জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম

জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম

জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম

আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করবো জ্বর মাথা ব্যাথা ঔষধ নাম সম্পর্কে। মাথাব্যথা সবার সাধারণ একটি সমস্যা। মাথা ব্যাথা কমবেশি হতে পারে। অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে বিভিন্ন কাজের চাপে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে টেনশন ফিল করার জন্যে জ্বর মাথাব্যথা হতে পারে। মাথা ব্যাথা নিয়ে যে কোনো কাজে মনোযোগ বসতে চায় না প্রচন্ড কষ্ট হয়। তাই জ্বর ব্যথা কমাবে সেগুলো। 

মাথা ব্যাথার কারণঃ

চিকিৎসকরা মাথাব্যাথার বিভিন্ন কারণ চিহ্নিত করেছেন। মস্তিষ্কের অন্তর্জাত প্রক্রিয়া ফলাফলের মাত্রার কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। যেমন মাইগ্রেন ক্লাস্টার টেনশন এসবের কারণে মাথাব্যথা সমস্যা।

এসব ছাড়া মাথাব্যথার আরো বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমনঃ

  • মস্তিষ্কের টিউমার বা মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম
  •  অতিরিক্ত ওষুধের ব্যাবহার
  • মেনিনজাইটিস জনিত মাথাব্যথা
  • আঘাতজনিত পরবর্তী মাথাব্যথা
  • সাইনাসের সমস্যা জনিত মাথাব্যথা

মাথাব্যথার অতিরিক্ত যদি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।  অতিরিক্ত মাত্রায় মাথাব্যথা হলে ডাক্তারকে সব ধরনের ইনফেকশন দিয়ে সাহায্য করতে হবে। আপনার মাথা ব্যাথার ইতিহাস জানতে চাবে। ডাক্তার যেমনঃ মাথার কোন অংশে ব্যথা, অনেকদিন ধরে মাথা ব্যাথা, মাথাব্যথার ধরন, মাথা ব্যথার জন্য কোন ঔষধ খাবেন না ইত্যাদি এসব সম্পর্কে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে তারপরে সেবন করার চেষ্টা করুন।

মাথা ব্যাথার ঔষধ ও ট্যাবলেটের নাম জেনে নিনঃ

নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো তে মাথা ব্যাথার কিছু ঔষধের নাম দেওয়া হল জেনে নিনঃ

Paracetamol+caffeine

  • Napa Extra
  •  Ace Plus
  • Reset Plus
  • Cafedon
  • Cafenol
  • Caffo
  • Clofamol Extra
  • Fap Plu
  • s Feverex

Tolfenamic Acid

  • Loragin
  • Anilic
  • Migesic
  • Migratol
  • Migrex
  • Tolfem
  • Tolfort
  • Tolmic
  • Tufnil
  • Namitol
  • Naproxen
  • Anaflex
  • Diproxen
  • Napro
  • Naporo-A
  • Naprosyn
  • Naprox Napryn
  •  Naspro
  •  Nuprafen

কোন ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত না। জ্বর মাথা ব্যাথা ঔষধ খাওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খেতে হবে।

খাওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খেতে হবে। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোতে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম সম্পর্কে ।

জ্বর মাথা ব্যাথা দূর করার আমল ।  জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম

জ্বর মাথা ব্যাথা দূর করার দোয়াঃ

لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنزِفُونَ 

উচ্চারণ: লা ইউসাদ্দাউনা আনহা ওয়া লা ইউনজিফুন। অর্থ: যা পান করলে তাদের শিরপীড়া হবে না এবং বিকারগ্রস্তও হবে না। (সুরা ওয়াক্বিয়া : আয়াত ১৯)

জ্বর মাথাব্যথার মতোই আরেকটি ব্যাধি, যা বেড়ে গেলে একজন ব্যক্তির পক্ষে খুব বিপজ্জনক হতে পারে। নিজের বা অন্য কারও জ্বর হলে এ দোয়া পড়বেন। 

بِسْمِ اللَّهِ الْكَبِيرِ أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ شَرِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ 

‘বিসমিল্লাহিল কাবির, আউজুবিল্লাহিল আজিমি মিন শাররি কুল্লি ইরকিন না’আর ওয়া মিন শাররি হাররিন নার।’

অর্থ: মহান আল্লাহর নামে আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি; প্রবল প্রবাহমান রগ থেকে এবং জাহান্নামের আগুনের অনিষ্ট থেকে।’ (নাসায়ি; মকবুল দোয়া : ১৬৩)

সাধারণ সর্দি জ্বরের করণীয়ঃ

জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম সম্পর্কে অলরেডি আমরা জেনেছি এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেষণা নিচে বর্ণনা করলাম।

  •  সাধারণ সর্দি জ্বর হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামের দরকার।
  • সাধারণ সর্দি জ্বর হলে গরম পানি দিয়ে গোসল করা।
  • আপনার যদি সাধারণ জ্বর হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন–জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শমতো খাওয়াতে হবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
  • সাধারণ সর্দি জ্বর হলে আপনাকে অবশ্যই দিয়ে ভুব সাহা গরম পানি লেবু শরবত খেতে হবে।

জ্বর ও মাথা ব্যথার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় সমূহঃ

জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম জানলেই হবে না অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করতে হবে। করণ আপনার জ্বরের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। আপনার কোন ধরনের জ্বর হয়েছে সেটা বুঝে তারপর ডাক্তার ঔষধ দেবেন। যদি সাধারণ জ্বর হয় তাহলে প্রাথমিক চিকিৎসায় তা ভাল হয়ে যায় । পাশাপাশি কিছু বিষয় খেয়াল বা অনুসরণ করলে জ্বরের জন্য তা উপকারী। নিচে জ্বর মাথা ব্যথা হলে বাড়িতে কি কি করনিয় রয়েছে তা বর্ণনা করা হলো।

 প্রচুর পরিমাণে তরল পানঃ

সাধারণ জ্বর যদি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে কুসুম গরম পানি ফলের রস ডাবের পানির চার্জে কোন তরল খাবারের বাধা নেই খেতে পারবেন। যদি অতিরিক্ত মাত্রায়  জ্বর বেড়ে যায় তাহলে আপনাকে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করে মুক্তি দিতে হবে। হালকা সর্দি জ্বর যদি থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে 10 থেকে 12 গ্লাস পানি খেতে হবে। যদি বেশি তরল পান করেন শরীর থেকে জীবাণু অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান বেরিয়েযেতে সাহায্য করবে।

গোসলঃ

শরীরের জ্বর আসলে সর্বপ্রথম আমাদের একটি কাজ করতে হবে সেটা হচ্ছে কপাল এবং ঘাড়ের পিছনে অংশে জলপট্টি দিতে হবে। সরিলে জর আসলে জলপট্টি খুবই কার্যকরী। অতিরিক্ত মাত্রায় জ্বর হলে গোসলের পরিবর্তে আপনি কুসুম গরম পানিতে হালকা নরম কাপড় ভিজিয়ে তারপর মুছে নিন।

জ্বর নিয়ে কখনো ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে যাবেন না। আপনি যদি জ্বর নিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করেন এবং ঠান্ডা পানি খেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে কাপুনি হতে পারে। একটু ভুলের কারণে আপনার শরীরের জ্বর আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জ্বর আসলে অবশ্যই একটু সর্তকতা অবলম্বন করে চলুন।

 বিশ্রামঃ

শরীরে যদি জ্বর হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে বিশ্রামের প্রয়োজন। এদিক-সেদিক ঘুরে বিশ্রাম নেওয়ার দরকার। জ্বর আসলে বিশ্রাম নেওয়ার ফলে আপনার শরীরে আরো বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো

যদি অবলম্বন করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যে ঔষধ খেতে হবে সেই ওষুধ না খেলে চলবে। জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা মাথাব্যথা কারসহ ব্যথা বমি বমি ভাব ইত্যাদি । যদি এসব হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করুন।

 লবঙ্গঃ

মাথা ব্যথা দূর করার জন্য ঘরোয়া একটি পদ্ধতি জেনে নিন। অল্প পরিমাণে লবঙ্গ নিয়ে ভেজে গরম করে নিন। গরম লবঙ্গ গুলো রুমালের মধ্যে নিন।  এক থেকে দুই মিনিটের মত লবঙ্গ  সুখেন সুখে নিন দেখবেন আপনার মাথাব্যথা কমে যাবে।

 লবণযুক্ত আপেলঃ

জ্বর হলে মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে এটাই স্বাভাবিক। জ্বরের সময় মাথা ব্যথা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি জেনে নিন। 1 থেকে 2 টুকরো আপেল লবণ দিয়ে মিশিয়ে তারপর এই আপেলটা খেয়ে নিন দেখবেন আপনার জ্বর অবস্থায় যে মাথা ব্যাথা হয় সে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

আদাঃ

জ্বর হলে আদার ঘরোয়া পদ্ধতি জেনে নিন। এক পিস আদা চিবিয়ে যদি খেতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার জ্বর অবস্থায় মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে।

অ্যাপেল সিডার ও হলুদ চাঃ

জ্বর মাথা ব্যথা সর্দি কাশি অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং হলুদ খুবই কার্যকরী। এসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অ্যাপেল সিডার ও হলুদ চা খেতে পারেন। গোলমরিচ আপনার মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার গোলমরিচ এই দুইটা উপকরণ একসঙ্গে পানি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপরে পানি খেয়ে নিন।

সাধারণ জ্বর নাকি  করোনা জেনে নিনঃ

জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম জেনে ঔষধ সেবন না করে আগে জেনে নিন আপনার কি ধরনের জ্বর হয়েছে। শুধুমাত্র জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম জেনে ঔষধ সেবন করলে জ্বর ভাল না হয়ে বিপরীত প্রতিকৃয়া হতে পারে । তাই জ্বরের ঔষধ খাওয়ার আগে নিশ্চিত হোন যে আপনার কি ধরনের জ্বর হয়েছে। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ  নিতে হবে।

সাধারণ জ্বরঃ

সাধারণ জ্বর শরীর দুর্বল হওয়া মাথা ঘোরানো বমি ভাব শরীর ব্যথা ঘুম ঘুম ভাব ইত্যাদি এ সমস্যা দেখা দেয়। তখনই বুঝে নিতে হবে আপনার সাধারণ জ্বর শরীরে।

ডেঙ্গু জ্বরঃ

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো জেনে নিন। আপনার যদি ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কিছু কিছু লক্ষণ গুলো আপনার দেখা দেবে। যেমনঃ শরীর দুর্বল লাগা, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর থেকে আবার জ্বর বেড়ে যায়, মাথা ঘোরানো, সর্ব শরীর ব্যথা, ঘুম ঘুম ভাব, চোখে ব্যথা, ইত্যাদি। আপনার শরীরে যখন এই লক্ষণগুলো দেখা দেবে আপনাকে বুঝে নিতে হবে ডেঙ্গু জ্বরের সমস্যা।

চিকুনগুনিয়াঃ

চিকুনগুনিয়া এবং ডেঙ্গু জ্বরের মধ্যে যে লক্ষণগুলো হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে লক্ষ রাখতে হবে যে আপনার মধ্যে জ্বর গায়ে ব্যথা মাথা ঘোরানো তলপেটে ব্যথা দুর্বল হওয়া ঘুম ঘুম ভাব বমি বমি ভাব চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি ।লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনার শরীরের চিকুনগুনিয়া রয়েছে।

ম্যালেরিয়াঃ

ম্যালেরিয়া যদি সমস্যা হয় কিভাবে বুঝবেন জেনে নিন। প্রত্যেকদিন জ্বর থাকবে তা না হলে একদিন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর পাশাপাশি আপনার ডায়রিয়া, বুক ধড়ফড় করাশরীরে ব্যথা ইত্যাদি এসব দেখা দিলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে ম্যালেরিয়া হয়েছে।

কোভিদ ১৯ বোঝার উপায়ঃ

এখন জেনে নিন কোভিদ ১৯ বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আপনার শরীরের যদি  করণা থাকে সেক্ষেত্রে কি কি লক্ষণ গুলো আপনি বুঝে নিবেন আপনার কোন সমস্যা রয়েছে।  শরীরে প্রচুর পরিমাণে জ্বর,  শুকনো কাশি, দুর্বলতা, ডায়রিয়া, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, রক্তচাপ, খাবার গন্ধ লাগা, সর্ব শরীর ব্যথা, ত্বকের বিভিন্ন পরিবর্তন, সমস্যা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, আপনার শরীর প্রচুর পরিমাণে দুর্বল হয়ে যাবে, গলা খুসখুস, ইত্যাদি। এই সমস্যা গুলো যখন দেবে তখনই আপনাকে বুঝে নিতে হবে কোভিদ ১৯  সমস্যা।

আপনি যদি করণায় আক্রান্ত থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে জ্বর থাকবে 10 দিনে  104°। করোনাভাইরাস এর প্রকল্প মানবদেহে দশ দিন জারি থাকে। করোনার সমস্যা যদি থাকে তাহলে শুকনো কাশির সমস্যা বেশি পরিমাণে বেড়ে যায়।

চিকিৎসকের উপায় করোনা ভাইরাস জ্বর বা সাধারণ জ্বর হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। করোনাভাইরাস পরবর্তীতে অতিরিক্ত মাত্রা বেড়ে যায়। যদি কোন হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে দুটি সমস্যা বেশি দেখা দিবে এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া। করোনাভাইরাস সোজাসুজি আপনার শ্বাসযন্ত্র কে আক্রমণ করে থাকে। করোনাভাইরাস শুকনো কাশির সঙ্গে 104 ডিগ্রি জ্বর  শরীরকে দুর্বল করে ফেলে।

বর্ষাকালে যে কোন রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম একটি কাজ মনে রাখতে হবে সেটা হচ্ছে বাড়ির আশেপাশে কোথাও যেন পানি জমে না থাকে। বর্ষাকালে চেষ্টা করুন পানি ফুটিয়ে খাওয়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *