্বকের কোষগুলোকে নতুন দিয়ে প্রতিস্থাপন করেন। ভিটামিন বি 12 শরীরের শুষ্কতা ও প্রদাহ কমায়।

হাঁসের ডিমে ভিটামিন সি ব্যতীত সকল প্রকার ভিটামিন থাকে আর এই ভিটামিন আপনাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।তাই প্রতি সপ্তাহে পাঁচদিন হাঁসের ডিম খেতে পারেন।

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা শিশু থেকে বয়স জ্যেষ্ঠ সকলের পছন্দের একটি খাবার। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত ডিম খাওয়া বেশি উপকারী। ডিম অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার এটি ক্যালসিয়াম আয়রন ও প্রোটিনের ভালো উৎস। করোনাকালে আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম ডেভলপ করা বা শক্তিশালী করা কত জরুরি ছিল। তাই প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা, কিন্তু ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই আছে ডিম নিয়ে আমাদের মাঝে নানা ভুল ধারণা আসে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ডিম খাওয়া নিয়ে অনুমান-নির্ভর দুশ্চিন্তায় ভোগেন।

অনেকে মনে করেন ডিমের কোলেস্টরেল হূদরোগ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ স্টক রোগ সৃষ্টি করে। আবার কেউ মনে করে ডিম খেলে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার হয় পেটে গ্যাস জমা হয় কিন্তু আসলে এসব ক্ষেত্রে ডিম কতটুকু দায়ী তা জানা দরকার। তাই আই নিউজ পাঠকদের জন্য ডিম নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো। ডিম একটি পরিপূর্ণ পুষ্টিকর খাবার যা শরীরের নানা উপকার ও স্বাস্থ্যের জন্য অতি উত্তম। যেমন ডিমে থাকা ভিটামিন b12 আপনার পেটে থাকা খাবার কে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।

ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন-এ দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি যা আপনার পেশীর ব্যথা কমায়। ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি যা আপনার শরীরের পেশীর ব্যথা কমায়। ডিমের ভিটামিন স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

টিমের সবচেয়ে বড় একটি গুন এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টের একটি ডিম মানে সারাদিন আপনার ক্ষুধা কম হবে হওয়া খাওয়া হবে কম। আয়রন জিংক ফসফরাস মেয়েদের পিরিয়ড এর জন্য অনেক সময় রক্তশূন্যতা দেখা দেয় শরীরে। শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে ডিমের মধ্যে থাকা আয়রন এই ঘাটতি মেটাতে পারে সহজেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় আর ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুত করে।

2003 সালে হার্বাট বিশ্ববিদ্যালয় একটি পরীক্ষায় দেখিয়েছে, সপ্তাহে ছয়টি ডিম নিয়মিত খেলে নারীদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে 44 শতাংশ।

ডিম হৃদপিন্ডে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না হৃদপিন্ডে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না ফলে স্ট্রোক বা হার্ট এ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায় বা কম থাকে।

শরীর সুস্থ রাখার আরো একটি উপাদান ক্লোইন মেয়েদের ঘাটতি হলে অনেক সময় কার্ডিওভাসকুলার লিভারের অসুখ বা স্নায়ুবৈকল্য দেখা দিতে পারে। একটি ডিমে প্রায় 300 মাইক্রো গ্রাম ক্লোইন থাকে যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম স্নায়ু ও যকৃত ও মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায় না দিনের দুটি ডিম খেলে রক্তে লোহিত কণিকাতৈরি করে।

হাঁসের ডিম বেশি উপকারী । হাঁসের ডিমের উপকারিতা

প্রোটিনের উৎস হচ্ছে ডিম কেউ হাঁসের ডিম খেতে পছন্দ করে কেউ আবার মুরগির, তবে পুষ্টিবিদদের মতে মুরগির ডিমের থেকে হাঁসের ডিম বেশি উপকারী কারণ 100 গ্রাম মুরগির ডিমে থাকে 149 কিলো ক্যালরি এনার্জি আর 100 গ্রাম হাঁসের ডিম থেকে এনার্জি পাওয়া যায় 185 কিলোক্যালরি।

কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেলের পরিমাণ সমান হলে ও হাঁসের ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে বেশি ।ম্যাঙ্গানিজ, তামা, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, সেলেনিয়াম, সালফার, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ও আয়রন।

প্রতি 100 গ্রাম হাঁসের ডিমে রয়েছে 181 কিলো খাদ্যশক্তি আর মুরগির ডিমে পাওয়া যায় 173 কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি।

হাঁসের ডিম  থাকে ফ্যাট থাকে 13.7 গ্রাম মুরগির ডিমে থাকে 13.3 গ্রাম।

ডিম কিভাবে খেলে উপকার

একটি ডিম থেকে পাওয়া যায় অনেক পুষ্টি উপাদান। হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা বিভিন্ন গবেষণা বিভিন্ন সময় এই প্রিয় খাবারটি খেলে কি হবে কি হবে না এ নিয়ে শঙ্কায় ফেলে।কোন গবেষণা বলে প্রতিদিন ডিম খাওয়া যাবে আবার কোন গবেষণা বলে সপ্তাহে দুটি তবে ডিম কিভাবে রান্না করে খাচ্ছেন তার ওপর ক্ষতি অনেক নির্ভর করে।

অনেক তেল ডিম ঢেঁড়স খেলে তা থেকে ক্ষতি হলে হতেও পারে। আবার ডিম কি দিয়ে খাবেন সেটা ও কিন্তু বিবেচনার বিষয়। পরোটা লুচি খিচুড়ি বিরিয়ানি ইত্যাদির সঙ্গে ডিম খেলে তা থেকে শরীরের কোলেস্টেরল বাড়ার কথা। লাল আটার রুটি সিরিয়াল মিল্ক আর ডিম সিদ্ধ ডিম এভাবে খেলে তার তেমন ক্ষতিকর নয়।

অনেকে ডায়রিয়া হলে ডিম খাওয়া বন্ধ রাখে অথচ ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পুষ্টি ঘাটতি হয় তাই ডায়রিয়া হলে একটা ডিম খাওয়া যেতে পারে। যেকোনো বয়সে ডিম একটা আদর্শ প্রোটিন তবে কিডনি রোগের ডিম খাবে কি খাবে না তা নির্ভর করে পুষ্টিবিদদের উপর।

ডিমের খোসার উপকারিতা । হাঁসের ডিমের উপকারিতা

সাধারণত ডিম খেয়ে খোসা আমরা ফেলে দেই তবে আপনি জানেন কি? ডিমের খোসায় রয়েছে নানা উপকারিতা। ডিমের খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, গ্লুকোসামিন, ও এসিড এই গুলো শরীরের নানা ব্যথা-বেদনা সরাতে কাজে আসে। এছাড়াও ত্বক পরিচর্যা তেও ডিমের খোসা খুব কার্যকর ডিমের সাদা অংশে ডিমের খোসা গুড়ো করে মিশিয়ে নিন আপনার দরকারি ফেসপ্যাক তৈরি হয়ে যাবে। এবার তা মুখে লাগিয়ে 15 মিনিটের মত অপেক্ষা করুন এরপর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।

ডিমের উপকারিতা

হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সর্ম্পকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারলাম এখন আমরা জেনে নিব হাঁসের ডিমের উপকারিতা গুলো কি কি বা ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি

শরীর দুর্বল হলে ডাক্তার সকাল বেলার নাস্তা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে তবে অতিরিক্ত ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

জার্নাল অফ অ্যাথেন্স ক্লোরোসিস রিসার্চ নামের একটি গবেষণা সংস্থা অতিরিক্ত ডিম খাওয়ার ক্ষতিকর দিক গুলো উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে প্রতিদিন ডিম খাওয়া সিগারেটের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর তাদের তথ্য অনুযায়ী বেশি ডিম খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে শুধু তাই নয়।

আমরা প্রত্যেকেই জানি প্রত্যেকটি জিনিসের ওই ভালো দিক খারাপ দিক দুটো দিকই রয়েছে, ঠিক তেমনি হাঁসের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটি দিকই রয়েছে তাই আমরা জানবো হাঁসের ডিমের উপকারিতা গুলি কি কি?

ডিম খাওয়ার ফলে অ্যাপেটিসের সম্ভাবনা ও দেখা যায় বেশি তবে অনেকেই বলেন ডিমের সাদা অংশ উপকারী আর কুসুম খাওয়া ভালো নয়, তাদের তথ্যকে একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে বিজ্ঞানীরা তাদের মতে ডিমের যে কোনো অংশই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয় এমনকি বিজ্ঞানীরা বলেছেন কাঁচা ডিমের তুলনায় ওমলেট সেদ্ধ কিংবা পোস্ট খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায় ।

প্রসঙ্গত আমরা জানতে পারলাম।ডিম প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। পরিমিত পরিমাণে খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। একটি খাবার অনেক স্বাস্থ্যকর হলেও সেটি অতিরিক্ত গ্রহণ উপকারের পাশাপাশি অপকারও করে থাকে এটাই স্বাভাবিক দৈনিক চাহিদার তুলনায় যে কোন খাবার বেশি গ্রহণ না করাই ভালো।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *